Thank you for trying Sticky AMP!!

রোহিঙ্গা শিবিরে কোভিড-১৯

অবশ্য স্বস্তির বিষয় যে গত বৃহস্পতিবার একজন এবং শুক্রবার তিনজন ও শনিবার একজন মিলিয়ে এ পর্যন্ত যে মোট পাঁচজন রোহিঙ্গা শরণার্থী সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁদেরসহ তাঁদের পরিবারের সব সদস্যকে আশ্রয়শিবির থেকে সরিয়ে আইসোলেশন সেন্টারে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের এফ ব্লকের ১ হাজার ২৭৫টি পরিবারের প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরকে এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ থেকে লকডাউনে রাখা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কীভাবে পাঁচজন রোহিঙ্গা সংক্রমিত হলেন, এই প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে না গেলে সুস্থ কোনো ব্যক্তির সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। রোহিঙ্গা শিবিরে করোনা সংক্রমণের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো বের করা যায়নি। পণ্যবাহী ট্রাকের শ্রমিকদের মাধ্যমে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের অনেকে ধারণা করছেন। কারণ, শিবিরে ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। এ ছাড়া অন্য যে কারণটি সন্দেহ করা হচ্ছে তা বিপজ্জনক। বলা হচ্ছে রাতের আঁধারে শিবির ছেড়ে বহু রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফে যায়। এই সন্দেহ সত্য হলে এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে লকডাউন বাস্তবে কাজ করেনি বা করছে না।

রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরগুলোতে ব্যাপক আকারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে অত্যন্ত কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করার কোনো বিকল্প নেই। কেউ যেন শিবিরের বাইরে যেতে না পারে এবং বাইরে থেকে কেউ যেন শিবিরগুলোতে ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। যে পরিবারগুলো হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে, তাদের খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং যাঁরা এসব কাজে নিয়োজিত থাকবেন, তাঁদের প্রত্যেকের যথাযথ সুরক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।