Thank you for trying Sticky AMP!!

উটকো ঝামেলার নাম ডেমু ট্রেন

চট্টগ্রাম অঞ্চলে বর্তমানের ডেমু ট্রেন যে রুটে চলছে, তাতে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা যেমন হুমকির মুখে পড়েছে, তেমনি বন্দরের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রায় ৩০০ যাত্রী ধারণক্ষমতার এই ট্রেনে মঙ্গলবার সকালে মাত্র ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী দেখা গেছে। বিপুল অর্থ খরচ করে এই ট্রেন আনা হয়েছে, এখন না চালিয়েও উপায় নেই। বিচার-বিবেচনা ছাড়া এই ট্রেন ক্রয় করে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ বলতে গেলে পানিতে ঢালা হয়েছে।

উল্লিখিত ট্রেনগুলোর দরজা স্বয়ংক্রিভাবে খোলা ও বন্ধ হওয়ার কথা। কিন্তু শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাহীন এই ট্রেনগুলোতে প্রয়োজনীয় জানালাও নেই। তাই দরজা খোলা রেখেই চলাচল করে এই ট্রেন। চট্টগ্রাম বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনার মধ্য দিয়ে খোলা দরজার এ ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল করায় নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বন্দরকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে এবং এর আন্তর্জাতিক মান বাজায় রাখতে বন্দরের মধ্য দিয়ে ট্রেনটির চলাচল বন্ধের বিকল্প নেই। ট্রেনের কর্তাব্যক্তিরা যত দ্রুত বিষয়টি উপলব্ধি করেন ততই মঙ্গল।

আমরা মনে করি, ডেমু ট্রেনের বিষয়ে তদন্ত জরুরি। কার উৎসাহে ও আগ্রহে বিপুল অর্থ খরচ করে এই ট্রেন আনা হলো, তা খতিয়ে দেখা উচিত। অনুসন্ধান করা দরকার, এখানে কারও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ কাজ করেছে কি না। আমাদের রেলব্যবস্থার সঙ্গে সংগতিবিহীন ও যাত্রী চলাচলের অনুপযোগী এসব ট্রেন আনার সিদ্ধান্ত যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন।