Thank you for trying Sticky AMP!!

শিশুর বহুমাত্রিক দারিদ্র্য কমানোর এখনই সময়

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন শামসুল আলম। পাশে ​মুস্তাফা কে মুজেরী। ছবি: প্রথম আলো

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিশুর বহুমাত্রিক দারিদ্র্য কমানো জরুরি। সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হিসেবে গড়ে তুলতে শিশুদের শুধু আর্থিক নয়, বহুমাত্রিক দারিদ্র্য কমাতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।

গতকাল প্রথম আলো আয়োজিত ‘শিশুর বহুমাত্রিক দারিদ্র্য’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকেরা এসব কথা বলেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এ সভা আয়োজনে সহযোগিতা করে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) ও ইউনিসেফ। বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম এবং উপদেষ্টা গওহার নঈম ওয়ারা।

বৈঠকের প্রধান অতিথি পরিকল্পনা কমিশনের জিইডির সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) শামসুল আলম বলেন, দেশের তরুণ কর্মক্ষম জনসংখ্যার আধিক্য ২০৪০ সালের দিকে শেষ হয়ে যাবে। এরপর বয়স্ক ও নির্ভরশীলের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এখনকার শিশুদের দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিতে হবে।

শিশুদের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য দূর করতে হলে দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে হবে বলে মনে করেন শামসুল আলম। তিনি বলেন, বহুমাত্রিক দারিদ্র্য কমাতে সামগ্রিক পরিবেশের উন্নতি করতে হবে।

শিশুর অর্থনৈতিক দারিদ্র্যের চেয়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি ও অন্যান্য দারিদ্র্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা কে মুজেরী। তিনি বলেন, শিশুদের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব বাড়াতে হবে।

বহুমাত্রিক দারিদ্র্য চিহ্নিত করতে ব্যক্তি বা পরিবারকেন্দ্রিক সূচকের পাশাপাশি সামাজিক পরিবেশের মতো সূচকও যুক্ত করার পরামর্শ দেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী পরিচালক হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের নীতি নির্ধারণে গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চল আলাদা করতে হবে। সূচক এক হলেও শহরাঞ্চলের শিশুদের দারিদ্র্য চিহ্নিত এবং এর সমাধান বেশি চ্যালেঞ্জিং।