Thank you for trying Sticky AMP!!

কোলাজ: রুবী রহমানের ছবি অবলম্বনে আমিনুল ইসলাম

‘ছায়ার মতো মেঘ জমেছে’

কবি রুবী রহমানের আজ জন্মদিন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রকাশিত হলো এই লেখা।

শীতের সন্ন্যাস ছেড়ে শরতের শুভ্রতা, মুগ্ধতা ও শ্বেত-দুগ্ধ আলোর মধ্যেও ছায়ার মতো মেঘ জমে থাকে যে মনে, তিনি কবি রুবী রহমান।
দুর্দান্ত ষাটের এই কবি রুবী রহমান জন্মেছিলেন ১৯৪৬ সালের ৩ ডিসেম্বর, কলকাতার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে ইন্ডিয়ান ইনিস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি)। সময়ের বিবেচনায় তিনি এখন ৭৪ শেষ করে ৭৫–এর ভেলা ভাসালেন আয়ুর জলে।
ষাট দশকের মানবতার কবি হিসেবে রুবী রহমান উল্লেখযোগ্য, তাঁর অন্য সব পরিচয় ছাপিয়ে। এ পর্যন্ত চারটি কাব্যগ্রন্থ তাঁর প্রকাশিত হয়েছে। সেই অর্থে বহুলপ্রজ নন তিনি। তবে কবিতায় তাঁর নিজস্ব কণ্ঠস্বরটি উৎকীর্ণ রয়েছে। নারীর জীবনবীক্ষণে দেখা তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে নারীর জীবনোপলব্ধি ও অনুরসে যাপিত জীবনের বহু অনুষঙ্গ এই কবির কবিতার বিষয় হয়ে এসেছে। তবু নারীর অভিজ্ঞতা ও অনুভবকে নিমজ্জন করেই তাঁর উচ্চারণ হয়ে উঠেছে সত্য-সুন্দর ও মানবিকতার পক্ষে। বাংলা কাব্যসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
রুবী রহমান শ্রমিকনেতা ও গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি নূরুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের সংসারে এক ছেলে তমোহর, এক মেয়ে মৌটুসী জন্মগ্রহণ করেন।
যতদূর জানি, ষাট দশকে রুবী রহমানের কবিবন্ধু ছিলেন রফিক আজাদ, রবিউল হুসাইন, বেলাল চৌধুরী, মান্নান সৈয়দ, আসাদ চৌধুরীর মতো যশস্বী কবিরা। কী করে যেন একসময় আমিও তাঁর জুনিয়র বন্ধুর স্বীকৃতি পেয়েছিলাম। আমাদের দুজনের পেশা ছিল অধ্যাপনা—তিনি ইংরেজি সাহিত্য আর আমি পড়াতাম বাংলা ভাষা ও সাহিত্য। ফলে বুঝতাম, তিনি আমাকে পছন্দ করেন। পরে রফিক আজাদের সঙ্গে জীবন সংযুক্ত হলে তাঁদের মতো প্রতিভাবান কবিদের মহলে আমিও প্রবেশাধিকার পেয়ে যাই। রুবী রহমানের গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করে প্রথম দেখেছিলাম দেশপ্রেমে আলোকিত অপরূপ এক অসাধারণ গুণী মানুষকে, যিনি কবিকে ধারণ করেছিলেন জলাধারে কোমল লাল পদ্মের মতো। কবির প্রতি ছিলেন যেমন অনুগত, তেমনি তাঁর ভালোবাসা, বিশ্বাস যেন মর্মের বাণীতে আপ্লুত ছিল গভীরভাবে। তাঁদের দুজনকে দেখে মনে হতো স্বর্গের দুজন যেন অবিচ্ছেদ্য প্রাণ।
সাধারণ প্রান্তিক মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের রাজনীতির দর্শনে বিশ্বাসী অসাধারণ আদর্শবান, সৌম্যদর্শন মানুষটিকে আমি ইসলাম ভাই বলে ডেকেছি, তাঁর কাছে পেয়েছি অকৃত্রিম, অপার স্নেহ, যা আমাকে তৎকালীন বাস্তবতার নিরিখে সাহস ও শক্তি জুগিয়েছে পথ চলতে। আর অগ্রজ কবি হিসেবে রুবী রহমানের প্রেরণা, আশীর্বচন ও অপার উৎসাহ কাব্যযাত্রাপথে আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছিল, কবিতার ঐন্দ্রজালিক মহরতে।
আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘পিতা কিংবা পুত্র অথবা প্রেমিক’ বইটি পড়ে তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘দিলারা, তোমার বইটি শেষ না করে ওঠা যায়নি।’ প্রণিধানযোগ্য একজন অগ্রজ কবির কাছ থেকে এক বাক্যের এই প্রেরণাটুকু বুকে ধারণ করে আজও অনিঃশেষ বায়বীয় এই শিল্পের পথে একজন নির্ভীক মোহান্ত পথিক হিসেবে হাঁটছি তো হাঁটছি আমি।
মনে পড়ে, আশির দশকে আমাদের দুজনের কাব্যগ্রন্থের প্রথম মুদ্রিত যাত্রাটি ছিল আটজন কবির সম্মিলিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অভিযাত্রার অংশ। যেখানে এক মলাটের ভেতরেই দ্বৈতসত্তার উন্মোচনে প্রিয় পাঠকেরা পেয়েছিল ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের আরক্তিম কিছু পঙ্‌ক্তি।
কবি হিসেবে রুবী রহমানের নাম সর্বত্রই উচ্চারিত হতে শুনেছি, কিন্তু ছাপার অক্ষরে বই নেই। সাহিত্যের পাতায় খুঁজলে তাঁকে তখন পাওয়া যায় অনায়াসে। সেই রকম একসময়ে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা।
চারজন পুরুষ কবির সঙ্গে চারজন নারী কবির কবিতা প্রয়োজন। আটজন কবির কবিতা নিয়ে চারটি বইয়ের মলাটে নিজ নিজ ছবিসহ রুবী আপার মতো আমিও আবদ্ধ হয়েছিলাম সেদিন।
যতদূর মনে পড়ে, রুবী রহমানের সঙ্গে বাকি অর্ধেক কবি আসাদ চৌধুরী আমি যুক্ত হলাম রফিক আজাদের সঙ্গে। এভাবে এক মলাটে নারী-পুরুষ দুজনের কবিতা নিয়ে ১৯৮২ সালে প্রকাশিত হলো ভালোবাসার কবিতার চারটি বইয়ের একটি সেট। প্রকাশনা জগৎ ও কবিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল অভিনব এই প্রকাশনার উদ্যোগ, যার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন কবি রফিক আজাদ।
দীর্ঘ বিরতি দিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল রুবী রহমানের একক কাব্যগ্রন্থ, যার নামকরণের মধ্যেই ছিল অধিচর্চিত জীবনানন্দ দাশের গন্ধময় এক উদ্ভাস। তাই তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থের শিরোনাম হলো ‘যে জীবন ফড়িঙের’।

সন্তানের নামকরণে প্রকাশিত ‘তমোহর’ কাব্যেও এ রকম কিছু কবিতা আছে, যা পাঠকমাত্রের হৃদয়কে স্পর্শ করে গভীরভাবে। করুণ রসের এক গভীর ব্যঞ্জনায় প্রত্যেকের হৃদয়ে ভিন্ন ভিন্ন চিত্রকল্পে নবজন্ম লাভ করে ‘তমোহর’ নামের অকালপ্রয়াত সন্তানটি। ব্যক্তিবিশেষের হয়েও কাব্যের ‘তমোহর’ নামটি নির্বিশেষ হয়ে পাঠকহৃদয়কে আলোড়িত করে বিপুল শোক ও দুঃখের তপস্যায়।

এরপর ‘কান পেতে আছি, মৌমাছি’। চতুর্থ বা সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থটি একমাত্র পুত্রসন্তান ‘তমোহর’ নামে প্রকাশিত হয়েছে, বড় বেদনাকে ধারণ করে।
ভালোবেসে যেকোনো মা তাঁর সন্তান-সন্ততির নামে যেকোনো ধরনের গ্রন্থ রচনা করতেই পারেন। কিন্তু এর নেপথ্যে যদি সর্বস্ব হারানোর মতো বিয়োগান্তক করুণ ট্র্যাজিক কাহিনির বাস্তবতা সক্রিয় থাকে, বলাই বাহুল্য তা পাঠক হৃদয়কেও ছিন্নভিন্ন করে তোলে। প্রসঙ্গত মনে পড়ছে, কাজী নজরুল ইসলাম একসময় ‘বুলবুল’ নামের তাঁর ছোট ছেলেকে হারিয়ে শোকে-দুঃখে-কাতর হৃদয়ে একটি কালজয়ী অমর সংগীত রচনা করেছিলেন, ‘ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি’।
এই সংগীতের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিবিশেষের শোক তখন নির্বিশেষ হয়ে উঠেছে, তা কেবল কাজী নজরুল ইসলামের পিতৃহৃদয়ের শোক হিসেবে সীমাবদ্ধ থাকেনি। জগতের সব সংগীতপিপাসু পিতৃহৃদয়কে তা স্পর্শ করেছে, এখানেই চিরন্তন শিল্পের সার্থকতা।
সন্তানের নামকরণে প্রকাশিত ‘তমোহর’ কাব্যেও এ রকম কিছু কবিতা আছে, যা পাঠকমাত্রের হৃদয়কে স্পর্শ করে গভীরভাবে। করুণ রসের এক গভীর ব্যঞ্জনায় প্রত্যেকের হৃদয়ে ভিন্ন ভিন্ন চিত্রকল্পে নবজন্ম লাভ করে ‘তমোহর’ নামের অকালপ্রয়াত সন্তানটি। ব্যক্তিবিশেষের হয়েও কাব্যের ‘তমোহর’ নামটি নির্বিশেষ হয়ে পাঠকহৃদয়কে আলোড়িত করে বিপুল শোকে ও দুঃখের তপস্যায়।
‘তমোহর’ নামের আপাত সর্বশেষ এই কাব্যে রুবী রহমানের সার্থকতা এসেছে শোক-দুঃখ ও দহনের অতলান্তিক বেদনা-গহ্বর থেকে। প্রসঙ্গত, তাঁর ‘মানুষ কতটা অবিনাশ’ কবিতাটি উল্লেখ করা যায়:

‘পল্টনে সবুজ মাঠ পড়ে আছে রক্তে লাল লাশ,
মানুষের খানিকটা অবিনাশ, বাকি বেধড়ক সর্বনাশ
সূর্য উঠে আচমকা ভেবেছিল ফুটেছে পলাশ,
এত রক্ত মানুষ মেখেছে দুই হাতে
তাই এক টুকরো মেঘে
মুখ ঢেকে সূর্য পাশ ফিরে শোয় পুবের আকাশে
আলো আর উত্তাপে মানুষের নেই কোনো কাজ
অন্য কোনো পৃথিবীর দিকে সূর্য চলে যাবে,
করছি আন্দাজ।
(‘মানুষ কতটা অবিনাশ’)

প্রথমেই উল্লেখ করেছি, বৈবাহিক সূত্রে তিনি রাজনীতিকে জেনেছেন, সাহিত্যেকে পাশে রেখে।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে নির্বাচনের মাত্র ২৬ দিন আগে রুবী রহমানের ছেলে তমোহর ও স্বামী নূরুল ইসলাম রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় এক রহস্যজনক দহনে মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনার ১২ বছর পার হতে চলেছে। এখনো ঘটনার নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পায়নি তদন্তকারী সংস্থা ও তদন্ত কর্মকর্তারা।
অথচ কবি নিজেই তাঁর স্বামী ও ছেলের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছেন বারবার।
হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঝুলিয়ে রেখে নবম জাতীয় সংসদের মাননীয় সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হলো কবিকে।

মহিলা আসন–২৭ থেকে মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যও হলেন চোখের জল সামলে নিয়ে।
প্রিয় স্বামী ও একমাত্র আত্মজ ইসলাম তমোহরকে হারিয়ে তিনি দেশ ও দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে, তাঁদের সার্বিক অবদান মূল্যায়নে আত্মনিয়োগ করে কাজে ডুবে থাকলেন উপায়ান্তরহীন সেই সব রক্তাক্ত পাঁচিলঘেরা দিনে। সাহিত্য ও রাজনীতির মধ্য দিয়ে তিনি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ভালোবাসা পেলেন, নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে ভুলতে চাইলেন হৃদপিণ্ডের তুমুল ক্ষত।
কিন্তু পাঁচ বছর সংসদ সদস্য থেকেও বিচার পেলেন না তিনি। বিচারের বাণী সর্বত্রই নিভৃতে কেঁদেছে, আজও কাঁদে।
২০১৮ সালে রুবী রহমানের স্বামী ও পুত্রহত্যার বিচার চেয়ে যে সভাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আনিসুজ্জামান স্যার ছিলেন প্রধান অতিথি, শোকার্ত কবি সেখানে সভাপতি। তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গী, সতীর্থরা উপস্থিত ছিলেন এখানে।
একমাত্র কন্যা মৌটুসিও উপস্থিত ছিল সেদিন। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী কন্যা মাঝেমধ্যে মায়ের জন্য দেশে আসে, আবার তার কর্মস্থলে তাকে চলে যেতে হয়।
একাকী এই সংগ্রামে রুবী রহমান আজও যেন মহাভারতের সেই একলব্য নিষ্ঠায় অনড়। শুধু মন্ময় শব্দের কবি নন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, প্রতিবাদী একজন জীবনসংগ্রামী নারীর অপর নাম আজ কবি রুবী রহমান।
একাকী পথেই চলছে এই আত্মিক সংগ্রাম।
সেদিনের সেই শোকসভা থেকে ফিরে বিষাদে বিহ্বল আমি ‘কবি রুবী রহমান’ শিরোনামে একটি কবিতা লিখেছিলাম। আজকের দিনে আমার রচিত ‘কবি রুবী রহমান’ শীর্ষক কবিতাটি হোক আপনার জন্মদিনের পুষ্পার্ঘ্য:

কবি রুবী রহমান
(শ্রমিকনেতা নূরুল ইসলামের স্মরণে)

একদা তোমার রূপে একদিন ফুটেছিল তরল আগুন
ভেতরে প্রবহমান বেজেছিল কবিতার অমৃত সংগীত
বাঙ্‌ময় বিষাদে তুমি আজ এক উদ্বেলিত শোকের মূর্চ্ছনা
নির্গত লাভার লাল দহনে পুড়ছে অদিনের অন্ধকার
শ্যামল কবিতা ছাড়া এই সন্তাপে কে দেবে তোমাকে সান্ত্বনা
কোথায় জুড়োবে আর প্রাণ, স্পর্শহীন প্রাণের অসীম জল,
তোমার মূরতি আজ তুমিহীন, শরাবের গানের গজল
হারিয়ে সন্তান, প্রিয় সখা নিজেকে সঁপেছ আজ অতিদূর
শূন্যতার ওই উদ্যানে, গোপন আত্মার এক নিরামিষ ভোজে
বিচারের বাণী কেন তবু কাঁদে আজও এই নিভৃতে একাকী?
শ্রমিকের রক্ত-ঘামে আজও দেখো সব শকুনের ওড়াউড়ি
শোষণের ইতিহাস ভুলে তাই অযথা সে বাজায় খঞ্জনি?
বিদ্ধবাণে হায়েনারা হাসে, যেন ক্রীতদাসের ক্লিন্ন আকুতি;
অনাদি, তোমার রূপে একদিন ফুটেছিল তরল আগুন
ভেতরে প্রবহমান বেজেছিল কবিতার অমৃত সংগীত
প্রকৃত সত্যের কাছে অনড়, হার না মানা হেমলক হাতে
তুমি আজও পাশে আছ জনতার, অবিনাশী কবিতায়;
সত্যের-সরোদ তুমি জেগে ওঠো হিরন্ময় আলোর মিছিলে।

সাহিত্য ও রাজনীতির মধ্য দিয়ে তিনি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ভালোবাসা পেলেন, নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে ভুলতে চাইলেন হৃদপিণ্ডের তুমুল ক্ষত।
আমৃত্যু এই ক্ষত শুকানোর নয়, তবু আজকের এই বিশেষ জন্মদিন হয়ে উঠুক কবিতার দিন। সাহিত্য সতীর্থের দিন। আপনি আবার জেগে উঠুন, দুই হাতে লিখুন আপনার দুঃখ-বেদনা এবং কষ্ট-কথনের কাব্যকথা। ভালোবাসার কথা।
৭৫তম জন্মদিনে আপনি আমাদের অভিবাদন গ্রহণ করুন কবি।

অন্যআলো ডটকমে লেখা পাঠানোর ঠিকানা: info@onnoalo.com