Thank you for trying Sticky AMP!!

আ. লীগ সম্মেলনে কারা বাদ পড়ছেন, তা নিয়েই আলোচনা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষ্যে জাতীয় সম্মেলন আর দুই সপ্তাহ বাকি। সম্মেলন ঘিরে তিনটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দলের ভেতর-বাইরে। সেগুলো হচ্ছে সাধারণ সম্পাদক পদে কি পরিবর্তন আসছে, নাকি ওবায়দুল কাদেরই থাকছেন? বঙ্গবন্ধু পরিবার থেকে কেউ কি কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন? ‘শুদ্ধি অভিযানের’ কারণে কারা বাদ পড়ছেন?

গত কয়েক দিনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১৫ জন নেতার সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। যাঁদের বড় অংশই দলের নানা স্তরে পদপ্রত্যাশী। কেউই প্রত্যাশার কথা প্রকাশ্যে বলতে চাননি। এসব নেতা বলছেন, সম্মেলন নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে যেসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, এর সুনির্দিষ্ট উত্তর আছে একমাত্র দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসছে কি না, এই প্রশ্নে গতকাল দলের ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা পদে কোনো পরিবর্তন আসবে না; সেটা হচ্ছে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি ছাড়া আর কেউই অপরিহার্য না। দল কীভাবে চলবে, কাকে দিয়ে চলবে, সেটাও তিনি জানেন।

>সাধারণ সম্পাদকই মূল আকর্ষণ
বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ আসছেন কি না, সে আলোচনাও আছে
৩০–৪০ শতাংশ নেতা বাদ পড়তে পারেন

আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন চলছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ত্রিবার্ষিক এ সম্মেলনে সারা দেশ থেকে কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ প্রায় ৫০ হাজার নেতা-কর্মী অংশ নিতে পারেন।

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে গড়তে সোনার দেশ, এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’ স্লোগান দিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে পোস্টার টাঙানো হয়েছে। প্রস্তুতি নিতে নিয়মিত কাজ করছে ১১টি উপকমিটি।

সম্মেলন প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্র বলছে, প্রতিটি সম্মেলনেই নেতা-কর্মীদের চমকে দেওয়ার মতো কিছু না কিছু ঘটে থাকে। সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন কিংবা বঙ্গবন্ধু পরিবারের কারও কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ার ঘটনা ঘটলে এমনটা বলা যেতে পারে। তা না হলে সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় সদস্যপদে কিছু সংযোজন-বিয়োজনই হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০-৪০ শতাংশ নেতা বাদ পড়তে পারেন। জেলা পর্যায় থেকেও কাউকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেওয়া হতে পারে। অনেক দিন ধরে আলোচনায় নেই এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অতীতে বাদ পড়েছেন—এমন কেউ কেউ সভাপতিমণ্ডলী বা সম্পাদকমণ্ডলীতে স্থান পেতে পারেন।

২০১৬ সালে সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। তাঁর আগে এই পদে ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগের সূত্র বলছে, গত সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও বোন শেখ রেহানা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে পারেন বলে আলোচনা ছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এবার প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেনের (পুতুল) নাম আলোচনায় আছে।

জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে গত বুধবার আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠক হয়। জাতীয় কমিটিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্য, প্রতিটি জেলা কমিটির প্রতিনিধি, সভাপতির মনোনীত ২১ জনসহ মোট ১৮০ জন সদস্য রয়েছেন। বুধবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তৃতা করেননি। ২৫ জনের মতো জেলা পর্যায়ের নেতা বক্তৃতা করেন। তাঁদের মূল কথা ছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজীবন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবেন। তাঁর বিকল্প দলে কেউ নেই। অন্যান্য পদে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের দেখতে চান তাঁরা।

সা. সম্পাদক পদ নিয়েই মূল আগ্রহ
সভাপতি পদে শেখ হাসিনাই থাকবেন। এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। সাধারণ সম্পাদক পদে সাম্প্রতিক অতীতে নির্বাচন হয়নি, সমঝোতার মাধ্যমেই নেতা নির্বাচিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দলীয় সভাপতির পছন্দের ব্যক্তিকেই সবাই সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সূত্র বলছে, কাকে সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে, সম্মেলনের আগে এ বিষয়ে ঘনিষ্ঠজনদের ধারণা দিয়ে থাকেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। এবার এখনো এ ধরনের ইঙ্গিত বা ধারণা দেননি। তবে ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ নেতারা মনে করছেন, তাঁকেই সাধারণ সম্পাদক পদে রেখে দেওয়া হতে পারে। যদিও এ পদের জন্য সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য, দুজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ পাঁচ-ছয়জনের নাম এখন পর্যন্ত আলোচনায় আছে।

এক-এগারোর ধাক্কার পর ২০০৯ সালের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ২০১২ সালের পরের সম্মেলনে তেমন পরিবর্তন হয়নি। ২০১৬ সালে সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন হয় ব্যাপক জাঁকজমকপূর্ণ, সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

বড় পরিবর্তন সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীতে
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া ১৭ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীতে তিনটি পদ এখন ফাঁকা। বয়স ও বিতর্কিত ভূমিকার কারণে তিন-চারজন বাদ পড়তে পারেন। ফলে এবার সভাপতিমণ্ডলীতে ছয়-সাতজন নতুন মুখ আসার বিষয়টি আলোচনায়।

বর্তমান কমিটির চারজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে তিনজন প্রায় ১০ বছর ধরে একই পদে আছেন। তাঁদের কেউ কেউ সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়েও আছেন। তবে যুগ্ম সম্পাদকদের একটা অংশের স্থান হতে পারে সভাপতিমণ্ডলীতে। অবশ্য সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন হওয়া না–হওয়ার ওপরও যুগ্ম সম্পাদকদের পদ নির্ভর করবে। এর বাইরে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে জ্যেষ্ঠ কাউকে কাউকে সভাপতিমণ্ডলীতে ফিরিয়ে আনা হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও দেখছেন কেউ কেউ।

আট সদস্যের সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে ছয়জন গত তিন মেয়াদে একই পদে আছেন। তাঁদের অন্তত দু-তিনজনের পদোন্নতি হতে পারে। দু-একজনকে বাদ পড়তে পারেন। এ ক্ষেত্রে সাংগঠনিক সম্পাদকদের একটা বড় অংশই নতুন মুখ হতে পারে।

বিষয়ভিত্তিক সম্পাদকদের ১৯টি পদের ৭-৮টি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলীয় নেতারা মনে করছেন। এ ক্ষেত্রে বর্তমান কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের কেউ কেউ সম্পাদকীয় পদ পেতে পারেন।

দলীয় সূত্র বলছে, ক্যাসিনো–কাণ্ড, নানা কারণে বিতর্কিত, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্তদের নতুন কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে সম্পাদকদের মধ্যে কেউ কেউ সারা বছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে সক্রিয় থাকায় পদোন্নতি পেতে পারেন। সম্পাদকীয় পদে তুলনামূলক তরুণদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, আবদুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিবারের সদস্যের কারও কারও কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ২৮ জন। এখান থেকেও একটা বড় অংশ বাদ পড়তে পারে। তাঁদের জায়গায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং বিভিন্ন জেলার প্রবীণ নেতারা জায়গা পেতে পারেন। কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন স্তরে রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলে আরও নেতার অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আলোচনা আছে।

নেতৃত্বে নারীর সংখ্যা বাড়ছে
সম্মেলন সামনে রেখে নারী নেতৃত্বের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে দলের ভেতরে। নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটি পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব ২০২০ সালের মধ্যে নিশ্চিত করার কথা রয়েছে। আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতে ১৫ জন নারীনেত্রী রয়েছেন। দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান কমিটির সদস্যসংখ্যা ৭৭। এ হিসাবে বর্তমান কমিটিতে নারী নেতৃত্বের হার ১৯ শতাংশ। আগামী সম্মেলনে নিশ্চিতভাবেই নারীর সংখ্যা বাড়ছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে এখন ৪৪ সদস্য। এযাবৎকালে উপদেষ্টা পরিষদে এত সদস্য ছিল না। বয়সের কারণে নিষ্ক্রিয় ছাড়া কেউ এখান থেকে বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে উপদেষ্টা পরিষদে খুব বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। গঠনতন্ত্র অনুসারে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ৪১ জন। তবে সভাপতি চাইলে বাড়াতে পারেন। ফলে প্রায়ই উপদেষ্টা পরিষদে সংযোজন হয়।

আসতে পারেন নতুন কিছু মুখ
২০০৮ সালের পর থেকে একেবারেই আলোচনায় ছিলেন না কিংবা অনেকটা আড়ালে চলে যাওয়া কিছু নেতাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দিয়ে চমকে দেওয়ার একটা প্রবণতা দেখা গেছে। গত সম্মেলনে পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্যের সভাপতিমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্তি কিংবা সম্পাদকমণ্ডলীতে শাম্মী আহমেদ, রোকেয়া সুলতানা ও শামসুন নাহার চাপার স্থান পাওয়া এমনই ঘটনা। এমনকি নির্বাহী সদস্য হিসেবে মৌলভীবাজারের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রনেতা আমিরুল ইসলামের অন্তর্ভুক্তিও অনেকের ভাবনায় ছিল না। এবারও এমনটা ঘটতে পারে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, দুর্নীতির অভিযোগে দলীয় পদ ও মন্ত্রিত্ব হারানো সৈয়দ আবুল হোসেনকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে। নরসিংদী, রাজশাহী ও খুলনার কোনো কোনো নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে পারেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম প্রথম আলোকে বলেন, দল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। তাই ভবিষ্যতের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। সবকিছু বিবেচনা করে এবং ত্যাগী, বঞ্চিতদের প্রাধান্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে দলের প্রতিটি সম্মেলনেই নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি করা হয়।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন হারিয়েছেন প্রায় ৫০ জন সাংসদ। এরপর জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের আগের ৪৩ সাংসদের মধ্যে বাদ পড়েছেন ৪১ জন। এমনকি নতুন সরকারের ৪৮ সদস্যের মন্ত্রিসভায় ৩২ জন নতুন মুখ দেখা গেছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতা বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার হয়েছেন; অব্যাহতিও পেয়েছেন অনেকে। তারপর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগ, তিন সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের শীর্ষ পদগুলোতে নতুনেরা এসেছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই শাখা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নতুনদের। পরবর্তী কেন্দ্রীয় কমিটিতে এমন কিছু হবে কি না, সেটা দলের নেতা–কর্মীদের মধ্যে এখন আলোচনার বড় বিষয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের শাসক দল বলে মানুষ তাদের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে বা রাখবে—এটাই স্বাভাবিক। সব সম্মেলনেই নেতৃত্বের কিছু পরিবর্তন ও পরিমার্জন হয়ে থাকে। তবে এটা দিয়ে রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তন কতটা সম্ভব, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলটির সব নিয়ামক শক্তির উৎস। তিনি হয়তো এবারও কিছু পরিবর্তন আনবেন। তবে মানুষ প্রত্যাশা করে সেই পরিবর্তন হবে সৎ, নির্লোভ ও শান্তিপ্রিয় মানুষের পক্ষে।