Thank you for trying Sticky AMP!!

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙা আমাদের দেশে নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কারণ সবারই কমবেশি জানা। এটা বন্ধ করতে আমাদের নতুন প্রযুক্তিতে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।

বাঁধ তৈরির আগে বাঁধের মাঝখানে দৈর্ঘ্য বরাবর ৩৬ ইঞ্চি অথবা ৪৮ ইঞ্চি অথবা প্রয়োজনীয় পুরুত্বের এবং প্রায় বাঁধের উচ্চতা পর্যন্ত সোজা অথবা ঢেউখেলানো/আঁকাবাঁকা পাকা দেয়াল (নিচের অংশ ঢালাইসহ) তৈরি করে নিতে হবে। খরচ কমানোর জন্য দেয়াল এবং এর পিলারসমূহ ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঢালুও হতে পারে অথবা ওপরের অর্ধেক অংশ কম পুরুত্বের হতে পারে। পরে এই দেয়ালের দুই পাশে মাটি ফেলে দেয়ালটি ঢেকে দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্থের ও উচ্চতার বাঁধ তৈরি করলে (নদীভাঙন ব্যতীত) ইঁদুর বা মানুষ সহজে বাঁধ নষ্ট করতে পারবে না। কোনো কারণে এক পাশের মাটি সরে গেলেও অপর পাশের মাটি দেয়ালকে সুরক্ষা দেবে। উপরন্তু কোনো অপশক্তি বাঁধ তথা পাকা দেয়ালের ওপরের অংশের ক্ষতিসাধন করলেও তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত অংশে যাতে লোহার প্লেট বসিয়ে সাময়িক পানির প্রবাহ বন্ধ করা যায়, এ জন্য বাঁধের ড্রয়িংয়ে ওপর থেকে দু–তিন ফুট নিচে স্লট বা অন্য ব্যবস্থা রাখলে খরচও তেমন বাড়বে না। বাঁধের দুই পাশের গাছ লাগাতে হবে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে বাঁধের দুই পাশের ঢালুতে বাঁধ রক্ষা করার জন্য ব্যয়বহুল ব্লক বসানোর প্রয়োজন হবে না। প্রাথমিকভাবে এতে খরচ বেশি পড়লেও ভাঙার আশঙ্কা না থাকায় দীর্ঘ মেয়াদে এটি সাশ্রয়ী হবে।

সৈয়দ হাসান মাহমুদ

ব্রেভ রয়েল শিপ ম্যানেজমেন্ট, বাংলাদেশ।