Thank you for trying Sticky AMP!!

পোস্টার নয়, নান্দনিক কারুকার্য ছড়িয়ে পড়ুক

মগবাজার এলাকায় উড়ালসড়কের পিলারে শিল্পচিত্র

মেট্রোরেলের উদ্বোধন হয়ে গেছে। ঢাকা শহরের একাংশের বাসিন্দারা সেটি ব্যবহার করে স্বস্তি পাচ্ছেন। নিঃসন্দেহে এটি বড় প্রাপ্তি। ঢাকা শহরের দুর্বিষহ যানজট ছাপিয়ে মেট্রোরেলে যাতায়াত মানুষের জীবনকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। নগরীর বুক চিড়ে সারি সারি দৃষ্টিনন্দন পিলারে ভর করে মেট্রোরেল ছুটে যাচ্ছে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, হাবিজাবি লিফলেট পোস্টারে এসব পিলারের সৌন্দর্য প্রায় নিঃশেষ হওয়ার উপক্রম।

শুধু মেট্রোরেলের পিলার নয়, বিভিন্ন উড়ালসড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার, যানবাহন, অফিস- আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেতু, কালভার্ট, সড়ক বিভাজক, ইলেকট্রিক পিলারসহ সব জায়গায় পোস্টার সাঁটানো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফটকে তাকালে মন হয়, এটি যেন পোস্টারের ফটক। নগরীকে মনে হয় পোস্টারের নগরী!

আশার খবর হলো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তরুণদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে মানবতার দেয়াল, দেয়াল চিত্র, দেয়াল লাইব্রেরি। শহর গ্রাম-গঞ্জের দেয়ালগুলো ভরে উঠছে মহৎ বাণীতে। মগবাজার এলাকায় উড়ালসড়কের পিলারগুলো ভরে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে। এভাবে শিল্পীর শিল্পকর্মে সুশোভিত হোক স্কুল কলেজের আঙিনাগুলোও।

তরুণেরা এগিয়ে আসছে, তারাও  ভাবছে দেশকে নিয়ে। দেশের সৌন্দর্য নিয়ে, পরিচ্ছন্নতা নিয়ে। এই ভাবনার পথকে প্রসারিত করে দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। নিয়ন্ত্রিত হোক যত্রতত্র পোস্টার সাঁটানো। পথেঘাটে, দেয়ালে দেয়ালে ফুটে উঠুক নান্দনিক শৈল্পিক ছাপ। আগামীর শিশু বড় হোক রুচিশীল আবহে, জঞ্জালে নয়।

রাব্বিল হোসেন
শিক্ষার্থী
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা কলেজ