Thank you for trying Sticky AMP!!

উৎসুক লোকজন ছবি তোলায় ব্যস্ত। দেশের প্রথম মেট্রোরেল পথের নাম দেওয়া হয়েছে এমআরটি লাইন-৬। উত্তরা থেকে শুরু। শেষ হবে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে। ছবি: সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা

মেট্রোরেল দেখতে যেমন

বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে পরীক্ষামূলকভাবে চলেছে মেট্রোরেল। ছয়টি বগির সেট নিয়ে ট্রেনটি ওয়ার্কশপ থেকে প্রায় ৫০০ মিটার পাড়ি দেয়। এ ট্রেন সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ-চালিত। জাপানের কাওয়াসাকি কোম্পানি ট্রেনগুলোর নির্মাতা। তাদেরই একজন চালক ট্রেনটি চালিয়ে দেখান। এ সময় উপস্থিত সবাই হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান। বিশেষ মোনাজাত করা হয়। প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্ট কার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা। ছবিতে বিশেষ সেই মুহূর্ত তুলে ধরা হলো

ঘিয়ে সাদার মধ্যে লাল-সবুজ রঙের মিশ্রণে ট্রেন সেটটি তৈরি হয় জাপানে। ওয়ার্কশপ থেকে ট্রেনটি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার গতিতে চালিয়ে আনা হয়
কোচের ভেতরে দুই সারিতে সবুজ রঙের লম্বা আসন পাতা হয়েছে। মাঝখানে বেশ প্রশস্ত জায়গা। সেখানে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে আসা-যাওয়া করবেন
দাঁড়ানো যাত্রীদের ধরার জন্য ওপরে হাতলের ব্যবস্থা আছে
মেট্রোরেলের লাইনের দুই পাশে একটু পরপরই বিদ্যুতের খুঁটি থাকবে। ওপরে বিদ্যুতের তার। দুই খুঁটি থেকে বিদ্যুতের সংযোগ যাবে তারে। আর তারটি ট্রেনের ওপরের অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের কাজ করবে। এর মাধ্যমেই চলবে ট্রেনটি। এই ব্যবস্থাটিকে বলা হচ্ছে ওভারহেড ক্যাটিনারি সিস্টেম
সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ট্রেনটির ভেতরে ঘুরে দেখেন
ইঞ্জিন পরিদর্শন করছেন অতিথিরা। ছবি: সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা
উৎসুক লোকজন ছবি তোলায় ব্যস্ত। দেশের প্রথম মেট্রোরেল পথের নাম দেওয়া হয়েছে এমআরটি লাইন-৬। উত্তরা থেকে শুরু। শেষ হবে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে। ছবি: সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা
এই উড়াল রেলপথের (ভায়াডাক্ট) মধ্যে ১৪ দশমিক ৪১ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। পুরো পথের ১৬টি স্টেশনের মধ্যে ৫টির কাজ প্রায় শেষ। বাকিগুলোর কাজ চলছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার রেললাইন বসানো হয়েছে। ডিপো থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থার কাজ হয়েছে