Thank you for trying Sticky AMP!!

সিন্ডিকেট গড়ছে টাকার পাহাড়, কৃষকের কথা ভাবে কে

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কিন্তু দিনদিন কমে যাচ্ছে আবাদি জমি। প্রতিনিয়তই বাড়ছে ফসলের দাম। কৃষক কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফসল ফলায়। কিন্তু বর্তমান বাজারে কৃষক তার পরিশ্রমের যথাযোগ্য সম্মান পায় না। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী কৃষকের কাছ থেকে যে মূল্যে পণ্য ক্রয় করছে ভোক্তা পর্যন্ত এসে সেই পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ অথবা তার অধিক হারে বিক্রি করছে।

প্রতিটি পণ্যের মূল্য আকাশচুম্বী। একদিকে কৃষক পাচ্ছে না ন্যায্য মূল্য অন্যদিকে ভোক্তারাও বিশাল বিপাকে পড়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা গড়ছে টাকার পাহাড়।

আমরা যারা বিভিন্ন পেশাজীবী তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমাদের আয় কমে গেলে পেশা পরিবর্তন করে ফেলি। ভাবুন তো আমাদের মতো কৃষকরাও চিন্তা করে পেশা পরিবর্তন করে তাহলে দেশের অবস্থা কেমন হবে! কে আমাদের খাদ্যের জোগান দেবে!

দিন দিন কৃষকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে অপরদিকে বেড়ে যাচ্ছে ভোক্তার সংখ্যা। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে খাদ্যের দাম।

বাজারে সিন্ডিকেট, এর জন্য কে দায়ী বলতে পারবেন? অনেকেই বলবেন সরকার। সরকারকে দোষারোপ করা কি আমাদের ঠিক হচ্ছে? গভীরভাবে ভেবে দেখুন বিবেককে প্রশ্ন করুন। দেশের পরিস্থিতি খারাপ দিকে গেলেই শুধু দেশের সরকারকে দোষারোপ করতে হবে অদ্ভুত আমরা!

নিজেদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছি।

বর্তমান প্রজন্ম দূরে সরে যাচ্ছে কৃষকের কাছ থেকে। ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষকের ছেলে শিক্ষক অথচ একজন কৃষক তার ছেলেকে কৃষক বানাতে চায় না এর আসল কারণ কী?

আসলে কারণ আমরা কৃষককে যথাযোগ্য সম্মানের চোখে দেখি না। আগেকার দিনে কৃষকের সন্তান কৃষক হতো কারণ পেটের ক্ষুধা দূর করতে খাদ্য আবাদ করতে হবে এটাই ছিল তখনকার কৃষকের চিন্তা চেতনা। বর্তমানে তা ভিন্নতর।

জাতি শিক্ষিত হচ্ছে। শিক্ষার আলো পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিটি ঘরে। তবুও মানুষ কৃষিকাজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেশ এক সময় খুব ভয়াবহ দিন পার করবে।

আসুন আমরা প্রত্যেকেই সচেতন হই। কৃষককে যথাযোগ্য সম্মান দিই । সরকারকে সহযোগিতা করি বাজারে সিন্ডিকেট দূর করার জন্য।

কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ,
আমার আপনার বাংলাদেশ।

মো. সোলায়মান হোসেন
শিক্ষক
তারাকান্দি, সরিষাবাড়ী
জামালপুর।