প্রতিবেশিনী : বর্ণালী সাহা
মা কুকুরটা কখনো আমার সাথে মেশেনি। বাচ্চা দুটো আমার সাথে খেলত, মাটা সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে আমাকে দেখত শুধু।
আমার পেটের ভেতর আমার বাচ্চাটা যেদিন মরে গেছিল—কেউ টের পায়নি, আমিও না—টের পেয়েছিল কুকুরটা। গাইনি ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম। সিঁড়িঘর থেকে দুই পা বাড়িয়ে গেট পার হব কী, আমার পথ আগলে ঘেউ ঘেউ করে পাড়া মাথায় তুলেছিল। ও তো আমাদের সবাইকে চিনত, খাবার দিলে খেত, দারোয়ানের ঘরের বাইরে শুত। এমন কেন করল ওই দিন? কেন আমার জামা দাঁত দিয়ে টেনে ধরল? ঠিকই বুঝেছিল, আমার বাচ্চাটা নেই!
আজ আবার ঘেউ ঘেউ। দোতলার ছাদবাগান থেকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে নিচে। কে মরল?
নিচতলার ভাড়াটিয়া লোকটা একা থাকত না? আল্লাহ! ঘরে যাব। ‘ছাড় কুত্তি! ছাড়!’
[নিয়ম: ১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্যআলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট্যাগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্যআলো ডটকমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক...। কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন: info@onnoalo.com alimazij@gmail.com]
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
-
বিলাসিতা ছেড়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিতে শিল্পমালিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
-
আগামীকাল স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, সিদ্ধান্ত জানায়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়
-
ভেঙে গেল ১২৭ বছরের পুরোনো গোদরেজ গ্রুপ, কে কী পাচ্ছেন
-
দমন নাকি সমঝোতা, কোন পথে হাঁটবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
-
সরকারি ডে-কেয়ারে শিশুসন্তানকে হারালেন, বিচার পাবেন কি না জানেন না