Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশের অনেক ভালো ভবিষ্যৎ সম্ভব

বাংলাদেশে এখনো প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ গ্রিড বিদ্যুৎ-সুবিধার বাইরে। যাঁরা বিদ্যুৎ-সংযোগের মধ্যে আছেন, তাঁরাও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। বিদ্যুৎ অবকাঠামো অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। যাঁরা সৌরবিদ্যুৎ (সোলার হোম সিস্টেম) পাচ্ছেন, তাঁদের দিতে হচ্ছে অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্য। বিদ্যুতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলেও নিয়মিতভাবে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। এই অবস্থা অর্থনীতির বিকাশ কিংবা জনগণের জীবনমান উন্নয়নের অনুকূল নয়। জনসংখ্যা ও অর্থনীতির আকার বাড়ছে, তাই বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ছে। ২০৪১ সাল নাগাদ বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে কয়েক গুণ। গ্রাম, শহর, চর, পাহাড়, সমতল, উপকূলসহ সর্বত্র ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে হবে। তাই বিদ্যুৎ উত্পাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হবে। প্রশ্ন হলো, এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর টেকসই, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ উপায় কী।

ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা বলে সরকার একটি মহাপরিকল্পনা করেছে (পিএসএমপি ২০১৬)। এর বিশদ বিশ্লেষণ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে সম্পূর্ণ বিদেশি একটি টিম দিয়ে কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সহযোগিতায় করা এই মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য এক ভয়াবহ ভবিষ্যৎ তৈরি করা হচ্ছে। সরকার দেশের গ্যাস বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিয়ে দেশকে যে পথে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে সুন্দরবন শেষ হবে, উপকূল অরক্ষিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ আরও নাজুক অবস্থায় পড়বে, জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তির কারণে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে, ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বাড়বে, বিদ্যুতের দামও বাড়বে ক্রমাগতভাবে। তাহলে উপায় কী? বিদ্যুৎ তো লাগবেই। পুরো দেশকে বিপন্ন না করে কি বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের আর কোনো রাস্তা নেই?

এই প্রশ্ন নিয়েই আমরা কয়েক বছর ধরে কাজ করছি। বিশেষত, গত এক বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা, ইউরোপ, আমেরিকার পাশাপাশি ভারত, চীন, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের নতুন পথ সন্ধান, প্রযুক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নতুন বিকাশ পর্যালোচনা করেছি। এসব দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের গবেষণা পর্যালোচনা করেছি। বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি, সম্পদ ও শক্তি, সীমাবদ্ধতা, প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিগত প্রতিবন্ধকতা পরীক্ষা করেছি, কথা বলেছি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে, সরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির গবেষণা রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছি। আমাদের গবেষণাদলে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, জ্বালানি বিশেষজ্ঞসহ অনেকে। সহযোগিতামূলক ভূমিকা নিয়েছেন প্রবাসী বিশেষজ্ঞরা। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা তাঁদের গবেষণা ও মতামত দিয়ে আমাদের কাজকে সমৃদ্ধ করেছেন।

গত ২২ জুলাই আমরা ‘তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’র পক্ষ থেকে এই খসড়া সর্বজনের কাছে উপস্থাপন করেছি। এর প্রতিক্রিয়ায় টিভি ও সংবাদপত্রে সরকারের মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি বেশ কিছু কথা বলেছেন, প্রশ্ন তুলেছেন। যেমন ‘এটি একটি প্রত্যাশা, স্বপ্ন, কল্পনা হতে পারে কিন্তু বাস্তবানুগ নয়’, ‘এই পথে আমাদের ভবিষ্যতে যেতে হবে, কিন্তু এখনই/রাতারাতি এটা সম্ভব নয়’, ‘আমাদের জমির খুব অভাব, সৌরবিদ্যুৎ এখানে সম্ভব হবে না’, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা খারাপ’, ‘এর জন্য অনেক পুঁজি লাগবে, আমাদের সেই সামর্থ্য নেই’, ‘অনেককে আহ্বান করেছি কিন্তু কেউ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ বিনিয়োগে এগিয়ে আসে না।’

আসলে আমরা রাতারাতি, এখনই সবকিছু বাস্তবায়নের সুখকল্পনার মধ্যে যে আটকে থাকিনি, তা আমাদের মূল রিপোর্টের প্রাথমিক খসড়া পাঠ করলে যে কেউ বুঝতে পারবেন। জমি, পুঁজি, প্রযুক্তি, প্রতিষ্ঠান—সবকিছুই আমরা পর্যালোচনার মধ্যে রেখেছি। স্বল্প মেয়াদে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিদ্যমান কাঠামোতে অল্প পরিবর্তনেরই সুপারিশ করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের প্রস্তাবিত কাঠামোতে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যে গ্যাস থেকে ৫৯ শতাংশ, তেল থেকে ১৯ শতাংশ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ১০ শতাংশ (৫ শতাংশ সৌর, ৩ শতাংশ বায়ু এবং ২ শতাংশ বর্জ্য) এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা থেকে আসবে ৭ শতাংশ বিদ্যুৎ।

তবে এই সময়ের জন্য আমাদের মূল প্রস্তাবনা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনসহ জাতীয় কমিটির ৭ দফা বাস্তবায়ন। সে অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে জাতীয় সক্ষমতা বিকাশে বিপুল গবেষণা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। সরকারি মহাপরিকল্পনায় ভবিষ্যতে গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়টি অনুপস্থিত। অথচ সরকার সমুদ্রের গ্যাস রপ্তানিমুখী চুক্তি করে যাচ্ছে। সে জন্য আমরা গ্যাস নিয়ে রপ্তানিমুখী চুক্তি বাতিল, বাপেক্সকে কাজের সুযোগ সম্প্রসারণ ও জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন ঘটানো, স্থলভাগ এবং গভীর ও অগভীর সমুদ্রে নিয়মিতভাবে অনুসন্ধান চালানোর ওপর জোর দিয়েছি। পাশাপাশি এই সময়েই বিকাশমান নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে অগ্রসর হতে সামগ্রিক প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি নির্মাণ শুরু করার কথা বলেছি।

মধ্য মেয়াদে (২০৩১ পর্যন্ত) পুরোনো গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস পাওয়ার হার হ্রাস পেলেও যথাযথভাবে অনুসন্ধান করলে গভীর ও অগভীর সমুদ্র থেকে নতুন পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। কোনো কারণে তার ঘাটতি দেখা দিলে গ্যাস আমদানিও তুলনামূলকভাবে লাভজনক হবে। তত দিনে নবায়নযোগ্য উৎস ব্যবহারের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এই সময়কালেও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ শীর্ষস্থানে থাকবে, ৪৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শতকরা ৩৯ শতাংশ (২৭ শতাংশ সৌর, ৭ শতাংশ বায়ু, ৫ শতাংশ বর্জ্য), তেল ৭ শতাংশ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা ৫ শতাংশ।

দীর্ঘ মেয়াদে জাতীয় সক্ষমতায় গুণগত পরিবর্তন নিশ্চিত করে নবায়নযোগ্য উৎস থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শীর্ষস্থানে পৌঁছানো যাবে। সে জন্য ২০৪১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উত্পাদনের ৫৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আনা সম্ভব হবে (এর মধ্যে সৌর ৪২ শতাংশ, বায়ু ৮ শতাংশ, বর্জ্য ৫ শতাংশ)। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে প্রাকৃতিক গ্যাস, ৩৭ শতাংশ। তেল ও আঞ্চলিক সহযোগিতা ৮ শতাংশ।

দুই বছর আগেও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর এতটা ভরসা করার সাহস আমাদের ছিল না। কিন্তু এই সময়ে বিশ্বজুড়ে এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, সেই সঙ্গে দাম হ্রাস এবং ভবিষ্যতে তার আরও দ্রুত অগ্রগতির উজ্জ্বল সম্ভাবনা আমাদের জোর ভরসা দিয়েছে। তার সঙ্গে ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন এই বিকাশমান প্রযুক্তি নিয়ে যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, তাতে আমরা সাহস পেয়েছি।

বাংলাদেশ ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশ। জমি কম, মানুষ বেশি। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে কৃষিজমি নষ্ট করার কোনো প্রস্তাবই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে জমির সমস্যার কথা সরকারপক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও বহু ভূমিগ্রাসী, কৃষিজমি, বন ও পানিসম্পদ–বিনাশী উন্নয়ন প্রকল্প সরকার নিজেই গ্রহণ করছে বা বৃহৎ দেশি-বিদেশি কোম্পানিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে জমি ও সৌরবিদ্যুৎ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা এখন আর ঠিক নয়। প্রযুক্তির বিকাশে জমির প্রয়োজন অনেক কমে গেছে। আমরা সৌরবিদ্যুতের যে পরিমাণ ২০৪১ সালে প্রস্তাব করছি, তার পুরোটা জমিতে করলেও এর জন্য জমির প্রয়োজন হবে বাংলাদেশের মোট জমির শতকরা শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ। কেননা নগর এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদের সঙ্গে সারা দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, হাসপাতাল, বাণিজ্যিক ভবন, পরিত্যক্ত জমি, জলাভূমি ইত্যাদি যুক্ত করা হলে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর জায়গা সহজেই জোগাড় করা সম্ভব হবে। উপরন্তু সরকারের হাতে, বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠীর দখলে যে বিপুল পরিমাণ জমি আছে, তা ব্যবহার করলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় অংশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তা ছাড়া বায়ুপ্রবাহের সর্বশেষ সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করেই আমরা বায়ুবিদ্যুতের প্রস্তাব রেখেছি। বর্জ্য থেকে গ্যাস বা বিদ্যুৎ উৎপাদন বিষয়েও তা–ই।

খরচ ও দামের দিক থেকেও আমাদের প্রস্তাব সরকারি মডেলের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ইউনিট সৌরবিদ্যুতের দাম ২০১০ থেকে পাঁচ বছরে কমেছে ৫৮ শতাংশ। ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই দাম আরও ৫৯ শতাংশ কমবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। সরকারি পিএসএমপিতে কম করে হলেও স্বীকার করা হয়েছে যে ২০৪০ সাল পর্যন্ত সৌরবিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট কমবে (৫০ শতাংশ), বায়ুবিদ্যুতে কমবে (৩০ শতাংশ) এবং ব্যাটারির দাম কমবে ৪৫ শতাংশ; অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুতের দাম বাড়বে ৪৫ শতাংশ। তারপরও যার দাম কমবে সেই পথে না গিয়ে যার দাম বাড়বে সরকার সে পথেই যাচ্ছে।

সরকারি মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এতে প্রাথমিক জ্বালানি খরচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সর্বশেষ বাজেটে সরকার রূপপুরসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করেছে ৩১ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। জাতীয় কমিটির বিনিয়োগ প্রস্তাবে ব্যাটারি খরচসহ আগামী ২৫ বছরে প্রয়োজন হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১ হাজার কোটি ডলার। এটা আরও কমবে। আমাদের বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় যে ১৯ হাজার কোটি ডলার কম লাগবে, তাতে কয়েকবার ব্যয় বৃদ্ধির পর পদ্মা সেতু বানাতে যে ব্যয় হচ্ছে, সেই ব্যয়ে ছয়টি পদ্মা সেতু বানানো যাবে, তারপরও আট হাজার কোটি টাকা হাতে থাকবে। আর বন, নদী, পাহাড়, বাতাস আর মানুষের বেঁচে যাওয়া তো আছেই।

এমনিতেই গত ১০ বছরে কয়েক দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম প্রতিবছরই বাড়াতে হবে। অন্যদিকে জাতীয় কমিটির প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে না বরং খুবই সম্ভব যে ভবিষ্যতে তা আরও কমানো সম্ভব হবে।

সরকার যখন পশ্চাৎ–মুখী, পরিবেশবিধ্বংসী, ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ পরিকল্পনাকেই সমাধান হিসেবে উপস্থিত করছে, তখন তার বিপরীতে আমরা উপস্থিত করেছি ভবিষ্যৎ–মুখী, পরিবেশবান্ধব, সুলভ সমাধানের একটি কাঠামো। রামপাল ও রূপপুরের মতো আত্মধ্বংসী পথে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত বিচারে এর চেয়ে অনেক উৎকৃষ্ট পথ আছে। আমরা সেই রূপরেখাই হাজির করেছি। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে পরিকল্পনা আমরা প্রকাশ করেছি, অদূর ভবিষ্যতে প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে এর চেয়েও উন্নততর পথে এবং আরও সুলভে যে বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব হবে, তার সব লক্ষণ বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত হচ্ছে। তবে এর জন্য প্রয়োজন হবে নীতিগত ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন এবং জাতীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিকাশ।

শুধু বিদ্যুৎ নয়, সব দিক থেকেই বাংলাদেশের অনেক ভালো ভবিষ্যৎ খুবই সম্ভব। মূল শর্ত সরকারের ঘাড় মুনাফা-উন্মাদ দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর দিক থেকে দেশ ও সর্বজনের স্বার্থের দিকে ফেরানো।

আনু মুহাম্মদ: অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

anu@juniv.edu