Thank you for trying Sticky AMP!!

ইব্রাহীম কাঈফ এবং একজন কাসিমজী

দিন কয়েক আগে তিন কিস্তিতে একটা ছবি দেখা হলো। ‘ম্যাটেরিয়াল’। দক্ষিণ আফ্রিকার পরিযায়ী ভারতীয় জনগোষ্ঠীকে নিয়ে। মূলত মুসলমান জনগোষ্ঠীই এ ছবির মূল উপজীব্য। আফ্রিকায় ভারতীয়দের হিজরত বহুদিনের। আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে ভারতীয় বণিকদের আনাগোনা ছিল অন্তরীপে ওলন্দাজ উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার আগেই। সেটা ১৬৫০-এর দিকে। সাম্রাজ্য বিস্তারের পর ওলন্দাজরা দাসখত লিখিয়ে শ্রমিক নিয়ে যায় ভারত থেকে। মূলত মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই) ও কিছু পরিমাণে কলকাতা থেকে। তখন বৃক্ষরোপণ, আখ চাষ, চিনিকল ও খনির কাজ আর রেললাইন বসাতে ব্যবহার করা হতো তাদের। এটা ছিল ১৮৬০ থেকে ১৯১১—এই সময়কালে। এরপর প্রশান্ত মহাসাগরে গড়িয়েছে অনেক জল।

আরব সাগরে ভেসে বহু মানুষ নানা কারণে পরবাসী হয়েছে। এদের একটা বড় অংশ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। ক্রমে বিভুঁই হয়ে উঠেছে তাদের স্বভুঁই। নিজেদের জগৎ তৈরি হয়েছে। গুজরাটিদের বেশ বড় সড় কমিউনিটি আছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। কেনিয়াতেও দেখেছি। এরা বিত্ত ও প্রতিপত্তিশালী। এই গুজরাটিরা পরবর্তীকালে আসে। তবে গায়েগতরে খাটতে নয়, ভাগ্য অন্বেষণে বা ব্যবসা করতে। এরা নিজেরাই নিজের ভাড়া দিয়ে জাহাজে চাপে। এ জন্য এদের বলা হতো প্যাসেঞ্জার ইন্ডিয়ান। এরা প্রথম আসে ১৮৬৯ সালে। ডারবানের ফিল্ড স্ট্রিটে প্রথম ভারতীয় স্টোর খোলা হয় ১৮৭২ সালে। গুজরাটিদের মধ্যে মেমন আর সুর্তিরাই মূলত নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। তত দিনে ওলন্দাজদের হাত গলে ক্ষমতা স্থানান্তর হয়েছে ব্রিটিশদের কাছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন শহরেই রয়েছে এরা। হয়েছে প্রজন্মান্তর। রেনবো নেশনে যোগ করেছে রং আর বৈচিত্র্য। ডারবান থেকে প্রথমে তারা ছড়ায় জোহানেসবার্গে। জোহানেসবার্গেরই শহরতলি ফোর্ডসবাগের একটি গুজরাটি মুসলিম পরিবারকে ঘিরে আবর্তিত ‘ম্যাটেরিয়াল’ ছবির গল্প। মূলত, কমেডি জনার। কম বাজেটের ছবি। মাত্র দেড় ঘণ্টার। এটা বলা যেতে পারে মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার পরিযায়ী ভারতীয়দের নিয়ে নির্মিত প্রথম কোনো ছায়াছবি।

প্রজন্ম-দ্বন্দ্ব থেকে ধর্মীয় বিধিনিষেধ, পারিবারিক মূল্যবোধ আর আশা-আকাঙ্ক্ষাসহ নানা খুঁটিনাটি বিষয় চমৎকার মুনশিয়ানায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক ক্রেইগ ফ্রেইমন্ড। পারিবারিক কাপড়ের দোকানের দায়িত্ব নিয়ে কাসিম কাইফ ব্যবসাকে আরও বড় করবে, এই ছিল আশা। কিন্তু বাবা ইব্রাহিম কাইফের দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন হোঁচট খায় ছেলের স্ট্যান্ডআপ কমেডির খবরে। তারপর ছবি এগোয়। তবে মজার বিষয় হলো, ২০১২ সালে নির্মিত ছবি নিয়ে এ লেখা নয়; বরং ছবিটি দেখে আমার রোমন্থনের নেশা চেপেছে। ছবির মূল চরিত্র কাসিম ইব্রাহিম। এই কাসিম নাম এবং তার বাবার ভূমিকায় অভিনয় করা ভিনসেন্ট ইব্রাহিমের চেহারা—দুটো মিলে আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ২০ বছর আগের পিটারমারিজবার্গে। উসকে দিয়েছে কোয়াজুলু নাটালের রাজধানীতে মাত্র দিন তিনেক কাটানোর অমলিন স্মৃতি। ২০০০ সাল। তখন পুরাদস্তুর ক্রীড়া সাংবাদিকতা করি। এর দুই বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেট উন্নয়ন ও বিশ্বায়ন নিয়ে আইসিসির কার্যক্রম। তত দিনে আইসিসি ট্রফি জিতে বাংলাদেশ বিশ্বকাপও খেলে ফেলেছে। আইসিসি ট্রফি জেতার পরের বছরেই পেয়েছে ওয়ান ডে স্ট্যাটাস। আর ২০০০ সালের জুনে টেস্ট মর্যাদা। ঢাকা তখন সরগরম তারকা ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, কর্মকর্তা আর নানা ক্রিকেট–সংশ্লিষ্টদের ভিড়ে। ১৯৯৮ সালে ক্রিকেট উন্নয়নের স্বার্থে আইসিসি প্রথম নকআউট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বা মিনি ওয়ার্ল্ড কাপ আয়োজন করে। স্বাগতিক ছিল ঢাকা। কথা ছিল ওটাই শেষ। কিন্তু প্রথম আয়োজনের কড়ি গুনে উৎসাহিত আইসিসি দুই বছর পর আবারও আসর বসায়। সেবার স্বাগতিক ছিল নাইরোবি। এই আসর অবশ্য পরে বন্ধ না করে নাম বদলে হয়ে যায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। যা হোক, দ্বিতীয় আসর ঢাকা থেকে কভার করতে যাই কয়েকজন মাত্র ক্রীড়া সাংবাদিক। নাইরোবিতে এক রাতে, দিনের কাজ শেষে স্টেডিয়াম থেকে ফেরার সময় ঘটে এক দুর্ঘটনা।

সে প্রসঙ্গের অবতারণা না হয় অন্য কোনো সময় করা যাবে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, ১৯৯৮ সালে ঢাকায় নকআউট ক্রিকেট চলাকালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের কোচ রস টার্নারকে নিয়োগ দেওয়া হয় আইসিসির প্রথম বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে। আর দুই বছর পর কেনিয়ায় এই দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় নিউজিল্যান্ডের অ্যান্ড্রু ইডকে। পরে তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী হয়েছিলেন। মজার বিষয় হলো, ইডের ছেলেবেলার বেশ কয়েকটা বছর কেটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। যা হোক, কেনিয়া থেকে আমরা যাই দক্ষিণ আফ্রিকা। আমার সফরসঙ্গী বর্তমানে দৈনিক কালের কণ্ঠের উপসম্পাদক মোস্তফা মামুন। রাতে পৌঁছাই। রাতটা একটা রিসোর্টে কাটিয়ে সকালে ব্লোমফন্টেইন। ছিমছাম শহর। মধ্য ও দূরপাল্লার দৌড়বিদ জোলা বাড আর দক্ষিণ আফ্রিকার নন্দিত ও নিন্দিত অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রনিয়ের শহর।

‘ম্যাটেরিয়াল’ দক্ষিণ আফ্রিকার পরিযায়ী ভারতীয় জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তৈরি করা সিনেমা। ছবি: উইকিপিডিয়া

হ্যান্সি ক্রনিয়ের বাবা স্কুলশিক্ষক। সময় নিয়েও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে না পারার আক্ষেপ আমার থেকেই গেছে। তবে স্থানীয় এক সাংবাদিকের কল্যাণে ফোনে কথা হয় জোলা বাডের সঙ্গে। ১৯৮৪ সালের অলিম্পিকে খালি পায়ে ৩০০০ মিটার দৌড়ানোর সময় আমেরিকার মেরি ডেকারের সঙ্গে পায়ে পা লেগে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল সে সময়। সেবার তিনি যুক্তরাজ্যের হয়ে অংশ নেন। আর চার বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা থাকলেও হয়নি সময়স্বল্পতার জন্য। ব্লোমফন্টেইনে ছিল একটা ম্যাচ। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য পিটার মারিজবার্গ। সংক্ষেপে মারিজবার্গ। এই সেই ঐতিহাসিক মারিজবার্গ। গুজরাটের পোরবন্দরের ওকালতি পাস করা এক যুবক দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেছিলেন ওকালতি করার অভীপ্সায়। জোহানেসবার্গে নেমে ট্রেনের প্রথম শ্রেণির টিকিট নিয়ে রওনা হন ডারবানের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মারিজবার্গ স্টেশনেই নামিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর বাকিটা ইতিহাস। কারণ, কালক্রমে তিনি হয়ে ওঠেন মহাত্মা গান্ধী। এই স্টেশনে রয়েছে তাঁর একটি আবক্ষ মূর্তি। অবশ্য শহরের বিভিন্ন জায়গায়ও রয়েছে তাঁর মূর্তি।

এই মারিজবার্গ অবশ্য বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিল্ডার জোন্টি রোডসেরও শহর। তাঁর বাবা ছিলেন মারিজবার্গ স্কুল ক্রিকেটের প্রেসিডেন্ট। জোন্টি হকিও খেলতেন। পড়েছেন মারিজবার্গ কলেজে। আর পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী পিটার মারিজবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন শন পোলক, ল্যান্স ক্লুজনাররা। যদিও উভয়ের শহর ডারবান। আমরা টিম বাসেই পৌঁছাই মারিজবার্গ। আমাদের থাকার ব্যবস্থা টিম হোটেল নয়, হয় পাশের একটি হোটেলে। আর আমাদের দেখাশোনার দায়িত্ব বর্তায় মারিজবার্গ ক্রিকেট ক্লাবের একজন বর্ষীয়ান কর্মকর্তার ওপর। তিনি আহমাদ ইসমাইল কাসিমজি। যদিও তাঁকে সবাই অ্যামোস বলেই ডাকতেন। ম্যাটেরিয়াল সিনেমার বাবা ইব্রাহিম কাইফকে (ভিনসেন্ট ইব্রাহিম) দেখে তাঁর কথা আমার ফের মনে পড়ে যায়। ২০ বছর! ভাবলেই অবাক লাগে। তখন ষাটোর্ধ্ব ছোটখাটো, নিপাট ভদ্রলোকের চেহারাটা ভেসে ওঠে। জানি না তিনি এখনো জীবিত কি না। মারিজবার্গ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তখন মাইক ডিকসন। শ্বেতাঙ্গ। ১৪ জনের নির্বাহী পরিষদের একমাত্র বেতনভুক্ত কর্মকর্তা ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ভদ্রলোক। অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। ধর্মপ্রাণ হিন্দু ও নিরামিষাশী। বহু বছর আগে দক্ষিণ ভারতের কোনো গ্রাম থেকে তাঁর পূর্বপুরুষ এসেছিলেন এই দেশে। সবচেয়ে বেশি ভারতীয়র বাস ডারবানে। যেখানে আমরা পরে গেছি। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মারিজবার্গে।

বলা ভালো, অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম নির্বাহী সদস্য কাসিমজি। কাসিমজির পূর্বপুরুষ ছিলেন গুজরাটি। সুরাট থেকে তাঁর পিতামহ এসেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। ভাগ্যান্বেষণে। শহরের উপকণ্ঠে পাহাড়ের ঢালে তাঁর ছিমছাম ছোট্ট আশ্রয়। টোনাটুনির সংসার। তাঁর স্ত্রীকে আমরা আন্টি বলতাম। তিনি তখন অসুস্থ। দুই সন্তানের কেউ তাঁদের কাছে কিংবা ওই শহরেই থাকে না। মেয়ে বড়। তিনি জোনানেসবার্গের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। আর ছেলে তত দিনে আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। থাকেন রাজধানী প্রিটোরিয়ায়। যৌবনে ক্রিকেটে খেলেছেন কাসিমজি। একসময় ব্যবসা করতেন। তত দিনে সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে ঝাড়া হাত–পা। একটা ছোট গাড়ি ছিল তাঁর। প্রথম দিন বাস থেকে নামার পর তিনিই তাঁর গাড়িতে করে আমাদের হোটেলে পৌঁছে দেন। এরপর যে তিন দিন ছিলাম, প্রতিদিনই তিনি এসেছেন আর আমাকে ও মামুনকে নিয়ে ঘুরেছেন। হোটেল থেকে মাঠ, মাঠ থেকে হোটেল তিনিই ভরসা। কিছু কেনা প্রয়োজন বা শপিং, তিনি ঠিকই সঙ্গী হয়েছেন। মারিজবার্গে যে রেস্তোরাঁয় ভালো বিরিয়ানি পাওয়া যায়, সেখানে নিয়ে গেছেন। শহরটাকে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। ছেলেবেলা থেকে বেড়ে ওঠা শহরটার নাড়ি–নক্ষত্র তাঁর জানা। ফলে সেভাবেই তিনি দেখিয়েছেন। আমরা তাঁর চোখেই দেখেছি মারিজবার্গকে। এভাবেই তাঁর খুব আপন হয়ে যাই। মনে হচ্ছিল, আমি ও মামুন যেন সত্যিকার অর্থেই তাঁর সন্তান হয়ে উঠেছিলাম। এই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আমরা দুজন ছাড়া আর ছিলেন অঘোর মণ্ডল। তবে তিনি তাঁর মতো করেই সফর করেন। যদিও মারিজবার্গে আর ডারবানে আমরা একসঙ্গেই ছিলাম।

অপত্য স্নেহে আগলে রেখেছিলেন ওই কটা দিন। আমরাও অদ্ভুত নির্ভার বোধ করেছি। সেই স্মৃতি আজও সজীব। তখন মোবাইল থাকলেও আজকের মতো ক্যামেরাসহ ছিল না। তাই ছবি তোলা হয়নি। এমনকি নাইরোবিতে ক্যামেরা হারানোয় মারিজবার্গে ছবি তোলাও সম্ভব হয়নি। আফ্রিকায় বসবাসকারী ভারতীয়রা নিজেদের মতো করেই ইংরেজি বলেন। কাসিমজিও সেই অ্যাকসেন্টে কথা বলতেন। আর নিজেদের কমিউনিটিতে বলতেন গুজরাটি। পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা হলে কুশলবিনিময়ের পাশাপাশি আমাদের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিতে ভুলতেন না। মারিজবার্গ ছেড়ে আমরা যাই ডারবান। সেখানে ছিল সফরের শেষ ম্যাচ। তবে মারিজবার্গ ছাড়া আগের রাতে আমরা তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে নিমন্ত্রণ করি। সেদিন ভদ্রমহিলা এসেছিলেন দাওয়াতে। একসঙ্গে খাই। গল্প করি। বেশ অনেকটা সময় আমরা একসঙ্গে কাটাই। তারপর আমাদের হোটেলে নামিয়ে দিয়ে প্রৌঢ় এই দম্পতি ফিরে যান বাসায়। পরের দিন সকালে আমরা টিম বাসেই ডারবান রওনা হই। সেই সকালে ঠিকই তিনি হাজির হয়ে যান সেখানে। আমাদের বিদায় জানাতে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পর তাঁকে অনেকবার ই–মেইল করলেও তাঁর উত্তর পাইনি। কারণ জানা তো আর সম্ভব নয়। এমনকি জানি না এখনো তিনি বেঁচে আছেন কি না। আর এসবের মধ্যে ভুলেও গিয়েছিলাম তাঁকে। কিন্তু ‘ম্যাটেরিয়াল’ ছায়াছবিটিই ফেলা আসা দিন আর কাসিমজিকে মনে পড়িয়ে দিয়ে স্মৃতিকাতর করেছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

অন্য আলো অনলাইনে লেখা পাঠানোর ঠিকানা: info@onnoalo.com