Thank you for trying Sticky AMP!!

ইতিহাস যেখানে মিশে আছে গল্পে

ইসাবেল আলেন্দে সমকালীন ইতিহাস নিয়ে গল্পের মধ্য দিয়ে কথা বলেন। তাঁর গল্পের বুনন অসাধারণ কিছু চরিত্রকে আমাদের সামনে নিয়ে আসে। যেসব চরিত্রের জীবনের উত্থান-পতন আমাদের শোনায় সমকালীন ইতিহাসের কিছু কথা। আর এই ইতিহাসের মূলে আছে লেখকের নিজের দেশ চিলি ছাড়াও লাতিন আমেরিকার অন্য আরও কয়েকটি দেশ।

তবে ইসাবেল আলেন্দের গল্প বলার মুনশিয়ানা ইতিহাসের ফাঁদে আমাদের আটকে রাখে না। আমরা ঘুরে বেড়াই অসম্ভবের এক জগতেও। এই জগৎকে কেউ কেউ চিহ্নিত করেন জাদুবাস্তবতা হিসেবে। তবে জাদুর পরশ সেই সব গল্পে থাকলেও এর সবটার মূলে অবশ্য জাদুর চেয়ে বাস্তবতার ছোঁয়া আছে অনেক বেশি। পাশাপাশি এসব গল্পে নেই কাহিনিকে অযথা ভারী করা তোলা তাত্ত্বিক কোনো গাঁথুনি। এ কারণেই ইসাবেল আলেন্দে পাঠকদের কাছে এতটা প্রিয় ও সমাদৃত।

ইসাবেল আলেন্দের লেখার সঙ্গে পরিচিত পাঠক দৃষ্টান্ত হিসেবে অবশ্যই মনে করতে পারেন তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘হাউস অব দি স্পিরিট’-এর কথা (মূল স্প্যানিশ ভাষায় এর নাম ‘লা কাসা দে লস এস্পেরিতাস’)। জাদুর পরশমাখা ছন্দময় এমন এক বাক্য, ‘বারাবাস আমাদের কাছে এসেছিল সাগর পার হয়ে’—এটি দিয়ে এ উপন্যাসের শুরু এবং উপন্যাসটি শেষও হয়েছে এই একই বাক্য দিয়ে। মাঝখানে লেখক শুনিয়েছেন একটি পরিবারের তিন প্রজন্মের কথা।

এখানে তিন প্রজন্মের নারীদের নিয়ে গল্প আবর্তিত হলেও এর প্রধান চরিত্র হচ্ছে প্রথম প্রজন্মের গৃহস্বামী এসতেভান ত্রেবা। নিজের পরিশ্রমে বিত্ত আর প্রতিপত্তি গড়ে নিতে সক্ষম হওয়ায় আধিপত্যবাদী ও পরমত-অসহিষ্ণু চরিত্রটি রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক দিয়ে চরম দক্ষিণপন্থী ও কট্টর সমাজতন্ত্রবিরোধী। তার স্ত্রী ক্লারা স্বামীর এমন দাপটের সামনে অসহায় বোধ করে নিজেকে সঁপে দিয়েছে অপার্থিব আধ্যাত্মিক জগতে।

আশপাশের নানা চরিত্রের মধ্যেও আছে এ রকম বাস্তব আর অপার্থিব জগতের দ্বৈত উপস্থিতি, স্বপ্ন আর বাস্তবতা, যেখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে গড়ে তুলেছে মায়াময় এক জগৎ। এসবই পাঠককে টেনে নিয়ে যায় গল্পের একেবারে শেষ পর্যন্ত। বলা দরকার, এই গল্পের মধ্যে দিয়েই একই সঙ্গে আমরা জেনে নিই লাতিন আমেরিকার দেশ চিলির বিংশ শতাব্দীর উত্থান-পতনের ইতিহাসকেও।

‘হাউস অব দ্য স্পিরিট’-এর পর বেশ কয়েকটি পাঠকপ্রিয় উপন্যাস উপহার দিয়ে এ বছরের শুরুতে ইংরেজি ভাষার পাঠকদের সামনে ইসাবেল আলেন্দে আবারও উপস্থিত হয়েছেন আরও বেশি চমকপ্রদ এক কাহিনি নিয়ে। ‘আ লং পেটাল অব দ্য সি’ নামে তাঁর নতুন এই উপন্যাসের পটভূমি খুব বিস্তৃত—স্পেনের ১৯৩০-এর দশকের গৃহযুদ্ধ থেকে শুরু করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী চিলির রাজনৈতিক বিভাজন, সালাভাদোর আলেন্দের সমাজতান্ত্রিক সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ, পিনোচেটের সামরিক অভ্যুত্থান ও স্বৈরাচারী নিষ্পেষণ, মানুষের দেশ ত্যাগ এবং সবশেষে আবারও পিনোচেটের পতনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় চিলির ফিরে যাওয়া—দীর্ঘ পটভূমি। নতুন উপন্যাসেও ইসাবেল তাঁর গল্প আমাদের শোনাচ্ছেন তিন পুরুষের বয়ানে। এখানে উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে আছেন চিলির নোবেলজয়ী কবি পাবলো নেরুদা এবং জনতার ভোটে নির্বাচিত ও সামরিক কুচক্রের সামনে পরাভূত চিলির সমাজতন্ত্রী প্রেসিডেন্ট সালভাদোর আলেন্দে।

‘আ লং পেটাল অব দ্য সি’ বা ‘সাগরের দীর্ঘ এক পাপড়ি’ নামের উপন্যাসটির মূল স্প্যানিশ ভাষার সংস্করণ বের হয়েছিল গত বছর ‘লার্গো পেতালো দে মার’ নামে। আর ইংরেজি অনুবাদ বাজারে এসেছে এ বছরের মার্চে।

উপন্যাসের নামকরণ করা হয়েছে নেরুদার কবিতার একটি লাইন থেকে। চিলিকে নেরুদা তাঁর এক কবিতায় উল্লেখ করেছিলেন সাগরের দীর্ঘ এক পাপড়ির দেশ হিসেবে। দেশটির ভৌগোলিক বিন্যাসকে কবি ঠিক এভাবে দেখেছিলেন। চিলি হচ্ছে যেন উত্তর থেকে দক্ষিণ দিক বরাবর চলে যাওয়া সরু এক করিডর, যার পশ্চিমের সবটা জুড়ে আছে প্রশান্ত মহাসাগর।

স্পেনের গৃহযুদ্ধে নেরুদার সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সেই সময়ের স্পেনকে নিয়ে লেখা তাঁর অসাধারণ কিছু কবিতার সঙ্গে আমরা কম-বেশি পরিচিত। তবে গৃহযুদ্ধে প্রগতিশীল শক্তির পরাজয় ও ফ্যাসিস্ট সেনা অধিনায়ক ফ্র্যাঙ্কোর স্পেনের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নেওয়ার পর কোন ভূমিকা নেরুদা পালন করেছিলেন, তার কিছুই আমাদের জানা নেই। ইসাবেল নিজের সর্বশেষ উপন্যাসের কাহিনি শুরু করেছেন সেখান থেকে।

স্পেনের পরাজিত প্রজাতন্ত্রী বাহিনীর প্রায় পাঁচ লাখ যোদ্ধা আশ্রয় নিয়েছিলেন ফ্রান্সে। সেখানে চরম দুর্দশার মধ্যে কাটাতে হয়েছে তাদের অভিবাসী জীবন। ফ্রান্স এদের গ্রহণ করলেও রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে সন্দেহের চোখে দেখেছিল। আশ্রয় দিলেও শরণার্থীদের জায়গা হয়েছিল বন্দী শিবিরে। এদের মধ্যে অনেকেই রোগভোগ আর অনাহার-অর্ধাহারে প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাই তুলনামূলক মুক্ত জীবনে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে অনেকেই চেষ্টা করছিলেন মেক্সিকো কিংবা চিলির মতো লাতিন আমেরিকার কোনো দেশে চলে যেতে। তবে সেই পথটি যে সহজ একেবারেই ছিল না, তার দেখা আমরা পাই ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে লেখা ভিন্ন এক দেশের অন্য এক লেখকের উপন্যাসে। ১৯৩০-এর দশকে হিটলার ক্ষমতায় আসার পর জার্মানি ছেড়ে ফ্রান্সে আশ্রয় নেওয়া ঔপন্যাসিক আন্না সেগার্স ঠিক সেই ট্র্যাজেডির ওপর আলোকপাত করে লিখেছিলেন তাঁর কালজয়ী উপন্যাস ‘ট্রান্সিট’। স্পেন থেকে পালিয়ে ফ্রান্সে আশ্রয় নিয়ে ভয়ংকর দুর্দশার মুখোমুখি হওয়া অসহায় শরণার্থীদের কথা উঠে এসেছে এই উপন্যাসে।

ইউরোপজুড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে চিলির নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রগতিশীল প্রেসিডেন্ট পেদ্রো আগিরে সেরদা সরকার গঠন করেছিলেন। তবে জনতার ভোটে বিজয়ী হলেও বিরোধী দক্ষিণপন্থীরা ক্ষমতার রাশ একেবারে ছেড়ে দেয়নি। তারা নানাভাবে সরকারকে হেনস্তা করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছিল। ফলে সাবধানে পা ফেলে চলতে হচ্ছিল বামপন্থী প্রেসিডেন্টকে। এ সময় ফ্রান্সে আটকা পড়া স্পেনের শরণার্থীদের দুর্দশা লাঘবের চেষ্টায় এদের একটি অংশকে চিলিতে আশ্রয় দেওয়ার অনুমতি নেরুদা আদায় করে নিলেন প্রেসিডেন্ট আগিরে সেরদার সরকারের কাছ থেকে। তবে সরকার এ রকম একটি শর্ত সেখানে জুড়ে দিয়েছিল যে নেরুদা যেন ভিসা দেওয়ার আগে আশ্রয় গ্রহণে আগ্রহীদের সামাজিক অবস্থান যাচাই করে দেখেন। কেবল তা-ই নয়, শুধু কায়িক শ্রমে নিয়োজিত থেকে চিলির সমাজে যাঁরা অবদান রাখতে পারবেন, তাঁদেরই যেন ভিসা দেওয়া হয়, এটিও বলা ছিল। নেরুদা অবশ্য সেই শর্ত উপেক্ষা করে পেশাজীবী, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক—এমন অনেককেই চিলি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন।

শরণার্থীদের দীর্ঘ পথ ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য চিলির সরকার নেরুদাকে ফ্রান্সে দেশের বিশেষ কন্সাল হিসেবে নিয়োগ দিলেও হাজার দুয়েক শরণার্থীকে পরিবহনের জন্য জাহাজের ব্যবস্থা নেরুদার নিজেকেই করে নিতে হয়েছে। নিজের গাঁটের পয়সা আর সেই সঙ্গে বন্ধু আর পরিচিতদের কাছ থেকে ধার-কর্জ করে সংগৃহীত অর্থে পুরোনো একটি জাহাজ ‘উইনিপেগ’ ভাড়া করেছিলেন নেরুদা।
ইসাবেল আলেন্দের নতুন উপন্যাসের প্রধান চরিত্রে আছেন শরণার্থীদের বহনকারী সেই জাহাজের দুজন যাত্রী, ঘটনাক্রমে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় তাঁদের দিতে হলেও সেই পরিচয়ের পেছনে রয়ে গেছে আরেক করুণ কাহিনি।

স্পেন থেকে বিতাড়িত হয়ে সুদূর চিলিতে নতুনভাবে জীবন শুরু করা এই শরণার্থীদের কাহিনির পটভূমিতে আছে চিলি, যদিও প্রধান চরিত্রদের মাঝেমধ্যে অন্য কোনো দেশে পাড়ি জমাতে হয়েছে, তবুও চিলিতেই তাঁরা বারবার ফিরে গেছেন। ‘হাউস অব দ্য স্পিরিট’-এর মতোই এখানেও পাট্রিয়ার্ক বা পরিবারের কর্তৃত্বময় পুরুষ হিসেবে উপস্থিত দক্ষিণপন্থী ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ইসিদ্রো দেল সোলার। এই ব্যক্তির মধ্যে দিয়ে আমরা জানতে পারি চিলির বুর্জোয়া শ্রেণির ভাবনাচিন্তা।

ইসাবেল আলেন্দে উপন্যাসের ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন, উইনিপেগ জাহাজে স্পেন থেকে চিলিতে যাওয়া যাত্রীদের একজন ভিক্তর পেই কাসাদোর কথা, বৃদ্ধ বয়সে লেখককে যিনি শুনিয়েছিলেন সেই দিনগুলোর কথা। ফলে বাস্তবের সেই ভিক্তরকে লেখক গল্পে উপস্থিত করেছেন ভিক্তর দালমাউ হিসেবে। বাস্তব জীবনের ভিক্তরকে পরিস্থিতির চাপে পড়ে বারবার দেশছাড়া হতে হয়েছে। এদিকে গল্পের ভিক্তরকেও আমরা দেখি আলেন্দে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আশায় বুক বাঁধা সত্ত্বেও পিনোচেটের আগমনে নির্যাতনের শিকার হয়ে চিলি ছেড়ে চলে যেতে। তত দিনে চিলির মাটিতে শিকড় গেঁথে গেলেও নিজেদের স্প্যানিশ অস্তিত্ব তারা তখনো ভুলে যাননি। তবে স্পেনে তখন পর্যন্ত ফ্র্যাঙ্কোর একনায়কতান্ত্রিক শাসন কায়েম থাকায় সেখানে যাওয়ার পথ তাঁদের জন্য ছিল বন্ধ; উপরন্তু প্রবাসে তাঁরা অপেক্ষায় থেকেছেন চিলিতে আবারও সুদিন ফিরে আসার। পিনোচেটের ক্ষমতাচ্যুতিতে সেই সুদিন ফিরে এলে ভিক্তর ও তাঁর স্ত্রী রোসার আবারও ফিরে যান চিলিতে, যেখানে বৃদ্ধ বয়সে আবারও নতুন করে গড়ে তোলেন নিজেদের পেশা আর সংসার। এর আগে ১৯৭৫ সালে স্পেনে ফ্র্যাঙ্কোর মৃত্যুর পর পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করলে আশায় বুক বেঁধে দুজনে তারা নিজেদের আদি বাসভূমি স্পেনের বার্সেলোনায় ফিরে গেলেন। কিন্তু নিজেদের হারিয়ে যাওয়া দেশের দেখা সেখানে তাঁরা আর পাননি। তাই আবারও তাঁদের ফিরে যেতে দেখা যায় চিলিতে, যে দেশের মাটিতে তাঁদের শিকড় শক্তভাবে তত দিনে গেঁথে গেছে।

নিজের উপন্যাসকে ইসাবেল আলেন্দে বর্ণনা করেছেন বাস্তুচ্যুতি, ভালোবাসা, বেদনা ও আশার গল্প হিসেবে। মাতৃভূমি থেকে মূলোৎপাটিত হয়ে রাজনৈতিক শরণার্থী যাঁদের হতে হয়, তাঁদের মনে একটি প্রশ্ন দেখা দেয় সব সময়, কোথায় তাঁদের শিকড়? কোন সমাজের তাঁরা অংশীদার?

ভিক্তর দেলমাউ শেষ জীবনে এসে প্রশ্নের যে উত্তর খুঁজে পেয়েছেন তা হলো, নতুনভাবে জীবন গড়ে নেওয়া সমাজে বঞ্চনা আর অপ্রাপ্তি থেকে গেলেও সেটাই হচ্ছে তাঁর পরিচয়। ফলে অন্যভাবে এই উপন্যাসকে শরণার্থী জীবনের বেদনা আর হাহাকারের ভাষ্যরূপও বলা চলে।

ইতিহাস ও জীবনের বাস্তবতা উপন্যাসে গভীরভাবে উপস্থিত থাকলেও ইসাবেল আলেন্দে এটাকে গেঁথেছেন ভালোবাসার কাহিনি দিয়ে। একাধিক ভালোবাসা ও ভালো লাগা এখানে সমান্তরালভাবে বহমান, উপন্যাসকে যা দাঁড় করিয়ে দিয়েছে শক্ত গাঁথুনির ওপর। এই গাঁথুনির মধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন পাবলো নেরুদা, সালভাদোর আলেন্দেসহ বাস্তবের আরও অনেক চরিত্র। বিশেষত, নেরুদার উপস্থিতি উপন্যাসে এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা।

১২টি অধ্যায়ের সব কটিই শুরু হয়েছে নেরুদার কবিতার পঙ্‌ক্তি দিয়ে। এখানে আছে আলেন্দের মৃত্যু আর নেরুদার অন্তেষ্টির অনুষ্ঠানে সামরিক জান্তার কঠোর নজরদারি উপেক্ষা করে সমবেত জনতার মুক্তির স্লোগান দেওয়ার বর্ণনা। অন্যদিকে আলেন্দের সমাজতান্ত্রিক সরকারকে যত রকমভাবে পারা যায় হেয় করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ষড়যন্ত্র, এখানে যেমন দেখা যায়, একইভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য পিনোচেটের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টাও এতে দৃশ্যমান হয়েছে।

সব মিলিয়ে ইতিহাস এখানে নতুন এক ব্যাপ্তি নিয়ে উপস্থিত, যা আমাদের মধ্যে বেদনা জাগিয়ে তুললেও একই সঙ্গে আশার বাণী শোনাতেও ভোলে না।

অন্য আলো ডটকমে লেখা পাঠানোর ঠিকানা: info@onnoalo.com