Thank you for trying Sticky AMP!!

খাদ্যে ভেজাল

খাদ্যে ভেজাল এমন একটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে যে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) তথ্যমতে, ঢাকায় আমে ফরমালিন ৯৪ শতাংশ এবং লিচু ও জামে ১০০ শতাংশ। ফলের এ মাসে এমন সব ফলের লোভ সামলানো বড়দের জন্য সম্ভব হলেও ছোটদের জন্য প্রায় অসম্ভব। মা-বাবা বাধ্য হয়েই বিষযুক্ত এসব ফল কিনছেন। শুধু ফলে নয়; মাছ, চাল, তেল, ঘি, জুস, মসলার গুঁড়া—কিসে নেই ভেজাল! ক্ষতিকর এসব বিষ ক্রমাগত খেতে খেতে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে হয়তো বাংলাদেশে কর্মক্ষম মানুষ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়বে। সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাঝেমধ্যে কিছু অভিযান চালিয়ে কিছু ফল বা মাছ নষ্ট করে দিচ্ছে। কিন্তু এতে করে কি খাদ্যে ভেজাল কমেছে? সরকারের উচিত কঠোর হয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এ কাজ করার সাহস না পায়। সেই সঙ্গে ফরমালিন, কার্বাইডসহ অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ আমদানির ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। আশা করি, সরকার খাদ্যে ভেজালের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এখনই যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

সাবরিনা পারভীন, গোড়ান, ঢাকা।