Thank you for trying Sticky AMP!!

ধর্ষণের লাগাম টানুন

ধর্ষণ

ধর্ষণ নিত্যকার দশটি সাধারণ ঘটনার মতো হয়ে যাচ্ছে। ঘরে-বাইরে নারীর নিরাপত্তা দিনের পর দিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। নগরায়ণ-শিল্পায়নের ফলে নারীদের এখন ঘরে-বাইরে কাজ করতে হয়। এ কারণে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। একজন পুরুষ দিন-রাত যেভাবে বুক ফুলিয়ে পথে বেরোতে পারেন, একজন নারী তা কতটা পারছেন? নারী-পুরুষের লিঙ্গ ভেদাভেদের ফলে একটি চরম বৈষম্যমূলক প্রথা সমাজে বিরাজমান। সে সুযোগে অপরাধী চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বিবাহিত-অবিবাহিত, যুবতী-শিশু, বৃদ্ধা কিছুই তাদের আটকাতে পারছে না। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সমাজের লোকেরা দুষ্কৃতকারীদের সতর্ক না করে উল্টো দেখা যায় নারীর পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে নানান রকম কটূক্তি জুড়ে দেন।


রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষের সচেতনতাই কেবল পারে আমাদের এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে। সন্তানকে বাসায় শিক্ষা দিতে হবে নৈতিকতা ও সুশিক্ষা এবং নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা। যে সন্তান তার মা-বোনকে সম্মান দিয়ে অভ্যস্ত হয়ে বেড়ে উঠবে, সে কখনো বড় হয়ে অন্য নারীর সঙ্গে এমন জঘন্য আচরণে লিপ্ত হবে না। পাশাপাশি সরকারের উচিত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া এসব অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ বাহিনীকেও ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করা প্রয়োজন। বিচার বিভাগ যদি তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন, তবে ভালো হয়। অন্যথায় দেশে ধর্ষণের যে বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ছে মারাত্মক আকারে, তা ঠেকানো কঠিন হয়ে উঠবে।


সিরাজুল মুস্তফা
কথাসাহিত্যিক, চট্টগ্রাম