জীবাণু
রমিজের তেরোটা মুরগীর বাচ্চা। পাঠশালার আগে-পরে ওরাই তার জগৎ-সংসার। ওদের নিয়েই কাটে রাত-দিন। অভাবের শেষ নেই, কিন্তু চিঁউ চিঁউ রাজ্যে চকচক করে সারা দিন।
একদিন ভোর সকাল। রমিজের হাউমাউ চিৎকার। তেরোটা বাচ্চাই তালুকদারের চাই। বাচ্চা হবে তালুকদারের বউয়ের। মুরগীর ঝোলে পুষ্টি বাড়ে। রমিজ দেবে না কোনোভাবেই। তালুকদারও নেবেই।
রমিজ হাউমাউ করে কাঁদে, পাগলের মতো ছোটাছুটি করে উঠোনে।
কিন্তু তালুকদার নেবেই। দাপুটে তালুকদার। কড়কড়ে টাকা ছুড়ে মারে রমিজের মুখের ওপর।
রমিজ চিৎকার করে। তালুকদার কেন বুঝতে পারছে না! তার তেরোটা মুরগি ছা না হলে তালুকদারের বউয়ের কোনো ক্ষতিই হবে না। মরিয়া রমিজ মনে মনে ঠিক করে ফেলে। তার আদরে বড় করা এ বাচ্চাগুলোকে সে দেবে না। কিছুতেই ওদের মরতে দেবে না।
তখুনি ঝোঁকের বসে কান্ডটা করল।
শক্ত ইট দিয়ে ঢিল মেরে বসে সে তালুকদারের বাচ্চা ধরা হাত বরাবর।
তারপর পালাতে থাকে সে, দূরে... অনেক দূরে…
[নিয়ম:
১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্য আলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট্যাগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্য আলোডট কমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক...।
কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন:
info@onnoalo.com
alimazij@gmail.com ]