Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রান্তিক নারীদের নিরাপত্তাহীনতা

সারা দেশের মতো প্রতিনিয়ত ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে প্রান্তিক নারী জনগোষ্ঠী। একটি পত্রিকা থেকে জানা যায়, গত এক মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের শিকার হন আটজন আদিবাসী নারী। বান্দরবানের লামায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক ত্রিপুরা নারী, মহালছড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় এক মারমা স্কুলছাত্রী, দীঘিনালায় পুলিশ কনস্টেবল কর্তৃক ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, বরকলে দুজন সেটলার কর্তৃক পাহাড়ি নারী ধর্ষণ, বলেপেয়ি আদামে নয়জন বাঙালি সেটলার কর্তৃক ধর্ষিত হন প্রতিবন্ধী এক নারী এবং লুটপাটও হয়।


এ ছাড়া সমতলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীও যেন সহিংসতা থেকে মুক্ত নয়। যেখানে বহুল আলোচিত ধর্মীয় ফাদার কর্তৃক রাজশাহীতে তিন দিন গির্জায় আটকে রেখে আদিবাসী শিশুকে ধর্ষণ, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা পল্লিতে বাক্প্রতিবন্ধী আদিবাসী কিশোরী ধর্ষণ, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীতে গারো আদিবাসী নারীকে ছয় দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সাঁওতাল কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ।
এ ছাড়া সম্প্রতি মধুপুরের গারো নারী বাসন্তীর কলাবাগান বন বিভাগের কর্তন। মূলত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠরোধের ফলে অনেক কিছুই প্রকাশ্যে আসতে চায় না। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বর নির্যাতনের কথা শোনা যায়।


প্রান্তিক নারী জনগোষ্ঠীদের ওপর যারা নির্যাতন চালায় ক্ষমতা আর টাকার দাপটে তাদের অনেকেই পার পেয়ে যায়। নির্যাতীতদের আর্তনাদ যেন ওই পাহাড়েই আটকে থাকে। সরকার ও প্রশাসনের কাছে আবেদন, প্রান্তিক নারীদের প্রতি সহিংসতার বিচার দ্রুত নিশ্চিত করুন। নির্যাতনকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করুন।


আমিন ইসলাম নাসিম
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া