Thank you for trying Sticky AMP!!

দুই মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে ঢাকায় করা দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিয়মিত জামিন পেয়েছেন। তাঁর জামিন প্রশ্নে রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

শুনানিকালে আদালত বলেন, জামিনের অপব্যবহার হয়েছে কি? জবাবে রাষ্ট্রপক্ষ বলে, রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে, জামিনের অপব্যবহার করা হয়নি।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট ওই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে রুল দিয়ে তাঁকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। কেন আবেদনকারীকে (খালেদা জিয়া) নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। এরপর জামিনের কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়।

আজ রুল শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

পরে আইনজীবী কায়সার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি ও মানহানির অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দুটি করা হয়। হাইকোর্ট এই দুই মামলায় তাঁকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন।

আইনজীবী সূত্রের তথ্যমতে, ২০১৪ সালে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা ও ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দুটি করেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় ২০১৮ সালে ও মানহানির মামলায় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এ দুই মামলায় ২০১৯ সালের ২০ মে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এই জামিন আবেদনের ওপর আজ রায় হলো।