Thank you for trying Sticky AMP!!

গণতদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় ওলামা–মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

১ হাজার কওমি মাদ্রাসা ও ১১৬ আলেম-ওলামার নামে গণকমিশনের শ্বেতপত্রকে ‘একধরনের মিডিয়াবাজি’ বলে আখ্যায়িত করেছে জাতীয় ওলামা–মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। একই সঙ্গে এই তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করা হয়। ১১ মে ১১৬ ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’র সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে তালিকা জমা দিয়েছে নাগরিকদের প্ল্যাটফর্ম মৌলবাদী ও সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন।

গত বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে সাম্প্রদায়িক হামলা ও ধর্মীয় উন্মাদনার তদন্তে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ গঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় ওলামা–মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি নুরুল হুদা ফয়েজী। তিনি বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য সৎ থাকলে উপস্থাপিত শ্বেতপত্র জনসম্মুখে প্রকাশ করতে পারত। কিন্তু তাদের এই রাখঢাক, লুকোচুরি ও মিডিয়াবাজি প্রমাণ করে, তারা সারবত্তাহীন অভিযোগপত্র নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।’

Also Read: শতাধিক মৌলবাদী নেতা সন্দেহভাজন লেনদেনের সঙ্গে জড়িত: মৌলবাদী ও সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন

‘কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠী’ কৃত্রিমভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে দেশের প্রধান ইস্যু করে তোলে বলেও অভিযোগ করেন নুরুল হুদা ফয়েজী। গণকমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্যসচিব তুরিন আফরোজ ‘বিতর্কিত ব্যক্তি’ বলেও মন্তব্য করেন নুরুল হুদা ফয়েজী।

Also Read: দুদকে আলেমদের তালিকা দিয়ে গণকমিশন ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে: হেফাজত আমির

সংবাদ সম্মেলনে ‘কারাবন্দী সব মজলুম আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে’ এমন দাবি তোলা হয়েছে। কিন্তু কারা সেই আলেম—সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুস্পষ্টভাবে উত্তর দেয়নি আয়োজকেরা। ১১৬ জনের তালিকায় মামুনুল হকসহ কয়েকজন ব্যক্তি নানা ঘটনায় অভিযুক্ত–সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ওলামা–মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত নয়।