Thank you for trying Sticky AMP!!

সাধারণ ছাত্ররা একটি বিকল্প মঞ্চ চাইছে: নুরুল

>
নুরুল হক
সদ্য নির্বাচিত ডাকসুর সহসভাপতি নুরুল হক  সম্প্রতি ডাকসু ভবনে প্রথম আলোর মুখোমুখি হন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান

প্রথম আলো: সাবেক ছাত্রলীগার হিসেবে জিএসসহ অন্যদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক অম্ল না মধুর? আপনার ওপর হামলায় ছাত্রলীগ নিন্দা করল। নির্বাচনের পর মধুর ক্যানটিনে তাদের সঙ্গে একত্রে বসেছেন?

নুরুল হক: কোষাধ্যক্ষ স্যারের ডাকা অনুষ্ঠানে আমরা একত্রে লাঞ্চ করেছি। আমার বাবা জিএস-এজিএসের সঙ্গে একদিন দেখা করেন। তখন চা খেয়েছি। তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আগে থেকেই ভালো। আন্তরিকতা আছে, বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়।

প্রথম আলো: সুযোগ পেলে প্রথমেই ডাকসু কী করবে?

নুরুল হক: ডাকসু, হল সংসদ ও প্রাধ্যক্ষদের নিয়ে সিনেটে একটি পরিচিতি পর্ব চাই। ডাকসু ক্যাফেটেরিয়াকে উন্নত করা। হলে সিট পেতে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার বন্ধে তারাও একমত হয়েছে। তাদের ইশতেহারেই ছিল গেস্টরুম, গণরুম, যা ক্ষমতাসীন দলেরই সৃষ্টি, সেসব তুলে দেওয়া। আর আমরা ডাকসু প্রথম সর্বসম্মত কাজ হিসেবে ক্যাম্পাসে প্রায় আড়াই শ রিকশা এ মাসেই চালু করতে যাচ্ছি। চালকের ড্রেস কোড ও ভাড়া নির্দিষ্ট থাকবে।

প্রথম আলো: আচ্ছা, গেস্টরুম কি টর্চার সেল?

নুরুল হক: প্রথম বর্ষের ছাত্রদের বৈধভাবে হলে ওঠার নিয়ম না থাকাটা এর মূলে। দলীয় দয়ায় তাঁরা থাকেন, তাই দলের কর্মসূচিতে অংশ নিতে তাঁরা বাধ্য হন। গেস্টরুমে নিয়মিত সভা বসে। নেতারা তাঁদের জবাবদিহি করেন, তাঁদের মনঃপূত না হলে তাঁরা শাস্তি পান।

প্রথম আলো: বর্তমান জিএস-এজিএসের সঙ্গে ক্যাম্পাসে আগে একত্রে মিছিল করেছেন?

নুরুল হক: তা করিনি, সহযোগিতার সম্পর্ক আছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা অনুচিত জেনেও শুধু রাজনৈতিক কারণে বিরোধিতা করেন। এখানে অপরাজনীতির প্রভাব আছে। এসএম হলের ঘটনায় ছাত্রলীগ দায়ী, সেটা জেনেও জিএস যা করেন, তা হয়তো ব্যক্তিগতভাবে নয়, করেন দলের স্বার্থে। জিএস, এজিএস দুজনেই চমৎকারভাবে কথা বলেন। লোকদেখানো হলেও ইতিবাচক। তাঁরা যা বলেন, সেটাও কাজে দেবে। তাঁরাও আমাকে ফোন দেন। বলেন, সমন্বিত সিদ্ধান্তে ডাকসু কার্যকর করতে হবে, তাঁদের এই তাড়নাকে আমি ইতিবাচকভাবে নিই।

প্রথম আলো: আপনার এই রুমে জিএস বা এজিএস এসেছেন? আপনি তাঁদের রুমে গেছেন?

নুরুল হক: আমি দুজনের রুমেই গিয়েছি। পাশে বসে কথা বলেছি। তাঁরা ডেকে কথা বলেন। কেউ এখনো আমার কক্ষে আসেননি। তবে যাওয়ার পথে হাই হ্যালো বলেছেন।

প্রথম আলো: ডাকসুর অগ্রাধিকার কী?

নুরুল হক: হলগুলো অছাত্র ও বহিরাগতমুক্ত করা। মেয়েদের হলগুলোতে সমস্যা একটু কম। কারণ, এখানে হয়তো ৩০ ভাগ আসন দলীয় বাকিটা প্রশাসনিক বিবেচনায় দেওয়া হয়। সুফিয়া কামাল, কুয়েত মৈত্রী হল, শামসুননাহার হলসহ মনে হয় অনেক হলেই কিছু নির্দিষ্ট কক্ষই আছে দলীয় বিবেচনায় দেওয়া। ছেলেদের এক রুমে গাদাগাদি করে ২০-২৫ থাকাটাকে বলে গণরুম। এসবের বিলোপ করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপ্রক্রিয়াকে ডিজিটাল করা। হলের রিডিং রুমগুলোকে অধিকতর ব্যবহার উপযোগী করা। বিশুদ্ধ পানি, বাথরুম ইত্যাদি সমস্যা নিরসনে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি।

প্রথম আলো: কত ভাগ অছাত্র শুধু রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় হলে থাকেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবন শেষ করে অছাত্র আর পুরো বহিরাগতদের অনুপাত কী?

নুরুল হক: অছাত্র প্রায় ৩০ ভাগ আর ৭ থেকে ৮ ভাগ বহিরাগত হতে পারে। চাকরিজীবী হয়েও ছাত্রনেতাদের টাকা দিয়ে হলে থাকার উপদ্রব মুহসীন, সূর্য সেন ও জগন্নাথ হলে সব থেকে বেশি।

প্রথম আলো: একত্রে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?

নুরুল হক: প্রথম সভা উপাচার্যের ও দ্বিতীয় সভা কোষাধ্যক্ষের সভাপতিত্বে বাজেট আলোচনা হলেও অন্য ছাত্রপ্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা এখনো বসতে পারিনি। অনেকবার জিএসকে অবগত করেছি, ব্যস্ততার কারণে পারেননি। এটা বুঝেছি, এককভাবে ডাকসুর ভিপি অনেক কিছুই করতে পারবে না। ছাত্রলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই তাদের ছাড়া অনেক কিছু করতেই বাধার সম্মুখীন হই। এখন পর্যন্ত ডাকসুর নির্বাচিতরা মিলে একটি সভা করতে পারিনি।

প্রথম আলো: এসএম হলে অছাত্রদের বের করতে আপনি জিএসের সঙ্গে একটা সমঝোতায় এলেন কীভাবে?

নুরুল হক: ওই হলের ছাত্ররা সংঘাতের আগে অছাত্র বের করতে আন্দোলন করেছিল। ভিপি-জিএস ডাকসুতেই ছিলাম, সেখানে যাই। এবং হল সংসদ ও প্রাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে প্রতিটি কক্ষ চেক করি। হল প্রশাসন কখনো অছাত্র বের করার সক্ষমতা দেখায়নি।

প্রথম আলো: ছাত্রলীগের নানা দুর্নাম, আপনি থাকতেও ছিল। আপনার মতো যাঁরা, তাঁরা প্রতিবাদ বা ভিন্নমত জানাতে পারেন?

নুরুল হক: পঁচাত্তরের পর জাতীয় রাজনীতির মতোই এখানেও একপ্রকারের স্বৈরতন্ত্র চর্চাই হয়েছে। জনগণকেন্দ্রিক না হয়ে নেতাকেন্দ্রিকতা ছাত্র রাজনীতিতেও। নব্বইয়ের পরে ছাত্ররা রাজনীতির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করল। লেজুড়বৃত্তির ধারা চলমান আছে। নেতা আরোপিত হন, তাঁর হুকুম মানতে হয়।

প্রথম আলো: ছাত্রদল বিতাড়িত হওয়ার শূন্যতা কি করে পূরণ হচ্ছে?

নুরুল হক: ক্যাম্পাসে পেশি, অস্ত্র ও অর্থশক্তিনির্ভর রাজনীতির শিকার নিরীহ ছাত্ররা। মেধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, সংগঠন ধরে হলে ভর্তি, এই দুরবস্থা থেকে বেরোতে ছাত্ররা একটি আস্থার জায়গা খুঁজছে। কোটা সংস্কার ও প্রশ্নপত্র ফাঁসবিরোধী আন্দোলনে তার একটা বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ডাকসু নির্বাচনপ্রক্রিয়াতেও স্পষ্ট যে, সাধারণ ছাত্ররা একটি বিকল্প মঞ্চ চাইছে।

প্রথম আলো: হলে আপনাদের সংগঠনসহ কেউ কি এখন ছাত্রলীগের বাইরে কোনো পরিচয় দিতে অকপট?

নুরুল হক: ওই পরিবেশ এখনো আসেনি। ছাত্রদল যা করেছে, সেটা টানা তিন মেয়াদে করতে পারায় ছাত্রলীগের দখলদারি আরও পোক্ত হয়েছে। ছাত্রলীগ থেকে প্রতিবাদ করতে পারিনি বলে, সরে এসেছি যা অনেকের পক্ষে করা সহজ নয়। ডাকসুর পর শিক্ষকেরা ছাত্রসংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে যাতে কাজ করতে পারে, সে জন্য কিছু করেছেন, যা প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু হলে তার তেমন প্রতিফলন নেই।

প্রথম আলো: ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ভাবনা কী? এ নিয়ে চিকা চোখে পড়ল না।

নুরুল হক: ঢাবির ছাত্ররা মেধাবী, তাই দেশে কী ঘটছে, বিশ্ব জানে, তাঁরাও জানেন ও বোঝেন। বদ্ধ অবস্থায় বলতে পারি না। বললে গলা চেপে ধরা হয়। লিখতে পারি না। লেখাটা নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্র।

প্রথম আলো: একই ব্যালটের সিল গুনে ভিপি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন, তাহলে দুটি বৈধ, বাকি ২৩ পদে নির্বাচন কি করে অবৈধ হয়, সেই প্রশ্নের উত্তরে আপনার টিভির বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে, আপনার ফলটাও সাজানো?

নুরুল হক: হলের ভোট হলে ঘোষণা না করে সিনেটে আনা এবং বেলা দুইটার ভোট গণনা শেষে, ১৩ ঘণ্টা পরে রাত তিনটায় ফল প্রকাশ সন্দেহজনক।

প্রথম আলো: কেউ ইঙ্গিত দেবেন মির্জা ফখরুল ও আপনার নির্বাচনে তফাত নেই। ভিপি হয়ে এই পরিস্থিতি বদলাতে পারবেন?

নুরুল হক: চারদিকে অসংখ্য অনিয়ম-অন্যায় দেখি। কিন্তু তাতে হতাশ হলে এই সমাজ টিকবে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আন্দোলনের কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করেছিল, এখন তারাই যথার্থরূপে তাঁকে সম্মানিত করছে। আটাশ বছর পরে যা ঘটল, তার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকব। শিক্ষক ও ভিসি নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা রাজনীতির ফল।

প্রথম আলো: আগামী ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু করার মুখ্য শর্ত কী?

নুরুল হক: প্রশাসনকে ইগোমুক্ত হবে যে, ভোটকেন্দ্র হলেই হতে হবে। আমি কলঙ্কিত নির্বাচন থেকে বেরোতে এখনই নতুন নির্বাচন করার দাবি থেকে সরে না এসে বলব, আগামী নির্বাচন কোন তারিখে হবে, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালির ব্যবহারের বিষয়ে এখনই স্পষ্ট ঘোষণা চাই। তদন্ত কমিটির বিষয়ে আমি হতাশ।

প্রথম আলো: বাকি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কবে নির্বাচন?

নুরুল হক: স্বায়ত্তশাসনের কথা যতই বলা হোক, এটা অলিখিত যে সরকারি সম্মতি ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে না। ডাকসুতে যা ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি রোধে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রস্তুতি আছে। ছাত্ররা কিছুটা উচ্ছ্বসিত, কারণ অনিয়ম সত্ত্বেও ডাকসু নির্বাচনের কারণে কিছু নেতৃত্ব বেরিয়েছে।

প্রথম আলো : ছাত্র রাজনীতিতে লেজুড়বৃত্তি বন্ধে কী করণীয়?

নুরুল হক : অপরাজনীতি জেঁকে বসেছে। তাই এই বিষয়ে প্রথাগত প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে একটা পরিবর্তন আশা করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এখানে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে জাতীয় নেতৃবৃন্দের নৈতিক দায় আছে। ছাত্রদের পেশি শক্তি হিসেবে ব্যবহার করার প্রবণতা রোধ করা গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রীগণ ক্যাম্পাসে এলে ছাত্ররা যেভাবে দাঁড়িয়ে থেকে প্রটোকলের দায়িত্ব পালন করেন, তা অনভিপ্রেত। অক্সফোর্ডসহ বিশ্বের সেরা বিদ্যাপীঠগুলোতে ছাত্র ইউনিয়ন রয়েছে। সেখানে তো প্রশ্ন ওঠে না, কে লেবার, কে কনজারভেটিভ সমর্থক? তাহলে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে কেন এ ধরনের প্রশ্নই বড় হয়ে থাকবে?

প্রথম আলো : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে নিচে, এটা ছাত্র-শিক্ষকেরা আলোচনা করেন?

নুরুল হক : সচেতন সবাই করেন। কিন্তু শিক্ষকেরা খুব বেশি রাজনীতিকীকরণ করে ফেলেছেন, সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, শিক্ষক নয়, ঢাবিতে এখন ভোটার নিয়োগ হয়। শিক্ষক পদে যোগ্যদের অনেক সময় মূল্যায়ন করা হয় না। প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের দায় বেশি। যেমন দর্শন এবং জীববিদ্যা, উভয় অনুষদের গবেষণা বাজেট হলো ৫ লাখ টাকা করে। এটা তো হতে পারে না। শিক্ষকেরা পদ-পদবির জন্য লবিংয়ে খুব বেশি ব্যস্ত। তারা শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করার সময় অনেকটাই দিতে পারেন না।

প্রথম আলো: প্রধানমন্ত্রীর কোন কাজ আপনার ভালো লেগেছে?

নুরুল হক: ডাকসুতেও যেমনটা দেখলাম, তিনি বড় সংকট নিজেই মোকাবিলা করেন। এটা ভালো লেগেছে, তিনি আন্তরিকভাবে সবার কথা শুনেছেন। নোট নিয়েছেন।আমি তাঁকে পাঠ্যসূচি যুগোপযোগী এবং জনঘনত্ব বিবেচনায় কর্মমুখী ও কারিগরি শিক্ষা চালু করা, যা চাকরিমুখী না করে আত্মনির্ভরশীল করতে পারে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক চিকিৎসাসেবা বদলাতে বলেছি। চর এলাকায় শৈশবে বিনা চিকিৎসায় আমার মা মারা যান। সে কথা তুলে ধরে আমি বলেছি, চিকিৎসাসেবা যাতে সাধারণ মানুষের নাগালে থাকে। প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপের সঙ্গে বলেছেন, চিকিৎসকদের গ্রামে পাঠাতে তিনি সচেষ্ট রয়েছেন।

প্রথম আলো: প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের কোনো সমালোচনা...

নুরুল হক: উন্নয়ন সত্ত্বেও তাঁর আমলে গণতন্ত্র সংকুচিত হয়েছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে নির্বাচন হাস্যকর ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। সংবিধানের চার মূলনীতির পরিপন্থী এই নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র দেখে গোটা বিশ্বও উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের মন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, আজ তা বহুলাংশে ভূলুণ্ঠিত। আমার হলের রুমে এসে যখন আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হলো, শাহবাগ থানা আমার জিডি নেয়নি। তাহলে আমজনতা কেমন আচরণ পাচ্ছে? আমরা উন্নয়নের গণতন্ত্র নয়, গণতন্ত্রের উন্নয়ন চাই। যা গণতন্ত্রকে ধারণ করে উন্নয়ন করে যাবে। মানুষের সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের মাধ্যমে উন্নয়ন চাই না। এটা সংবিধানের চার মূলনীতির পরিপন্থী। তাই নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র সংবিধানকে লঙ্ঘন করার একটি চেষ্টা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

নুরুল হক: ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন :-

সব ক্ষেত্রে ডাকসুর প্রতিনিধিত্ব চাই: রাব্বানী