Thank you for trying Sticky AMP!!

ঘুরে বেড়ানোর টাকা নেই?

নিত্যপণ্যের দাম যতই ঊর্ধ্বগতিতে ছুটছে, ততই মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ভ্রমণের খরচ। বাড়িভাড়া, খাবার, যাতায়াত আর চিকিৎসার পেছনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে জমানো টাকা। তাই আপাতত ঘুরে বেড়ানোটাকেই ছাঁটাই করে ফেলেছেন অনেক মধ্যবিত্ত। সুদিন ফিরলে তবেই আবার ব্যাগ গোছাবেন, এমনটাই পরিকল্পনা। তবে যতই অর্থনৈতিক সংকট হানা দিক, কিছু ভ্রমণপিপাসুর মন প্রবোধ মানে না কিছুতেই। আর এ লেখাটি তাঁদের জন্যই।

আগে থেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন

চলুন দেরি না করে চটপট জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে বাজেটবান্ধব একটা ট্যুর দিয়ে ‘মাথাটা খালি করে’ ফুরফুরে মন নিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়বেন:


১. আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন। দেশে হোক বা দেশের বাইরে, আগে থেকে পরিকল্পনা করলে হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে তুলনা করে দেখতে পারবেন কোথায় কম খরচে থাকা যায়। কোথাও কোনো অফার চলছে কি না, সেটিও খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। প্লেনে আগে টিকিট কেটে রাখলেও খরচ খানিকটা কমানো যায়। আর অনেক সময় বিলাসবহুল হোটেলেও ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলে, সেগুলো লুফে নিন। দেশে বা বিদেশে সেখানেই ঘুরতে যান, নামীদামি হোটেল বাদ দিয়ে হোস্টেল বা এ রকম কোনো জায়গায় কম খরচে থাকতে পারেন। যেখানে যাবেন, সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন এমন কোনো থাকার জায়গা আছে কি না।

Also Read: বিশ্বের যে ৪০ দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন বাংলাদেশিরা

দল যত বড় করবেন, ভ্রমণের খরচ ততই কমে আসবে

২. কোথাও ঘুরতে গিয়ে গণপরিবহনে চড়ুন। আর হোটেলের ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বাদ দিয়ে বরং ঘুরতে বেরিয়ে স্থানীয় খাবার চেখে দেখুন। এমনকি ঘুরতে বের হয়ে যদি খাবারের বিষয়টা মুখ্য না হয়, তাহলে সঙ্গে ডিম সেদ্ধও রাখতে পারেন। ডিম কিনে হোটেলে কেটলিতে বা চুলায় সেদ্ধ করে খেয়ে চালিয়ে দিতে পারেন (অবশ্য এই মুহূর্তে ডিমের দামও লাগামছাড়া! )।


৩. ছুটির দিন বা ছুটির সময় ঘুরতে বের না হলেই ভালো। সে সময় ভিড়ও যেমন বেশি, তেমনি চাহিদা বেশি থাকায় সবকিছুর দামও বেশি থাকে!


৪. কোথায় কী খরচ করছেন, সেগুলো টুকে রাখুন। খরচ লাগামের ভেতরে রাখতে সুবিধা হবে।

সরকারি ছুটির দিনে ঘুরতে বের না হওয়াই ভালো

৫. স্থানীয় বাজার থেকে দরদাম করে কেনাকাটা করুন। দাম নিয়ে ধারণা না থাকলে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন বা অন্য কয়েকটা শপ থেকে যাচাই করে নিতে পারেন।


৬. দল বেঁধে ভ্রমণ করলে এমনিতেই খরচ বেশ খানিকটা কমে আসে। বিভিন্ন ভ্রমণের গ্রুপের আয়োজনে ঘুরে আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভ্রমণের ঝক্কি আর খরচ দুটোই কমে যায়।


৭. পানি কিনে না খেয়ে পানি বহন করতে পারেন। অনেক দেশে পানির দাম তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ট্যাপের পানি ফুটিয়েও খেতে পারেন।


৮. ঘুরতে বের হয়ে জামাকাপড়, জুতা ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যত কম নিয়ে যাবেন, ততই ভালো। বরং আরামদায়ক সহজে বহন করা যায়, এ রকম কয়েকটি পোশাক নিন।