Thank you for trying Sticky AMP!!

মায়েদের প্রসবপূর্ব সেবা

নিয়মানুযায়ী, প্রসবকালীন জটিলতা এড়াতে একজন মাকে কমপক্ষে চারবার প্রসবপূর্ব সেবা নিতে হয়। অথচ দুই কিলোমিটারের মধ্যে এই সেবা নেওয়ার সুবিধা থাকলেও তা নেওয়ার হার কম। আবার অনেক জায়গায় সেই সুবিধাও নেই। জরিপে দেখা যায়, কম বয়সী (১৮ বছরের কম) এবং বেশি বয়সী (৪১ বছরের বেশি) মায়েদের মধ্যে সেবা নেওয়ার প্রবণতা কম। প্রসবপূর্ব সেবা কম নেওয়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে সামাজিক কুসংস্কার, তথ্যের ঘাটতি এবং অদক্ষ লোকবলের কথা বলা হয়েছে।

এই জরিপে প্রসবকালীন সেবা ছাড়াও শিশু ও মায়েদের পুষ্টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যার ফলাফল অত্যন্ত হতাশাজনক। পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩৫ শতাংশ শিশুর খর্বাকৃতি অর্থাৎ বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম। ৩১ শতাংশ শিশু কম ওজনের। শিশু জন্মের পর মায়ের দুধই হলো প্রধান খাবার এবং শালদুধ পান করালে শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। কিন্তু সামাজিক সংস্কারের কারণে অনেক মা সন্তানকে শালদুধ পান করান না।

 শিশুদের শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা সাতটি গ্রুপের খাবারের মাধ্যমে পূরণ করার কথা থাকলেও আর্থিক কারণে অনেকের পক্ষে সেটি করা সম্ভব হয় না। তাই দারিদ্র্য মোচন করতে না পারলে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ কিংবা প্রতিটি শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা দুরূহ হয়ে পড়বে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে হলে প্রতি ছয়জনে একজন নয়, প্রত্যেক মাকেই প্রসবপূর্ব, প্রসবকালীন ও পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।