Thank you for trying Sticky AMP!!

কামাল হোসেন মঞ্চে, পেছনে তারেক: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা হচ্ছে আগামী সংসদ নির্বাচন বানচালের সাত চক্রান্ত। ওই নেতারা তাই আজ এক হয়েছেন। জনগণ কি তাঁদের ওই ঐক্যকে মেনে নিয়েছে? তাঁদের নেতা কামাল হোসেন আছেন মঞ্চে আর পেছনে আছেন তারেক রহমান।

আজ বুধবার দুপুরে টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কাদের। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ এর আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এক-এগারোর কুশীলবদের নেতৃত্ব জনগণ কি মেনে নিতে পারে? মইনুলকে ঐক্যফ্রন্টের নেতা হিসেবে নয়, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপরাধী হিসেবে। বিএনপি আজ মাইনাস-২-এর নেতার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, তাঁর মুক্তি দাবি করছে। সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন আজ নষ্ট রাজনীতির প্রবর্তক, প্রচারক। তিনি বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।

আজকের সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। সভা সঞ্চালনা করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনের সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সাংসদ মো. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল আলম চৌধুরী নওফেল, এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রমুখ।

সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে। দলের মনোনয়ন দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যাঁকেই মনোনয়ন দেবেন, তাঁকেই সমর্থন করতে হবে। কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মনে রাখতে হবে, বিদ্রোহী মানেই বহিষ্কার। আওয়ামী লীগ আজ ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে পরিণত। এ দলকে পরাজিত করার মতো বাংলাদেশে কোনো শক্তি নেই।
পরে সেতুমন্ত্রী টঙ্গী থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারণা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।