Thank you for trying Sticky AMP!!

গণফোরামের আহ্বায়ক কমিটি, বঞ্চিতদের ক্ষোভ

গণফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমিটিতে স্থান না পাওয়া নেতারা। তাঁরা বলছেন, এটা গঠনতন্ত্রবহির্ভূত এবং নীতি–আদর্শবিরোধী ব্যক্তিদের দ্বারা এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ মার্চ শনিবার তাঁরা বর্ধিত সভা ডেকেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়ার স্বাক্ষরে গণফোরোমের ৭২ জনের একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়, যাতে দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেনের অনুমোদনের স্বাক্ষর ছিল। রাতে গণফোরামের আগের কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. আজাদ হোসেনের স্বাক্ষরে এক বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, গণফোরামের মহানগর কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা অগঠনতান্ত্রিক ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভেঙে দেওয়া ও অভিনব কায়দায়, গঠনতন্ত্রবহির্ভূত পন্থায়, মনগড়া ও গণফোরামের ত্যাগী, নিষ্ঠাবান নেতাদের বাদ দিয়ে গণফোরামের নীতি–আদর্শবিরোধী ব্যক্তিদের দ্বারা কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করায় তীব্র নিন্দাসহ ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান না পাওয়া নেতারা অভিযোগ করেন, গত ১০ মাসে কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আহ্বান করার জন্য কামাল হোসেন ও রেজা কিবরিয়াকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও কোনো সভা আহ্বান করা হয়নি। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সভার আহ্বানকারী ৫৯ জনের মধ্য থেকে ১৮ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় এবং পরে তাঁদের মধ্য থেকে চারজন কেন্দ্রীয় নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। এ নেতাদের আরও অভিযোগ, এসব বিষয়ে গণফোরামের জ্যেষ্ঠ নেতারা কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করলে তিনি সাংগঠনিক সমস্যা নিরসনের আশ্বাস দিলেও সমাধান করেননি। কিন্তু অবৈধ ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়।

এই নেতারা ১৪ মার্চ শনিবার বেলা তিনটায় গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা করবেন। গণফোরামের নেতা হেলালউদ্দিনের সভাপতিত্বে আজকের বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন মোস্তফা মহসিন মন্টু, আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার, লতিফুল বারী প্রমুখ।