Thank you for trying Sticky AMP!!

গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ

গণিত অলিম্পিয়াডে আবারও গণিতের ধার দেখাল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ শিরোপাটি এখন আমাদের—বাংলাদেশের। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপালকে ছাপিয়ে গেছে বাংলাদেশি ছেলেমেয়েরা। ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বিশ্বের মধ্যে ৩৩তম আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম হয়েছে আমাদেরই একদল তরুণ-তরুণী। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সংগঠক ও প্রেরণাদাতাদের অধ্যবসায় যে ফল দিতে শুরু করেছে, এ এক আশাপ্রদ ঘটনা।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) টানা ১১ বারের মতো অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। এবারের প্রতিযোগীরা এসেছিল ১১৪টি দেশ থেকে। এবারের অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছে থাইল্যান্ডের পর্যটননগর চিয়াংমাইয়ে। এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ একটি রৌপ্যপদক, তিনটি ব্রোঞ্জপদক এবং একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করে নিয়েছে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি নিরলসভাবে দেশের সেরা গণিত প্রতিভা খুঁজে বের করা এবং গণিতে আগ্রহ জাগানোর কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ প্রথম আলোর আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত গণিত উৎসব, যার পৃষ্ঠপোষকতা করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এত সব প্রচেষ্টারই ফল হলো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিতকে জনপ্রিয় করে তোলা।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষেবাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গণিতে উৎকর্ষের স্বীকৃতি শুধু পুরস্কারেই শেষ নয়। অলিম্পিয়াড বিজয়ীদের অনেকেই এখন হার্ভার্ড, এমআইটি, স্ট্যানফোর্ড, অক্সফোর্ড, কেমব্রিজের মতো বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত স্নাতক। বিজ্ঞান গবেষণা ও গাণিতিক দক্ষতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ এখন পরিচিত নাম।
বলা হয়ে থাকে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যতটা ভাবুক, ততটা গাণিতিক চিন্তায় পারদর্শী নয়। বছরের পর বছর ধরে চলা গণিত অলিম্পিয়াড ও গণিত উৎসব সেই ধারণা ভেঙে দিচ্ছে। আধুনিক যুগে কি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও গবেষণা, কি প্রযুক্তি ও বাণিজ্য—সবখানেই গাণিতিক মেধার বিপুল কদর। এই গণিতের জগতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ক্রমে জায়গা করে নিচ্ছে, এটা বড়ই সুখের কথা। তাদের আবারও অভিনন্দন।