Thank you for trying Sticky AMP!!

‘টিকিট দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়, সেই টিকিটের গায়ে টাকার পরিমাণ উল্লেখই থাকে না!’

হাতিয়ায় নৌপথে ভাড়া নিয়ে চলছে নৈরাজ্য

নোয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। নোয়াখালী থেকে বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপে কোনো সড়ক যোগাযোগ না থাকায় যাতায়াতের জন্য নৌপথই একমাত্র ভরসা।

নৌপথ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করে আসছেন এ দ্বীপের মানুষ। এখানে নদীপথে চলাচলের জন্য রয়েছে সি–ট্রাক, ট্রলার ও স্পিডবোট। সি-ট্রাক বন্ধ করে একটি কুচক্রী মহল নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য ট্রলার চালু করেছে। ট্রলারের ভাড়া ২৫৫ থেকে ৩০০ টাকা। যেখানে সি-ট্রাকের ভাড়া ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, অর্থাৎ ট্রলারভাড়ার অর্ধেকের চেয়ে কম সি-ট্রাকের ভাড়া।

এ ছাড়া চলছে স্পিডবোটের ভাড়ার প্রতিযোগিতা। এখানকার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাট পর্যন্ত সময় লাগে ২০-২৫ মিনিট, অথচ ভাড়া ৫০০ টাকা। মাত্র ২০ মিনিটের পথে ভাড়া ৫০০ টাকা হয় কীভাবে? এত অল্প সময়ের দূরত্বে এত বেশি ভাড়া নেওয়ার নজির দেশের আর কোথাও নেই।

এর বাইরে এখানকার ঘাট কর্তৃপক্ষের অসদাচরণ তো আছেই। সবচেয়ে বড় কথা, স্পিডবোটসহ ঘাটে টিকিট দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়, সেই টিকিটের গায়ে টাকার পরিমাণ উল্লেখই থাকে না! বোঝাই যাচ্ছে, কোনো একটা জায়গায় সমস্যা আছে।

দেশের আর কোথাও ভাড়ার নামে এ রকম নৈরাজ্য চলে না। এভাবে এখানকার মানুষের কাছ থেকে একটি কুচক্রী মহল কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিবাদ করার সাহসও পায় না কেউ। হাতিয়াবাসীর এমন অসহনীয় দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মামুন রাফী

হাতিয়া, নোয়াখালী