Thank you for trying Sticky AMP!!

গণফোরামের চার নেতাকে বহিষ্কার, রয়েছে ভিন্নমতও

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গণফোরামের চার নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এই চার নেতার বহিষ্কারাদেশ নিয়ে দলে ভিন্নমত পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খান সিদ্দিকুর রহমান এবং প্রবাসীকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল হাছিব চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্রমাগতভাবে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দিয়ে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও উচ্ছৃঙ্খল আচার-আচরণ অব্যাহত রাখায় এই চরাজনকে গণফোরামের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারসহ সংগঠনের সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরে বহিষ্কার করা যায় না। গত ১০ মাসে এই কমিটির কোনো সভা হয়নি। গঠনতন্ত্রে আছে শোকজ করতে হবে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির দুই তৃতীয়াংশের সম্মতিতে বহিষ্কার করতে হবে।’

বহিষ্কার প্রসঙ্গে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক অগেই তাদের শোকজ দেওয়া হয়েছে। তারা দলের ভাবর্মতি নষ্ট করেছে । শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। সংগঠনের ক্ষতির জন্য অনেক দিন ধরেই সক্রিয় তারা। শোকজের কোনো উত্তর পাইনি, বহিষ্কার করেছি।’
গঠনতন্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘কমিটির গঠন নিয়ে অনেক ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। এটা নিয়েও কিছুদিন পর একটা বিবৃতি পাবেন।’

বহিষ্কারের নোটিশ পাওয়া চার নেতা এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ ধরনের বিবৃতি পাঠিয়ে দলে ঐক্য, শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র অমান্য করা হয়েছে। এ ছাড়া বহিষ্কারের স্বাক্ষরদাতা মোশতাক আহমেদ দলে মুখপাত্র নন বলেও জানান তাঁরা।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে গণফোরামে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার নিয়ে দলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। সেসময় কেন্দ্রীয় তিন নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিলেন সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া। আর এর প্রতিক্রিয়ায় ওই সব বহিষ্কৃতরা সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমদকেই সাময়িক বহিষ্কার করেন।