Thank you for trying Sticky AMP!!

পেনকুট্টি অরই

‘বাঘ আঁকতে পারিস?’

চুপ করে থাকল।

‘কী রে? বাঘ আঁকতে পারিস?’

কোনোরকমে বলল বাঘ আঁকতে পারে। কিন্তু বলছে না। ভয়ে বলছে না।

‘কার ভয়ে রে?’

কোনোরকমে বলল, ‘বাঘের।’

কী সর্বনাশ!

অরইকে নিয়ে এই গল্পটা বানানো।

বড়বাবা বানিয়ে বলে।

মোটেও সে রকম না অরই।

বাঘের মাসিকেই ভয় পায় না, আর ভয় পাবে বাঘকে? হাসির কথা!

বাঘের মাসি হলেন বেড়াল।

তিনাপিপি বলেছে অরইকে।

‘সব মেকুর বাঘের মাসি, তিনাপিপি?’

‘হ্যাঁ–অ্যা–অ্যা, সব মেকুর। বাঘের মাসি। আরে! এই! হাসিস কেন তুই? আরে!’

‘সব মেকুর মাসি বাঘের? বাবা মেকুরও?’

‘ওরে লিটল বদমায়েশ!’

অরইরা বেড়ালকে বলে মেকুর।

পূর্ণাপিপি মেকুর পোষে। মেকুরের নাম পেনকুট্টি। তিনাপিপি কখনো কখনো পূর্ণাপিপিকে বলে মহাজ্ঞানী। সেই মহাজ্ঞানী পূর্ণাপিপি বলেছে, মালয়ালম ভাষার একটা শব্দ পেনকুট্টি।

এর মানে ‘মেয়ে’।

কী? একটা মেকুরের নাম মেয়ে।

অরইয়ের কী যে হাসি পায়।

অরই একদিন মিথুন ভাইয়ের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিয়ে বড়বাবার সঙ্গে কথা বলেছে।

‘বড়বাবা!’

‘কী–ই–ই?’

‘পূর্ণাপিপির মেকুরের নাম জানো?’

‘না তো। কী–ই–ই?’

‘পেনকুট্টি!’

বলে কী হাসি অরইয়ের।

‘পেনকুট্টি বাঘের মাসি, বড়বাবা। আমি পেনকুট্টিকে ভয় পাই না। বাঘকে ভয় পাই না।’

‘খুব ভালো। বাঘ আঁকতে পারো?’

‘পারি–ই–ই–ই।’

‘আমাকে একটা বাঘের ছবি এঁকে দিয়ো।’

‘দেব–ও–ও–ও।’

অরই বাঘের ছবি আঁকল। মিথুন ভাইয়ের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাল বাবার ফোন থেকে। বড়বাবা সেই বাঘ দেখে ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল। কী হাসির কথা।

তবে এ নিয়ে বড়বাবা যে একটা গল্প লিখে ছাপিয়ে দেবে, অরই ভাবেনি মোটেও।

এই যে গল্পটা।

মোবাইলফোন থেকে পূর্ণাপিপি মাত্র পড়ে শোনাল অরইকে।

গল্পের নাম কী?

ওররে!

গল্পের নাম ‘পেনকুট্টি অরই’।