কুয়েতের আমিরের প্রয়াণ এবং এক ঐতিহাসিক সম্পর্কের গল্প
কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল–আহমেদ আল–জাবের গত ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আঞ্চলিক মধ্যস্থতা ও মানবিক প্রচেষ্টার কারণে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। ১৯৭৪ সাল থেকে কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। এ সম্পর্কের প্রধান কারিগর ও অভিভাবক ছিলেন সদ্য প্রয়াত এই আমির। শেখ সাবাহের মৃত্যুতে বাংলাদেশ এক অকৃত্রিম বন্ধু হারাল।
আমিরের দায়িত্ব গ্রহণের আগে শেখ সাবাহ কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘ ৪০ বছর দায়িত্ব পালন করেন এবং অসাধারণ কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় দেন। তাঁকে আধুনিক কুয়েতের পররাষ্ট্রনীতির স্থপতি বলে মনে করা হয়। ‘আরব কূটনীতির ডিন’ নামে অভিহিত শেখ সাবাহর কূটনৈতিক ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতম অর্জন ঘটেছিল ঢাকায়, ১৯৭৪-এর বসন্তে। ওই বছর ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠেয় ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলন ঘিরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিতর্ক জমে ওঠে। ১৯৭৪-এর ২১ ফেব্রুয়ারি কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাবাহর নেতৃত্বে সাত সদস্যের মুসলিম দেশের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসে। ওই দিন রাতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানের স্বীকৃতি ও সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর যোগদানের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান জানানোর জন্য তাঁদের কয়েক প্রতিনিধি পাকিস্তান চলে যান। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঢাকায় থেকে যান শেখ সাবাহ। ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশকে বিনা শর্তে স্বীকৃতি ঘোষণা করে।
২৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু লাহোর সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। এভাবেই শেখ সাবাহর অসাধারণ মধ্যস্থতায় ‘ঢাকা মিশন’ সফল হলো। ২৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী সিলভার রঙের বিশেষ জেটটি লাহোর বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমান থেকে নেমে এলেন কালো স্যুট পরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক শেখ মুজিব। তাঁর পেছনেই মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সাদা ডিসডাসা পরিহিত শেখ সাবাহ। এর একটু পরই পাকিস্তান সামরিক ব্রাস ব্যান্ডে বেজে উঠল বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
ইরাকি আগ্রাসন থেকে কুয়েতের মুক্তিলাভের উষালগ্ন থেকেই (২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১) প্রতীয়মান হয় যে কুয়েতের মাটিতে ছড়িয়ে আছে হাজার হাজার প্রাণঘাতী মাইন, অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ ও বোমা। এসব প্রাণঘাতী মাইন থেকে কুয়েতকে মুক্ত করার লক্ষ্যে দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এগিয়ে আসে
কুয়েত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ১৯৭৩-এর নভেম্বরে। ১৯৭৪-এর মে মাসে লে. জেনারেল খাজা ওয়াসিউদ্দিন কুয়েতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োজিত হন। কুয়েত সরকারও এ সময় ঢাকায় দূতাবাস চালু করে। ১৯৭৪-এর নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু কুয়েত সফরে যান। শীর্ষ বৈঠক শেষে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ বঙ্গবন্ধুকে ‘আঙ্কেল শেখ মুজিব’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। আমির বঙ্গবন্ধুকে এ-ও আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাঁদের দুজনের মধ্যে স্থাপিত চাচা-ভাতিজার সম্পর্ক ক্ষণিকের নয়, চিরস্থায়ী (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া)।
১৯৭৬ সালে কুয়েতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার খুলে গেলে এ দেশের কয়েক লাখ শ্রমজীবী মানুষের সে দেশে কাজ করার সুযোগ ঘটে। কুয়েত বিমানবাহিনীর এয়ারফিল্ডগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও বিমানবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি দল উইং কমান্ডার শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে কুয়েতে প্রেষণে নিয়োজিত হয়। কুয়েতের আমির শেখ জাবের ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসেন। কুয়েত ও বাংলাদেশ (১৯৭৯-৮০) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করে। এভাবে সত্তরের দশকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-কুয়েত সম্পর্ক বহু ধারায় বিকশিত হয়ে আশির দশকে পরিপক্বতা লাভ করে।
ইরাকের আগ্রাসী বাহিনী ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট কুয়েত আক্রমণ করে দখল করে নেয়। এই প্রেক্ষাপটে কুয়েত-বাংলাদেশের সম্পর্ক এক ঐতিহাসিক মোড় নেয়। তখন আশঙ্কা করা হয়েছিল যে সাদ্দাম হোসেন তাঁর আগ্রাসন সৌদি আরব পর্যন্ত বিস্তৃত করবেন। ওই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তখন (সেপ্টেম্বর ১৯৯০) বাংলাদেশ সরকার ব্রিগেডিয়ার হাসান মশহুদ চৌধূরীর নেতৃত্বে প্রায় এক ব্রিগেড সৈন্য সৌদি আরবে (অপারেশন মরুপ্রান্তর) উপসাগরীয় যুদ্ধে পাঠিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সেই বহুজাতিক বাহিনীতে (অপারেশন ডেজার্ট শিল্ড, পরবর্তীকালে অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম) বাংলাদেশসহ মোট ৩২টি দেশ সৈন্য পাঠিয়েছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাবাহ তখন সৌদি আরবের তায়েফ নগরীর সারাওয়াত পর্বতের একটি রিসোর্ট হোটেলে অবস্থিত প্রবাসী কুয়েত সরকারের মহাব্যস্ত মুখপাত্র। এ সময় রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সৌদি আরব সফরকালে তায়েফে গিয়ে আমির শেখ জাবেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি কুয়েতের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন ও কুয়েতি জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের সংহতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
ইরাকি আগ্রাসন থেকে কুয়েতের মুক্তিলাভের উষালগ্ন থেকেই (২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১) প্রতীয়মান হয় যে কুয়েতের মাটিতে ছড়িয়ে আছে হাজার হাজার প্রাণঘাতী মাইন, অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ ও বোমা। এসব প্রাণঘাতী মাইন থেকে কুয়েতকে মুক্ত করার লক্ষ্যে দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এগিয়ে আসে। এভাবেই ২৫ মে ১৯৯১ থেকে বাংলাদেশ মিলিটারি কনটিনজেন্ট (অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠন) কুয়েতের সামরিক বাহিনীর গর্বিত অংশীদারে পরিণত হয়। পরবর্তী সময়ে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বেসামরিক ব্যক্তিরাও এই কনটিনজেন্টে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর নেপথ্যে শেখ সাবাহর বাংলাদেশের প্রতি ব্যক্তিগত আন্তরিকতা, কৃতজ্ঞতাবোধ ও উৎসাহ বিশেষভাবে কাজ করেছিল।
ব্রিগেডিয়ার এম শাহ জালালের নেতৃত্বে (১৯৯১) কুয়েতে বাংলাদেশ মিলিটারি কনটিনজেন্টের যে প্রত্যয়ী যাত্রা শুরু হয়েছিল, আজ পর্যন্ত তা চলছে। বর্তমানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল মজিদের নেতৃত্বে ওই কনটিনজেন্টটি কুয়েতে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে। কুয়েতে এই কনটিনজেন্ট বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কূটনীতির একটি চমৎকার উদাহরণ। এদিকে উপসাগরীয় যুদ্ধের পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বৃহৎ দল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী (ইউনিকম মিশন) হিসেবে কুয়েত-ইরাক সীমান্তে দায়িত্ব পালন করে। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধপত্র নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর একটি মেডিকেল দলকে গত এপ্রিলে কুয়েতে পাঠানো হয়। আধুনিক কুয়েত গঠনে, বিশেষত ইরাকি আগ্রাসনের পর প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই দেশকে পুনরায় আজকের চোখধাঁধানো কুয়েতে রূপান্তরিত করার নেপথ্যে লাখ লাখ বাংলাদেশির অবদান রয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশের অবকাঠামোসহ আর্থসামাজিক খাতের উন্নয়নে কুয়েতের প্রশংসনীয় ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে কুয়েতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। কুয়েত থেকে তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রাণ সঞ্চার করছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।
শেখ সাবাহ (২০০৬ সালে) আমিরের দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ-কুয়েত সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে কুয়েত সফর করেন। এ সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করে। ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ছিল ইরাকি আগ্রাসন থেকে কুয়েত মুক্তির ২০তম বার্ষিকী। এ দিবস উপলক্ষে কৃতজ্ঞ কুয়েত সরকার ১৯৯০-৯১ সালে সংঘটিত কুয়েতের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানায়। বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বাংলাদেশ প্রবাসীদের কল্যাণের ক্ষেত্রে প্রয়াত আমিরের অনেক অবদান রয়েছে। শেখ সাবাহর শাসনকালে কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মজীবীদের সুবিধা বৃদ্ধি, ভিসা সহজকরণ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি (কুয়েত ফান্ড) ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনাও বেড়েছে। বেড়েছে সামরিক সহযোগিতাও। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। যদিও প্রবাসী কর্মজীবীদের অনেক সমস্যার এখনো সমাধান হয়নি।
শেখ সাবাহর মৃত্যুর পর ৩০ সেপ্টেম্বর শেখ নওয়াফ আল আহমেদ আল সাবাহ নতুন আমির হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে কুয়েতের নতুন আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সাক্ষাতের সময় তিনি আমিরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শোক জানান।
করোনা মহামারি, তেলের দাম কমে যাওয়া, কুয়েতিকরণ কর্মসূচি ও বিদেশি নাগরিকদের সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা ইত্যাদি কারণে শ্রমবাজার, আর্থিক সহযোগিতাসহ অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রে সংকোচনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু কুয়েতে নয়, তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও একই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সাম্প্রতিক কালে কুয়েতে এক বাংলাদেশি সাংসদ কিছু অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার হওয়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। কুয়েতে সামনের দিনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ব্যাপক কূটনৈতিক যজ্ঞের প্রয়োজন। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার, কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন আমির ও ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন, কুয়েত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষা কূটনীতি কাজে লাগানো যেতে পারে। শুধু সরকার নয়, বিশ্ববিদ্যালয়, থিঙ্কট্যাংক, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মহল ও ব্যক্তিরা অবদান রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে এখনই গুরুত্ব না দিলে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানিতে বড় আঘাত আসতে পারে। একই সঙ্গে কুয়েতসহ বিদেশের চাহিদামাফিক দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর দিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে। জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সব অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করা জরুরি।
শেখ সাবাহ তাঁর মহৎ কর্মের জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন পরাশক্তি ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর টানাপোড়েনে ভারসাম্য বজায় রাখতে কঠিন চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বন্ধুদেশগুলোর জন্য জানালা খোলা রাখা ও চলমান বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী করা বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার, এনডিসি (অব.) প্রেষণে কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন
bayezidsarwar792@yahoo.com