বেপরোয়া গতির নেশা কাড়ছে হাজারো প্রাণ। গতির নেশা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। ফেসবুক, অনলাইন গেমের মতোই তরুণদের মাঝে নেশা হিসাবে নতুন সংযোজন মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতির নেশা। এই নেশায় যারা মত্ত তাদের কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করার নেই। গতি উঠাতেই হবে। বলা যায়, তাদের কাছে এটা নিছক একটা বিনোদন। কিন্তু এই নেশাতেই বারংবার রক্তাক্ত হচ্ছে সড়ক। কেড়ে নিচ্ছে মানুষের প্রাণ।
এমন কোনও দিন নেই, এমন কোনও সময় নেই যে দিনে বা রাতে আমাদের দেশের সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটছে না। সড়কে ও মহাসড়কে আহতদের আর্তনাদ আর নিহতদের পরিবার–পরিজনের বুকভরা কান্না যে কোনো মানুষকে কাঁদিয়ে ছাড়বে। উৎসবের দিনগুলোতে এই ছবিগুলো আরও যেন স্পষ্ট হয়ে ওঠে আমাদের বাংলাদেশ জুড়ে। সে রোজার ঈদ হোক বা বকরি ঈদ বা যে কোনো উৎসব হোক না কেন!
উৎসবের এই দিনগুলোতে হাসপাতালগুলোতে একটু খোঁজ নিলে দেখা যায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীদের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যায়। যাদের অধিকাংশই তরুণ ও সাধারণ পথচলিত মানুষ। আর অধিকাংশ দুর্ঘটনার কারণ বেপরোয়া গতি। আমাদের চরম দুর্ভাগ্য যে, রেসিং ট্র্যাক আর ব্যস্ত সড়কের ন্যূনতম পার্থক্যও তাদের বোধে আসে না।
শেষে এটুকুই বলার, ব্যস্ত সড়কে মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি কখনই বিনোদনের নয়, বরং তা জীবননাশা আতঙ্কের। আমাদের সামান্যতম নির্বুদ্ধিতা বহু পরিবারকে আজ স্বজনহারা বানিয়েছে, বদলে দিয়েছে তাদের বাকি জীবনের সমীকরণ। অতএব, যদি যুবসমাজ এখন থেকে সচেতন না হয়, তবে এই প্রক্রিয়া যে চলতেই থাকবে, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
লিয়াকত হোসেন
রূপনগর, ঢাকা
আরও পড়ুন
-
বিটিভিতে সংগীতশিল্পী তালিকাভুক্তি: ফোনালাপ ফাঁস, কর্মী বরখাস্ত
-
গাজীপুর থেকে জঙ্গি ধরে বান্দরবানে নিয়ে ড্রামভর্তি অস্ত্র-বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার
-
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে না: যুক্তরাষ্ট্র
-
এবার শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হলছাড়া করল ছাত্রলীগ, হত্যার হুমকির অভিযোগ
-
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি