Thank you for trying Sticky AMP!!

টিআইবির প্রতিবেদনটি রাজনৈতিক: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

করোনা মোকাবিলায় টিআইবির সুশাসনবিষয়ক প্রতিবেদনটি যতটা না গবেষণাধর্মী, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এই গবেষণা রাজনৈতিক বলে অবহিত করেন।

তীব্র নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনায় করণীয় বিষয়ক গবেষণার সুপারিশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বলা হয়েছে এবং আরও এক ধাপ এগিয়ে হয়রানিমূলক সব মামলা তুলে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। গবেষকেরা টিআইবির এই প্রতিবেদনকে গবেষণা না বলে রাজনৈতিক প্রতিবেদন হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন বলেও জানান কাদের।

‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি গত মঙ্গলবার ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করে টিআইবি।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মের বিষয়ে যা বলা হয়েছে, সে বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আগেই নানান অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, কোনো সংস্থা কিংবা কোনো দলের দাবি বা সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নয়, সরকার নিজ উদ্যোগেই সব অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

টিআইবির প্রকাশিত প্রতিবেদনের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোথায় সুনির্দিষ্ট দুর্নীতি হয়েছে, কোথায় ঘুষ নেওয়া হয়েছে প্রণোদনা থেকে, তার তালিকা দিলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সরকার এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে।

করোনা মহামারি বিশ্বে এক নতুন অভিজ্ঞতা, এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে, তার মধ্যে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আশঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শীতকালে সম্ভাব্য দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

বিশ্বসমাজ যখন করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করছে তখন সরকারের ন্যূনতম একটি ভালো উদ্যোগও টিআইবির গবেষক দলের চোখে পড়েনি, যা খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ গবেষণার উদ্দেশ্য ও বিধেয় নিয়ে জনমনে অবিশ্বাস এবং প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক।