Thank you for trying Sticky AMP!!

কালুখালীতে ভোট গ্রহণ স্থগিতের দাবি আ.লীগ প্রার্থীর

অলংকরণ : তুলি

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ স্থগিতের দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার সকালে সাইফুল নির্বাচন স্থগিত চেয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। নির্বাচন স্থগিত না করলে দুপুর ১২টায় নির্বাচন বর্জন করবেন বলে ঘোষণা দেন। তবে ১২টার পর তাঁর কাছ থেকে বর্জনের কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি ধরেননি।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। তাঁরা হলেন কাজী সাইফুল ইসলাম (নৌকা), নুরে আলম সিদ্দিকী হক (মোটরসাইকেল) ও আলীউজ্জামান চৌধুরী টিটো (আনারস)।

আওয়ামী লীগের সাইফুল বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। নুরে আলম কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির নির্বাহী সদস্য। এ ছাড়া তিনি বাসসের জেলা প্রতিনিধি। আলীউজ্জামান কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।

সাইফুল লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই তাঁর নেতা-কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়। ২০ থেকে ২৫ জন কর্মীকে মারা হয়, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। ভোটের আগের রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায়। বারবার পুলিশকে জানানোর পরেও তারা নীরব থেকেছে। কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

সাইফুলের অভিযোগ, ভোররাত চারটা থেকে তাঁর পোলিং এজেন্টের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। প্রতিপক্ষের (আনারস) সমর্থকেরা অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাঁর নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়কারীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করার মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। দুজন এজেন্ট নিখোঁজ। অনেককে বের করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই।

সাইফুলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন সমন্বয়কারী জাহিদ হোসেন বলেন, হামলার অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই সাইফুল এসব অভিযোগ করছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এ কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করার কোনো সুযোগ নেই।’

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে কালুখালী উপজেলা গঠিত। উপজেলা গঠিত হওয়ার পর এটি কালুখালীর দ্বিতীয় নির্বাচন। উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৬৭ জন। সকাল নয় থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে।