Thank you for trying Sticky AMP!!

শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে অর্থ নয়, অভাব সদিচ্ছার

অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক। ২০০৯ সালের জুনে গঠিত ১৮ সদস্যের জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। ওই শিক্ষানীতিটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় ধরা হয় ৯ বছর এবং মোট খরচ ধরা হয়েছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এটা বাস্তবায়ন না করে এক দশক পর তা সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শরিফুজ্জামান

ছিদ্দিকুর রহমান
প্রশ্ন

প্রথম আলো: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির একজন সদস্য হিসেবে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

ছিদ্দিকুর রহমান: ১০ বছর আগে এই শিক্ষানীতি করা হয়েছিল, এটা সংস্কার বা সংশোধন হতেই পারে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে—সংস্কার করে লাভটা কী হবে? কারণ, আগের শিক্ষানীতির মৌলিক সুপারিশগুলোই তো বাস্তবায়ন করা হয়নি। এখন সংশোধন করার পর যে সেগুলো বাস্তবায়ন হবে, তার নিশ্চয়তা কতটুকু?

প্রশ্ন

প্রথম আলো: সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতির কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে? এমন কোনো পর্যালোচনা বা মূল্যায়ন কি হয়েছে?

ছিদ্দিকুর রহমান: কেউ কেউ দাবি করেন, শিক্ষানীতির কিছু বিষয় বাস্তবায়িত হয়েছে। আসলে শিক্ষানীতি না থাকলেও ছোটখাটো ওই সব বিষয় এমনিই বাস্তবায়িত হতো। সব সময় প্রশাসনিক আদেশ-নির্দেশে কিছু কাজ হয়ে থাকে, গত ১০ বছরে সেগুলোই হয়েছে। আবার শিক্ষানীতিতে না থাকলেও পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বা অষ্টম শ্রেণি শেষে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা চালু হয়ে গেছে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের বড় অন্তরায় হিসেবে অনেকে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা বলেন। এটি বাস্তবায়নে মোট ৬৮ হাজার কোটি টাকার কথা বলেছিলেন আপনারা। টাকাও তো একটি বড় সমস্যা, অস্বীকার করবেন কীভাবে?

ছিদ্দিকুর রহমান: এটা বাস্তবায়নে হাজার হাজার কোটি টাকা লাগবে বলা হয়, যা মোটেও ঠিক নয়। মৌলিক অনেক বিষয় বাস্তবায়নে কিন্তু টাকার প্রয়োজনই ছিল না। কিছু বিষয় বাস্তবায়নে সুষ্ঠু পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল। আমার মনে হয়, টাকার দোহাই দিয়ে পুরো বিষয়টি হিমাগারে পাঠানো হলো। আসলে অভাবটা টাকার নয়, অনেক ক্ষেত্রেই সদিচ্ছার ঘাটতি ছিল।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: টাকা ছাড়া বাস্তবায়ন করা যেত—এমন মৌলিক কোন কোন বিষয় ছিল?

ছিদ্দিকুর রহমান: ধরেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা। এ জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার কথা বলা হয়। আসলে কি তাই? শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষার্থী—সবই কিন্তু আছে। দরকার ছিল সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনা। সেটি কিন্তু আমরা করিনি, করার চেষ্টাও করিনি। আমরা দায় চাপালাম টাকার ওপর। এখনো তো বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। যে স্কুলে পড়ানো হয়, সেখানেই তারা পড়তে পারত। তাহলে অবকাঠামো, আসবাবের নতুন প্রয়োজন হতো না। দরকার ছিল কিছু শিক্ষকের প্রশিক্ষণ। সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ছিল প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমন্বিত পাঠ্যক্রম। এ জন্য সামান্য টাকা প্রয়োজন। আসলে আমরা শুরুই তো করিনি, শেষটা হবে কীভাবে?

প্রশ্ন

প্রথম আলো: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক ধারা-উপধারা রয়েছে। এটার মধ্যে সামগ্রিকতা আনার বিষয়টিতে আপনারা কতটা গুরুত্ব দিয়েছিলেন?

ছিদ্দিকুর রহমান: দেশে শিক্ষার বহুমুখী ধারা প্রচলিত। প্রথমে আসে সাধারণ, মাদ্রাসা, ইংরেজি মাধ্যম ও কারিগরি শিক্ষা। এরপর প্রতিটি শিক্ষার আবার নানা ভাগ আছে। প্রাথমিক শিক্ষারই তো ১১টি ধারা বিদ্যমান। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুণগত মান ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য তৈরি হয়। এ জন্যই আমরা প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একই শিক্ষাক্রমের কথা বলেছিলাম, যেটা হয়নি।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: অর্থ ছাড়া বা কম টাকায় বাস্তবায়ন করা যেত—এমন আরও কী কী মৌলিক সুপারিশ ছিল?

ছিদ্দিকুর রহমান: এমন অনেক সুপারিশ ছিল। আমরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আদলে এডুকেশন সার্ভিস কমিশন করার কথা বলেছিলাম। এই কমিশনের পেছনে কিন্তু টাকা খরচ করতে হতো না। এই কমিশন নিজে আয় করে খরচ মিটিয়ে আবার টাকা উদ্বৃত্ত রাখতে পারত। যেমনটি পিএসসি নিজের উপার্জনে চলে, আরও টাকা উদ্বৃত্ত থাকে। এই কাজটি করার জন্য জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস করার দরকার ছিল। আমরা গুণগত শিক্ষার কথা বলি। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষক ছাড়া গুণগত শিক্ষা আসবে কোত্থেকে? এই বিবেচনায় আমরা শিক্ষক নিয়োগে কমিশন করতে বলেছিলাম।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: আপনারা শিক্ষা আইনের ওপর অনেক জোর দিয়েছিলেন। এটা হয়নি কেন, এর দায় কার?

ছিদ্দিকুর রহমান: শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা আইনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শিক্ষার সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে আইনটি প্রয়োজন ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, যাঁরা আইনটি নিয়ে কাজ করলেন, তাঁদের শিক্ষা আইন, শিক্ষা কার্যক্রম বা শিক্ষানীতি সম্পর্কে ধারণা আছে বলে মনে হয়নি। ফলে তাঁরা বিষয়গুলো গুলিয়ে ফেলেন। মন্ত্রিসভা থেকে কয়েক দফা খসড়া আইনটি ফেরত পাঠানো হলো, যা দুর্ভাগ্যজনক। এই আইনটি করতেও ১০ বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একই বৃত্তে ঘুরছে।

আইনটি না হওয়ার আরেকটি কারণ এই আইনের সঙ্গে শিক্ষার প্রভাবশালী কিছু অংশের যোগসূত্র আছে। নোট-গাইড, কোচিং সেন্টার, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলসহ কিছু খাত আছে, যেখানকার প্রভাবশালীরা সরকার বা মন্ত্রণালয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং তা করেও থাকে। আইনটি না হওয়ার পেছনে এটা একটা কারণ বলে মনে হয়।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: আপনারা নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেটি কতটা হয়েছে?

ছিদ্দিকুর রহমান: জাতীয় শিক্ষানীতিতে ভালো মানুষ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞানমূলক বিষয়গুলোর (কগনিটিভ) ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরা সেখানে জ্ঞানের পাশাপাশি নীতিনৈতিকতা এবং হাতে-কলমে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম। যেমন পাঠ্যবই থেকে চালে কঙ্কর মেশানো বা দুধে পানি মেশানোর মতো বিষয়গুলো বাদ দেওয়া হয়। সততা, সত্যবাদিতা, বয়স্কদের প্রতি শ্রদ্ধা মানুষের উপকার করা—এসবই বিশেষ গুরুত্ব পায়। ধর্মসহ অন্যান্য বইয়ে নৈতিকতার বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া হয়। নারী মানেই যে তিনি নার্স হবেন বা ঘরের কাজ করবেন, সেই ধারণা বই থেকে তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য এসব আয়োজন থাকলেও শিক্ষকদের ভালোমতো প্রস্তুত করা যায়নি, তাঁদের প্রশিক্ষণ হয়নি।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: শিক্ষানীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের আলোকে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছিল। এটা কতটা হয়েছে?

ছিদ্দিকুর রহমান: শিক্ষানীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের আলোকে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হয়। ২০১৩ সালের পাঠ্যবইয়ে এর প্রতিফলন ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে পাঠ্যবই থেকে মুক্তচিন্তার বেশ কিছু প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা পরিবর্তন করা হয়। এ বিষয়ে যাঁরা পাঠ্যবই ও শিক্ষাক্রম রচনায় জড়িত ছিলেন, তাঁরা অবহিত নন।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: পঠন-পাঠনে আপনারা আর কোন কোন বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন?

ছিদ্দিকুর রহমান: নৈতিক শিক্ষা ছাড়াও কর্মমুখী শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষার ওপর আমাদের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। চারু ও কারুকলা, জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষা, ক্যারিয়ার শিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষাসহ অনেক বিষয় আনার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিছু কিছু বিষয় চালুও করা হয়েছিল। কিন্তু পরে পরীক্ষার বদলে ধারাবাহিক মূল্যায়নের কথা বলা হয়। এ ধরনের মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ হলেও শিক্ষকদের প্রস্তুত করা হয়নি। এখন শতকরা ৯০ ভাগ স্কুলে এসব বিষয় আর পড়ানো হয় না।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: এখনকার এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কি ঠিক হবে? এ নিয়ে নানা রকম মত আছে। এই পরিস্থিতিতে করণীয় কী?

ছিদ্দিকুর রহমান: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব এককভাবে কেবল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরও। এটা সত্য যে আগের মতো ঢালাওভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে সকাল-বিকেল ভাগ করে ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। এতে শিক্ষকদের ওপর একটু বেশি চাপ পড়বে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তাঁদের তো গত ছয় মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়নি। শিক্ষার স্বার্থে তাঁরা হয়তো এটুকু বাড়তি কষ্ট করতে রাজি হবেন।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: সকাল-বিকেল ভাগ করেই কি ক্লাস শুরু করা ঠিক হবে?

ছিদ্দিকুর রহমান: এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে অনেক বিষয় যুক্ত। বাচ্চাদের দিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর দিতে হবে। তাদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাপমাত্রা দেখার ব্যবস্থা রাখতে হবে। জ্বর বা করোনার উপসর্গ থাকলে অভিভাবকের দায়িত্ব হবে সন্তানকে স্কুলে না পাঠানো। মোট কথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ক্লাস চালুর ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ার নানা রকম চেষ্টা চলছে। এটা কীভাবে দেখছেন?

ছিদ্দিকুর রহমান: এই সংকটের সময়ে এটা ভালো উদ্যোগ। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছে, বিশেষ করে গ্রামের শিক্ষার্থীরা। দেশের সব জায়গায় ইন্টারনেট-সংযোগ নেই, থাকলেও নেটওয়ার্ক দুর্বল। ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনার সামর্থ্য অনেকেরই নেই। আবার স্মার্টফোন বা এ–জাতীয় ডিভাইস অনেকের হাতে নেই। এ ধরনের শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি, তারা বঞ্চিত হচ্ছে। আবার কেউ কেউ কিছুটা হলেও শিখছে। অনলাইন শিক্ষা চালু করলে কেউ কেউ কিছুটা লাভবান হচ্ছে, অনেকেই আবার বঞ্চিত হচ্ছে। আসলে এটি মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: শিক্ষাবর্ষের আট মাস চলে গেল। লেখাপড়ার ভবিষ্যৎ কী? ছেলেমেয়েরা এই ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবে?

ছিদ্দিকুর রহমান: বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাড়াহুড়া করা ঠিক হবে না। কোনোভাবেই যেন ‘লার্নিং গ্যাপ’ না হয়। গত মার্চের পর থেকে ক্লাস হয়নি। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া গেলেও ডিসেম্বরে সেশন শুরু করা ঠিক হবে না। কারণ, শিক্ষাটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর মাঝখানে ছেদ পড়লে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীকে ভুগতে হবে। তাই আমার পরামর্শ হবে, শিক্ষার সেশন ফেব্রুয়ারি বা মার্চ পর্যন্ত নেওয়া। এরপর পর্যায়ক্রমে তিন বছরের মধ্যে ডিসেম্বরে সেশন নামিয়ে আনা যেতে পারে। আমার মত হচ্ছে, সারা বছর শিক্ষার্থীকে না পড়িয়ে পাঠ্যক্রম সংক্ষিপ্ত করে যেন পরীক্ষা দিতে বসানো না হয়।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

ছিদ্দিকুর রহমান: প্রথম আলোকে ধন্যবাদ।