Thank you for trying Sticky AMP!!

ক্ষমতাসীনেরা টাকা লুকানোর জায়গা পাচ্ছেন না: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশে এখন প্রতিদিন ক্ষমতাসীন দলের ছোটখাটো নেতাদের ঘরে ঘরে অবৈধ টাকার খনি আবিষ্কৃত হচ্ছে। তাঁদের এত টাকা হয়েছে যে টাকা লুকানোরও জায়গা পাচ্ছেন না।

আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

গত বুধবার থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে ওই দিন মতিঝিলের ইয়ংমেনস ফকিরাপুল, ওয়ান্ডারার্স, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র ও বনানীর গোল্ডেন ঢাকা ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে যুবলীগ ও কৃষক লীগের একাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারও রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাড়ি তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও অর্থ পাওয়া যায়। সরকারি দলের শীর্ষ নেতারা একে শুদ্ধি অভিযান বলেছেন। তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, এসব অভিযানের মধ্যে মূলত শাসক দলের দুর্নীতি উঠে আসছে। আবার এসব অভিযানকে ‘লোক দেখানোও’ বলছেন তাঁরা।

আজ রিজভীও বলেছেন, ‘আমরা আগেও বলেছি , এখনো বলছি সবকিছু লোক দেখানো, আইওয়াশ মাত্র। তথাকথিত শুদ্ধি অভিযানের নামে ধরা হচ্ছে কাচকি মাছ। দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারেনি। দুর্নীতি ও লুটপাটের গডফাদাররাই এখনো নিয়ন্ত্রণ করছে সবকিছু। তাদের ধরতে পারলে দেখা যাবে একেকজনের ভান্ডারে একেকটি টাকার ব্যাংক আছে।’

রিজভী বলেন, এখন চারদিকে লুটপাট করা টাকার উৎসবের কথা মানুষ জানছে। জুয়া ,ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ করে ঘরে ঘরে গড়ে তুলেছে টাকশাল, টাকার পাহাড়। কাজের লোকের বাড়িতেও কোটি কোটি টাকা সিন্দুকে ভরে লুকিয়ে রেখেছে।’

রিজভী বলেন, এখন তাঁদের নেতা-সাংসদ-আমলারা ক্যাসিনোর পক্ষে প্রকাশ্যে সাফাই গাইছেন। তাঁরা সবকিছু হালাল করার চেষ্টা করছেন।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গতকাল রাজশাহীতে বলেন, ক্যাসিনো সংস্কৃতি বিএনপি আমলেই শুরু করা হয়েছে। সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা আব্বাস, মোসাদ্দেক হোসেন ফালুরা এগুলো শুরু করেছিলেন। তখন ক্ষমতার শীর্ষপর্যায় এগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিল। 

আজ রিজভী তথ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের চিরাচরিত নীতি হচ্ছে তারা কোনো বড় কেলেঙ্কারি করে ধরা খাওয়ার পর যখন আর সামাল দিতে পারে না, তখন তারা জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে দোষ চাপায় বিএনপির ওপর। তথ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য আওয়ামী নেতা–মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে মনে হয় তাঁদের ভেতরে বড় কোনো ঘাপলা রয়েছে।

রিজভী বলেন, ক্যাসিনো যদি বিএনপি শুরু করে থাকে তাহলে ১৩ বছর সেটি চালু রাখলেন কেন? বন্ধ করলেন না কেন?

রিজভী বলেন, ‘হাছান মাহমুদ সাহেবও জানেন এবং এ দেশের প্রতিটি সচেতন মানুষ জানে, কবে, কোথায়, কারা ক্যাসিনো সংস্কৃতি চালু করেছে।’