Thank you for trying Sticky AMP!!

পুনর্ব্যবহারের জন্য ই-বর্জ্য হস্তান্তর সিম্ফনি মোবাইলের

সিম্ফনির ই-বর্জ্য হস্তান্তর

বাংলাদেশের দেশীয় মালিকানায় প্রথম হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড সিম্ফনি মোবাইল নিয়েছে নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ। এই ধারায় যোগ হলো আরও একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। সিম্ফনির হাত ধরেই শুরু হলো ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহার প্রকল্প।

গত নভেম্বরে সিম্ফনি মোবাইলের সঙ্গে ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য চুক্তি হয় জেআর রিসাইক্লিং সলিউশন লিমিটেডের।

এই চুক্তির আওতায় আজ জেআর রিসাইক্লিং সলিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ হোসাইন জুয়েলের হাতে প্রায় ২ হাজার কেজি ই-বর্জ্য তুলে দেন সিম্ফনি মোবাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শাহিদ। এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, স্পেক্ট্রাম মোহাম্মদ জাকারিয়া ভুঁইয়া ও ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, স্পেক্ট্রাম রেজাউল সাবিরসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ই-বর্জ্য হস্তান্তরের সময় এম এ হোসাইন জানান, বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ব্র্যান্ড হিসেবে সিম্ফনি মোবাইলই সবার আগে ই-বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের কাজে হাত দিয়েছে। অনেক কোম্পানিই ইতিমধ্যে জেআর রিসাইক্লিং লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, কিন্তু সিম্ফনিই সবার আগে এগিয়ে এসেছে ই-বর্জ্য সঠিকভাবে রিসাইক্লিং করার জন্য।
মুহাম্মদ জাকারিয়া ভূঁইয়া জানান, ‘বর্তমান পৃথিবীতে ই-বর্জ্য একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা, যার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।’ কেবল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সৃষ্ট ই-বর্জ্যই নয়, বরং সব ধরনের ই-বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আন্তরিক অনুরোধ জানান।

সিম্ফনি ও জেআর রিসাইক্লিং সলিউশন লিমিটেডকে সমন্বিতভাবে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি আরও জানান যে পরিবেশ বাঁচাতে হলে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি এর পুনর্ব্যবহার, অর্থাৎ রিসাইক্লিংয়ের বিকল্প নেই। টেলিকম ইক্যুইপমেন্টের মাধ্যমে সৃষ্ট ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দেশের টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিটিআরসি থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।

সিম্ফনি মোবাইলের এমডি জাকারিয়া শাহিদ বলেন, সিম্ফনি বাংলাদেশে অনেক নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় সিম্ফনি জন্ম দিল নতুন মাইলফলকের।
বিটিআরসি এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরও জানান, সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির অংশ হিসেবে এখন থেকে সিম্ফনি মোবাইল তাদের সব ডিলার এবং রিটেইল পয়েন্টে পুরোনো ফোন, যেগুলো এখন আর কেউ ব্যবহার করেন না, সেসব ফোন জমা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করবে এবং সিম্ফনি মোবাইলে কর্মরতদের কাছ থেকেও নষ্ট হয়ে যাওয়া ফোন জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রতি ছয় মাস পরপর এই ই-বর্জ্য জেআর রিসাইক্লিংকে হস্তান্তর করা হবে।