Thank you for trying Sticky AMP!!

চার্চিলের আঁকা মসজিদের ছবি

চার্চিলের আঁকা সেই ছবি ‘টাওয়ার অব কুতুবিয়া মস্ক’। সম্প্রতি এটি নিলামে উঠেছে

জানুয়ারি ১৯৪৩। মরক্কোর কাসাব্লাংকা কনফারেন্সে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানিকে কীভাবে হারানো যায়, সে পরিকল্পনা করতেই মরক্কো এসেছেন দুজন। কিন্তু চার্চিলের দৃষ্টি গেল অ্যাটলাস পর্বতমালার পাশের এক মসজিদের দিকে। মসজিদের ওপর দিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্যেও দারুণ মজে গেলেন তিনি। এমনকি রুজভেল্টকেও টেনে এনে দেখালেন দৃশ্যটি।

ধারণা করা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চার্চিল একটি মাত্র ছবিই আঁকেন ‘টাওয়ার অব কুতুবিয়া মস্ক’। অ্যাটলাস পর্বতমালার পাশের মসজিদটির ওপর দিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার মনোলোভা দৃশ্যের ছবি এটি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুই ক্রীড়নক অ্যাডলফ হিটলার ও উইনস্টন চার্চিল দুজনেই ছবি আঁকতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ছবি আঁকা শুরু করে জীবদ্দশায় শ পাঁচেক ছবি এঁকেছিলেন উইনস্টন চার্চিল।

পরবর্তীকালে মসজিদের ওই ছবি রুজভেল্টকে উপহার দেন চার্চিল। তবে ‘কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়ায়’ প্রবাদকে সত্য প্রমাণ করতেই যেন রুজভেল্টকে দেওয়া চার্চিলের সেই ছবি হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির হাত ঘুরে এখন চলেছে অন্য গন্তব্যে।

‘টাওয়ার অব কুতুবিয়া মস্ক’ ছিল রুজভেল্টের ছেলের কাছে। ১৯৬০ সালে ছবিটি তিনি চলচ্চিত্রের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। তারপর কয়েকজনের হাত ঘোরা শেষে ২০১১ সালে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সাবেক স্বামী ব্র্যাড পিট জোলিকে উপহার দেন ছবিটি। আর এই ১ মার্চে বিরল ছবিটি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।

নিলামে ছবির দাম উঠেছে ৭০ লাখ পাউন্ড, বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য প্রায় বিরাশি কোটি নব্বই লাখ। সবাই ভেবেছিল, দাম বড়জোর ২৫ লাখ পাউন্ডের মতো উঠবে। কিন্তু ভাবনার তিন গুণ ছাড়িয়ে গেল চার্চিলের আঁকা মসজিদের ছবিটি। এক ছবি নিয়ে এত কাণ্ড বেশ আজবই বটে।

সূত্র: বিবিসি