Thank you for trying Sticky AMP!!

ধর্মভিত্তিক দলগুলোতে মেননকে ঘিরে উত্তেজনা

রাশেদ খান মেনন । ফাইল ছবি

কওমি মাদ্রাসা ও হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীকে কটাক্ষ করে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে রাশেদ খান মেননের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের দাবি তুলেছে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠন। এ দাবিতে তারা সভা–সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে চলছে কয়েক দিন ধরে।

এদিকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশেদ খান মেননের বক্তব্য বিকৃত করে একটি মহল ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করতে মাঠে নেমেছে। ওয়ার্কার্স পার্টি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছে।

৩ মার্চ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বক্তব্য দেন। তাতে কওমি সনদের স্বীকৃতি, হেফাজতের দাবি মেনে পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

এরপর ৫ মার্চ হেফাজতের আমির ও দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী এক বিবৃতিতে সংসদে কওমি মাদ্রাসাকে ‘বিষবৃক্ষ’ বলে দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি অনতিবিলম্বে মেননকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান, অন্যথায় ‘সমুচিত জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

পরদিন ৬ মার্চ মেননের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। দলটির আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ গতকাল বিকেলে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে এক সভায় অবিলম্বে মেননের বক্তব্য সংসদের কার্যবিধি থেকে বাদ (এক্সপাঞ্জ) দেওয়া এবং তাঁর গ্রেপ্তারের দাবি করেন।

এ​কই বিষয়ে শুক্রবার বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। এতে ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন দলের নেতারা বক্তব্য দেন। তাঁরা মেননের সংসদ সদস্য পদ বাতিল ও বিচারের দাবি করেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী দাবি করেন, আহমদিয়া মুসলিম জামাতকে কাফের বলতে হবে। রাশেদ খান মেনন আহমদিয়াদের কাফের মনে করেননি। মেনন তাদের পক্ষ নিয়ে কওমি মাদ্রাসা, হেফাজতে ইসলাম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা বলেছেন। বাবুনগরী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেননের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এদিকে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশেদ খান মেনন ৩ মার্চ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সংসদের কার্যবিধিতে রয়েছে, সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। এই বক্তব্য বিকৃত করে একটি মহল ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করতে মাঠে নেমেছে।