Thank you for trying Sticky AMP!!

ভোটার উপস্থিতি কমের জন্য বিএনপিই দায়ী: রেজাউল

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত বুধবার। নির্বাচন-পরবর্তী নানা বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন মেয়র পদে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুজন ঘোষ
নবনির্বাচিত মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী
প্রশ্ন

প্রথম আলো: নির্বাচনে মাত্র সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোটারদের এই উপস্থিতি কি আপনি সন্তোষজনক মনে করেন?

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী: ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন, এটি তাঁর নাগরিক দায়িত্ব। তবে এবার আমার চোখে পড়েছে, ভোটের দিন অনেক কিছু খোলা ছিল। এই কারণে কর্মজীবীদের সকালে ঘুম থেকে উঠে কর্মস্থলে ছুটতে হয়েছে। ভোটের থেকে পেটের দায় অনেক বেশি। ভোটারের কম উপস্থিতির এটি একটি কারণ।

প্রশ্ন

আওয়ামী লীগের একটি নির্দিষ্ট ভোটার গোষ্ঠী রয়েছে। তারাও কেন্দ্রে আসেনি বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের কেন্দ্রে আনতে না পারা কি দলের ব্যর্থতা নয়?

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী: নির্বাচনের দিন আরও ভোটার উপস্থিত হতো। কিন্তু প্রথম থেকেই বিএনপি ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেছে। প্রচারণার সময় আমার অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে। গুলি করেছে। ভোটের দিনও তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মূলত তারা সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। ভোটার কম হওয়ার জন্য মূলত বিএনপিই দায়ী।

প্রশ্ন

বিএনপি বলছে আওয়ামী লীগই মানুষকে ভোটকেন্দ্রে আসতে দেয়নি। ভোট দিতে বাধা দিয়েছে।

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী: বিএনপি অভিযোগের পার্টি। প্রচারণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত তাদের অভিযোগের শেষ নেই। আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ভোট চেয়েছে।

প্রশ্ন

যে ভোটে জিতেছেন তাতে আপনি সন্তুষ্ট?

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী: আমি সন্তুষ্ট। জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে। নৌকাকে জয়ী করেছে।

প্রশ্ন

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলছেন, অনিয়মের নির্বাচনের মডেল চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন। আর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জার মতে, ২২ শতাংশ ভোটও চুরি করে দিয়েছে। এই ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী: না, এই ব্যাপারে আমি কিছু বলব না। এগুলো তাঁদের নিজস্ব বক্তব্য।

প্রশ্ন

নির্বাচনের দিন বিভিন্ন ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আমবাগানে একজন খুন হয়েছেন।

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী: একটি ভোটে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। এই খুনের সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্ক নেই।

প্রশ্ন

দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে জয়ী হয়েছেন আট প্রার্থী। তাঁদের ব্যাপারে আপনার মনোভাব কী হবে?

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী: জনগণ তাঁদের মূল্যায়ন করেছে। আমি কেন অবমূল্যায়ন করব। আমি সবাইকে নিয়েই কাজ করব।

প্রশ্ন

নগর আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের বিরোধ নিরসনে কী করবেন?

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী: আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো গ্রুপের সঙ্গে জড়িত নই। বিশ্বাসও করি না। নির্বাচনের আগে অনেকেই বলেছে আওয়ামী লীগের গ্রুপিংয়ের কারণে মেয়র প্রার্থীর পরাজয় হবে। আরও অনেক কিছু বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। কেননা, আমি দুই পক্ষকেই একসঙ্গে নিয়ে এসেছি। ভবিষ্যতেও সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে।

প্রশ্ন

মেয়রের দায়িত্ব পালনের সময় কোনো বলয় কি তৈরি হবে? নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশার চাপ সামলাতে পারবেন?

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী: ১৯৬৬ সালে রাজনীতি শুরু করি। আমি মুক্তিযোদ্ধা। আমি কখনো অসৎ পথে যাইনি। অর্থবিত্তের জন্য রাজনীতি করিনি। কেউ ‘রেজাউল ভাই জিন্দাবাদ’ দেবে, তা আমি পছন্দ করব না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। আদর্শের নেতা বঙ্গবন্ধু। আমি কাউকে কোনো অন্যায়-অনৈতিক সুবিধা দেব না।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী: প্রথম আলোকেও ধন্যবাদ।