Thank you for trying Sticky AMP!!

হঠাৎ করে কি আপনার হাতের লেখার অক্ষর ছোট হয়ে গেছে? তাহলে সাবধান

পারকিনসনস ডিজিজ সমস্যায় ভুগলে হাতের লেখার অক্ষর ছোট হয়ে যেতে পারে

পারকিনসনস ডিজিজ স্নায়বিক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত (কিংবা শুধু হাতের আঙুল), চিবুক বা ঠোঁট সাধারণত বিশ্রামরত অবস্থায় কাঁপতে দেখা যায়, পেশির নাড়াচাড়ার গতি অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। হাত-পা নাড়াচাড়ায় জড়তা আসে। ভারসাম্য হারাতে পারেন রোগী। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। ভাবনাচিন্তায় অস্বাভাবিক ধীর হয়ে পড়তে পারেন। আরও নানা স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়। এ রোগ সম্পর্কে ৫টি তথ্য জেনে নিন আজ।

১. পারকিনসনস কেবল ‘বুড়ো’দেরই রোগ নয়

অধিকাংশ ক্ষেত্রে বয়স ৫০ পেরোলে প্রথমবার এ রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। তবে চল্লিশ পেরোনোর আগেও কিন্তু দেখা দিতে পারে পারকিনসনস রোগের উপসর্গ। গবেষণায় পাওয়া তথ্যমতে, প্রতি ২০ জনের মধ্যে ১ জনের উপসর্গ দেখা দেয় চল্লিশের আগেই। তাই এটাকে শুধু বুড়োদের রোগ ভাবলে ভুল হবে।

২. হাতের লেখা ও ঘ্রাণের পরিবর্তন

যাঁর হাতের লেখার অক্ষর আগে বড় আকারের ছিল, পারকিনসনস রোগের উপসর্গ হিসেবে হঠাৎ করে তাঁর হাতে লেখার অক্ষর ছোট হয়ে যেতে পারে। ঘ্রাণশক্তি কমে যেতে পারে কোনো কোনো রোগীর।

৩. শরীরচর্চা জরুরি

পারকিনসনসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁরা প্রতি সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা শরীরচর্চা করেন, তাঁরা একটু বেশি দিন তুলনামূলক ভালো অবস্থায় থাকেন।

আক্রান্ত ব্যক্তি শরীরচর্চা করা উপকারি

৪. চিকিৎসার নানান ধারা

পারকিনসনসে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপির ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৫. কারণ জানা নেই

এ রোগের সঠিক কারণ আজও জানা যায়নি। শতকরা ১০-১৫ ভাগ ক্ষেত্রে পরিবারে পারকিনসনসের ইতিহাস থাকে। তবে বাদ বাকি ক্ষেত্রে (অধিকাংশ) এমন ইতিহাস পাওয়া যায় না।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট