Thank you for trying Sticky AMP!!

ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি দুদিন এগোল

মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: প্রথম আলো

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি দুদিন এগিয়ে আনা হয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারির বদলে ২২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। একই প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিলেও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের শুনানিতে ডাকা হচ্ছে না।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। রাজধানীর মতিঝিলে তাঁর আইন পেশার কার্যালয়ে জোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে ড. কামাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারিখ এগিয়ে আনার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না কোথাও। তাই দুদিন এগিয়ে এনে আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে করা হচ্ছে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে গণশুনানিতে একটায় নামাজ ও খাবারের বিরতি। এরপর দুইটা থেকে চারটা পর্যন্ত তা চলবে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ড. কামাল। ছবি: প্রথম আলো

জামায়াতের প্রার্থীরা শুনানিতে থাকবে কি না, জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, ‘এগুলো আমার জানা নেই।’ ওই সময় তাঁর পাশ থেকে ঐক্যফ্রন্টের জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সব প্রার্থী এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের দলগুলোকে দাওয়াত দেওয়া হবে। জামায়াত তো ঐক্যফ্রন্টে নেই, তাই এ প্রশ্ন অবান্তর।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের ডাকা হবে কি না? জানতে চাইলে আ স ম রব বলেন, ‘আমরা চিন্তা করে দেখছি।’

মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া নিয়ে দলটিতে আলোচনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানাই।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রেসক্লাব, মহানগর নাট্যমঞ্চ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কোথাও জায়গা পাওয়া যায়নি, এটা একটা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। তাই তারিখ এগিয়ে আনতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।