Thank you for trying Sticky AMP!!

অবহেলিত প্রাথমিক শিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষা সব শিক্ষার মূল ভিত্তি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়তে ১ জুলাই ১৯৭৩ সালে এ দেশের প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করেন। ফলে প্রাথমিক শিক্ষকেরা সরকারি মর্যাদা পেলেও তাঁরা অনেকাংশে অবহেলিত এবং নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা কেন বাস্তবায়িত হচ্ছে না? পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকদের বেতন ধাপ আপগ্রেড করা প্রয়োজন।

বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী শিক্ষকও কর্মরত রয়েছেন। যোগ্যতাভিত্তিক স্কেল পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রাণের দাবি। প্রাথমিক শিক্ষকদের পাঠদান ছাড়াও বিভাগবহির্ভূত অনেক কাজ করতে হয়।

বিদ্যালয়ে রুটিনমাফিক কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হচ্ছে। অথচ শিক্ষকদের ন্যূনতম সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে না।

আমাদের দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা জেলা শিক্ষা অফিসারের সমান গ্রেডে বেতন পেয়ে আসছেন। সহকারী শিক্ষকেরা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদায় বেতন পান।

অথচ প্রাথমিক শিক্ষকদের ব্যাপারে শিক্ষা বিভাগের নজর নেই। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পরিপত্র জারি করে প্রাথমিক শিক্ষকদের কাজের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু না বাড়ছে তাঁদের মর্যাদা, না বাড়ছে সুযোগ–সুবিধা। এভাবে শিক্ষার বনিয়াদ দৃঢ় হতে পারে না।

শিক্ষায় মানোন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। আর তার প্রথম ধাপ হচ্ছে শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করা। আর প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার প্রথম ধাপ।

কে এম আ. মজিদ

 টাঙ্গাইল।