Thank you for trying Sticky AMP!!

ভুল কি সাকিব একাই করেছেন?

সাকিবের নিষেধাজ্ঞাকে মেনে নিতে পারেননি ভক্তরা। অল্প কিছুদিনের নিষেধাজ্ঞা বা আর্থিক জরিমানা করেই সাকিবকে ছেড়ে দিতে পারত আইসিসি। ছবি: এএফপি

মোহাম্মদ আশরাফুলের পর সাকিব আল হাসান। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের দুই কিংবদন্তিকে একই ফাঁড়ার মধ্যে পড়তে হলো। শুধু ক্রিকেট কেন, যেকোনো ধরনের খেলায়ই আশরাফুল ও সাকিব সন্দেহাতীতভাবে দেশের সর্বকালের সেরাদের সেরা। বাংলাদেশকে বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গনে নিয়েছেন এই দুজন। এবং দুজনেরই দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার (আইসিসি) নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন দুজনই। আশরাফুল জুয়ারিদের ফাঁদে পা দিয়ে কলঙ্কিত হয়েছেন। আর সাকিব তথ্য চেপে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এ পর্যন্ত বড় সব ক্রিকেটারের নাম। মোহাম্মদ আজাহার উদ্দিন, অজয় জাদেজা, হ্যানসি ক্রোনিয়ে, সেলিম মালিক, ক্রিস কেয়ার্নস, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ, সালমান বাট—কে নেই নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। সর্বশেষ সংযোজন সাকিব আল হাসান। তবে সবার থেকে পৃথক সাকিবের ঘটনা। তিনি জুয়াড়িদের সঙ্গে কোনো আঁতাত করেননি। তবে যোগাযোগের তথ্য আইসিসিকে জানাননি। এতেই যত বিপত্তি।

ভুলকে ‘অপরাধ’ বলা যাবে না
সাকিবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সংবাদ ও বিশ্লেষণে দেশের গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সয়লাব। তিনি কি অপরাধ করছেন, নাকি ভুল করেছেন, বিসিবি কি আন্দোলনের নেতৃত্বে দেওয়ার কারণে শোধ নিয়েছে, হোয়াটস অ্যাপে কথোপকথনের তথ্য আইসিসির হাতে কীভাবে গেল, সিরিজের আগে ভারত কি আইসিসির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাকিবকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশকে দুর্বল করে দিল—এসব নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সাকিবের নিষেধাজ্ঞাকে মেনে নিতে পারেননি ভক্তরা। অল্প কিছুদিনের নিষেধাজ্ঞা বা আর্থিক জরিমানা করেই সাকিবকে ছেড়ে দিতে পারত আইসিসি। অজ্ঞাত কোনো কারণে সাকিবের প্রতি আইসিসি বেশ কঠোর আচরণই করেছে। রাহুল দ্রাবিড়সহ অনেক খ্যাতিমান ক্রীড়াব্যক্তিত্ব এভাবেই প্রকাশ করেছেন তাঁদের প্রতিক্রিয়া।

এ পর্যন্ত কম খেলোয়াড়কে তো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো না। জুয়াড়িদের দৌরাত্ম্য তাতে কমছে না। এরপর কার নাম যুক্ত হবে জুয়াড়িদের ফাঁদের তালিকায়? জুয়াসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার ঘটনাগুলোর দিকে একটু নজর ফেরানো যাক।

ভারতীয় জুয়াড়ি ও আইসিসির দুর্বলতা
জুয়াড়িদের সবাই ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এখন পর্যন্ত কেবল খেলোয়াড়দেরই সাজা হয়েছে। জুয়াড়িদের কোনো সাজা হয়নি। কাজ কারবার দেখলে মনে হবে, আইসিসি জুয়া বা পাতানো খেলার বিরুদ্ধে খুবই কঠোর। একেবারে জিরো টলারেন্স অবস্থায় আছে। কিন্তু আইসিসি জুয়া দূর করতে কতটা আন্তরিক? বরং প্রশ্ন উঠেছে, আইসিসির কর্তাব্যক্তি নিজেরাই জুয়ায় জড়িত কিনা। আইসিসির সদর দপ্তর জুয়াড়িদের রাজধানী, দাউদ ইব্রাহিমের আখড়া দুবাইয়ে সরিয়ে নেওয়ার সময় থেকেই এমন অভিযোগ আরও ভিত্তি পায়। আইসিসি ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক সভাপতি শ্রী নিবাসনের পরিবারই পাতানো খেলার সঙ্গে জড়িত ছিল।

কেউ কেউ মনে করেন, আইসিসি নিজেই একটি জুয়ার আখড়া। টি-টোয়েন্টি নামের এক বিশাল জুয়ার প্রচলন করেছে খোদ আইসিসি নিজেই। খেলার শৈলীর দিক থেকে নয়, এর আকর্ষণ জুয়ার উত্তেজনার জন্য। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গ্ল্যামার ও মাদক। আইসিসি যদি হয় জুয়ার আড়তদার, তবে জুয়াড়ি সরবরাহ করে ভারত। ভারতীয়রা আইসিএল নামের জুয়ার আসরের আয়োজন করেছিল। বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার উঠতি প্রতিভাবান সব খেলোয়াড় নিয়ে সেই জুয়ার আসরে গিয়েছিলেন টাকার লোভে। মাঝ দিয়ে দেশ আফতাব আহমেদ, শাহরিয়ার নাফিস, অলক কাপালির সেবা থেকে বঞ্চিত। হাবিবুল বাশার এখন নির্বাচক হয়ে বেশ সুখে স্বাচ্ছন্দ্যেই আছেন। পরিক্রমায় আইসিএল থেকে আইপিএলে রূপান্তর ঘটে জুয়ার আসরের। সেখানেই হাত তুলে আইসিসি আত্মসমর্পণ করে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে মাদক কারবারি ও জুয়াড়িদের মিলনমেলা হয় আইপিএলে ম্যাচ-পরবর্তী পার্টিতে। সেখানেই পরিচয় হয়ে থাকে একে অপরের।

ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেস্ট ম্যাচ বা একদিনের ক্রিকেট থেকে টি-টোয়েন্টি তে ম্যাচ ফিক্সিং করা সহজ। মোটে ৪০ ওভারের খেলা। সময় কম লাগে। খেলা ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করা যায়। টেস্ট ম্যাচ দর্শক টানছে না, একদিনের খেলায় আগের মতো আকর্ষণ নেই; এসব যুক্তি দেখিয়ে আইসিসি টি-টোয়েন্টিকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছে। কার্যত জুয়ার হাতে সমর্পণ করে আইসিসি ক্রিকেটকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই কারণেই আইসিসি ক্রিকেটের পরিসর বাড়াতে চায় না। বিশ্বকাপ ফুটবল যেখানে ৪৮ দেশের অংশগ্রহণে করার চিন্তাভাবনা চলছে, আইসিসি সেখানে ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রতিযোগীর সংখ্যা কমাতে চায়। কারণ হচ্ছে, যত বেশি দেশ আইসিসির সদস্য হবে, প্রতিযোগী দেশের সংখ্যা যত বাড়বে, আইসিসির জবাবদিহির চাপও তত বাড়বে। স্বচ্ছতার জন্য দাবি তৈরি হবে। বরং গুটিকয় দেশের মধ্যে লাভের ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়া সহজ।

আইসিসির জবাবদিহি কে করবে?
আইসিসি কখনই জুয়াড়িদের শাস্তি দেওয়া বা আটক করার বিষয়ে মনোযোগী না। সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন আগারওয়াল নামের চিহ্নিত এক জুয়াড়ি। হতে পারে এটা ছদ্মনাম। ভারতে একবার আটক হয়ে জেলও খেটেছেন তিনি। কিন্তু এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে আইসিসি বা ভারত কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আইসিসি জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না, আইনগত সীমাবদ্ধতার কথা বলে। তবে আইসিসি নতুন আইন প্রণয়ন করতে পারে। সদস্য দেশগুলোকে বাধ্য করতে পারে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। ইন্টারপোলের সহায়তা নিতে পারে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের দ্বারস্থ হতে পারে আইসিসি। আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, আইসিসি একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। কিন্তু আইসিসি এসবের কিছুই করে না।

আইসিসি শুধু খেলোয়াড়দের সাজা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করতে চাইছে। আর জুয়াড়িরা নির্বিঘ্নে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইন্টারপোল ভারতের কমপক্ষে ১০০ জন জুয়াড়ির তালিকা করেছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান হয়েছে বলে শোনা যায়নি। আল জাজিরা জুয়া নিয়ে অনুসন্ধানী স্ট্রিং অপারেশন করেছিল। জুয়াড়িদের ছবিও প্রচার করে আল জাজিরা। জুয়াড়িদের কেউ কেউ আল জাজিরার কাছে দাবি করেছিলেন, আইসিসিতেও তাঁদের যোগাযোগ আছে এবং ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ খেলা তাঁরা পাতাতে পারেন। ওই সময় আইসিসি সহযোগিতা করেনি বলে আল জাজিরা অভিযোগ করেছিল। অজ্ঞাত কারণে অনিল মুনাওয়ার, দীপক আগারওয়ালের মতো জুয়াড়িরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। আইসিসির মনোভাব অনেকটাই এ রকম, ধরা না পড়লে আমরা কিছু জানি না। না হলে ৬০-৭০ শতাংশ খেলা পাতানো সম্ভব না। খেলোয়াড়দের সাজা দেওয়া ও সচেতনতামূলক কাজ ছাড়া আইসিসি আর কী কী করেছে, এ বিষয়ে আইসিসিকে জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার। জুয়ার বিরুদ্ধে আইসিসির অবস্থান বরাবরই ধোঁয়াশাচ্ছন্ন।

বিসিবি ঠিক কথা বলছে না
এবার বিসিবির দিকে দৃষ্টিপাত করা যাক। বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, সাকিবের ঘটনা তিনি বা বোর্ড কিছু জানত না। তিনি সাকিবকে সাক্ষী রেখে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। পাপন সাহেবের কথা যদি সঠিক হয়, তবে ক্রিকেট কূটনীতিতে বিসিবি পুরোপুরিই ব্যর্থ। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সনকে না জানিয়ে আইসিসি অবশ্যই কোনো খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না। বিসিবিতে যুক্ত ছিলেন, এমন কয়েকজনের সঙ্গে এই লেখকের কথা হয়েছে। বিসিবিকে না জানিয়ে আইসিসি বা আকসু বিসিবির কাউকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে না। এ রকম কোনো নজির নেই। আকসু আইপিএলের খেলা নিয়ে সাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুমতি নিয়েছে, আর বিসিবি কিছুই জানে না, এটা অবিশ্বাস্য। হয় বিসিবির সভাপতি মিথ্যা বলছেন, না হয় বিসিবিকে স্বাধীন বোর্ড হিসেবে পাত্তাই দেয় না আইসিসি। এটা বিসিবির সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত।

ভারতের বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আইসিসির যোগাযোগের বিষয়টি প্রকাশিত হয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছে বিসিবি। বিসিবির সভাপতির কথাবার্তা ও আচরণ যথেষ্ট সন্দেহ উদ্রেককারী। সাকিবের ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার আগে বিসিবির সভাপতি বলেছেন, বড় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর আসছে। তিনি কোন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা বলেছিলেন? বিসিবির মধ্যে পেশাদারির প্রবল ঘাটতি আছে।

বিসিবির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
মূল বিষয় হচ্ছে, বিসিবি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। বিসিবির অনেক পরিচালকই নামে-বেনামে বিসিবির সঙ্গে ব্যবসা করছেন। পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক বিসিবির একাধিক কমিটিতে আছেন। তিনি বেক্সিমকোর কর্মকর্তা। বিসিবির সভাপতিও বেক্সিমকোর কর্মকর্তা। বেক্সিমকোর অধিপতি আবার আবাহনীর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। বেক্সিমকোর আরেকটি ক্লাব আছে শাইনপুকুর নামে। বেক্সিমকোর এক কর্মচারীর নামে একাধিক ক্লাবের রেজিস্ট্রেশন আছে। সব মিলে ধুলায় অন্ধকার এক পরিস্থিতি। সেই অন্ধকারে যে যেভাবে পারেন, লুটেপুটে নিচ্ছেন।

আশরাফুলের ঘটনায় বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের নাম এলেও বিসিবি কোনো তদন্তই করেনি। বাতাসে গুঞ্জন ছিল, জুয়াড়িদের সঙ্গে আশরাফুলের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন সুজন। সেই সুজন এখন বিসিবির পরিচালক। দলের ম্যানেজার। ঘরোয়া লিগে হরদম পাতানো খেলা হয়। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিসিবির আসলে কিছু বলার মতো নৈতিক বল নেই। আইসিসি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুর্নীতিতে লিপ্ত। আর বিসিবি, বিসিসিআই ঘরোয়া পর্যায়ে।

জুয়াবিরোধী অভিযানে প্রথম দিকে যখন একের পর এক খেলোয়াড়েরা ধরা পড়তে শুরু করলেন, তখন মনে হতো খেলোয়াড়দের নৈতিক অধঃপতন হয়েছে। এঁরা সমর্থকদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে আইসিসি ও স্থানীয় বোর্ডগুলোই বড় প্রতারক। জুয়ার সঙ্গে ঘুরেফিরে ভারতের নাম থাকছেই। হয় ভারত নিজ উদ্যোগে জুয়াড়িদের ধরবে, না হয় ক্রিকেট থেকে ভারতকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে। অন্যথায় জুয়া বন্ধের কোনো সম্ভাবনা নেই। বিষবৃক্ষের গোড়া না কেটে খেলোয়াড়দের সাজা দিয়ে শুধু ডালপালা ছেঁটে কোনো মওকা হবে না।

আইসিসি ও বিসিসিআই উভয়েই আস্থা হারিয়েছে। বিসিবিও সেই পথে হাঁটছে। ক্রিকেট-ভক্তদের সন্দেহ, আইসিসি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েই জুয়াড়িদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। এ কারণেই সাকিব প্রক্রিয়াগত ভুল করার পরও তাঁর জন্য এত হাহাকার। সাকিব দোষ স্বীকার করার পরও ভক্তরা মনে করেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাঁর প্রতি কঠোর আচরণ করা হয়েছে। তাঁকে চাপে রাখা হয়েছে। আশরাফুল লিগে কত রান করলেন, আবার তিনি জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন কি না, এসব নিয়ে ভক্তরা খোঁজখবর রাখেন। এত কিছুর পরও আশরাফুল, সাকিব জনতার নায়ক। জনগণ তাঁদের পাশে থাকতে চায়। সাকিব যে ভুল করেছেন, সেই ভুলের চেয়েও বড় ভুল করে বিসিবির বড় পদে বসে আছেন একজন। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদেরই আরেক বড় ক্রিকেটারকে জুয়াড়িদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় যে ক্রিকেট বোর্ডে মাফিয়া ও জুয়াড়ি আছেন সেখান থেকে কি সুবিচার পাবেন বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রতিভারা? সাকিবের ফোন নম্বর জুয়াড়িকে দিয়েছিল কে?

এ বিষয়ে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকেও বন্ধুভাবাপন্ন ভাবে না বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটভক্ত। ২০১৫-এর বিশ্বকাপ থেকেই এ অবিশ্বাসের শুরু। ওই বিশ্বকাপে আইসিসি, বিসিসিআই সঙ্গে যোগসাজশ করে বাংলাদেশকে হারিয়েছে বলে সমর্থকেরা সন্দেহ করেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ওই সময় আইসিসি থেকে পদত্যাগ সমর্থকদের মনের আগুনে বাতাস দিয়েছিল। এরপর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেট সাফল্যের পথে অনেক অন্তরায় দেখতে পান সমর্থকেরা।

ড. মারুফ মল্লিক, ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো, ইনস্টিটিউট অব অরিয়েন্ট অ্যান্ড এশিয়ান স্টাডিজ, ইউনিভার্সিটি অফ বন।