Thank you for trying Sticky AMP!!

দর্শনা পৌরসভা নির্বাচন: নৌকার কার্যালয় সরগরম

প্রতিটি ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় রয়েছে। তবে ধানের শীষের কার্যালয় রয়েছে দুটি ওয়ার্ডে।

মতিয়ার রহমান, হাবিবুর রহমান

ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া। গত মঙ্গলবার মধ্যদুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। তীব্র শীত উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের নেতা-কর্মীদের ভিড়। এখান থেকেই পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর প্রচারণা পরিচালিত হচ্ছে।

দর্শনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানকে পুনরায় জেতাতে ক্ষমতাসীন দলের এই মিলনমেলা। নির্বাচনী প্রচারণায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে মতিয়ার রহমান যেন অনেকটাই নির্ভার।

তৃতীয় ধাপে আগামী শনিবার দর্শনা পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান মেয়র মতিয়ার রহমান, বিএনপি মনোনীত পৌর বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাবিবুর রহমান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আশকার আলী। এর মধ্যে আশকার আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোবাইল ফোন) হিসেবে রয়েছেন।

উন্নয়নের স্বার্থে দলমত-নির্বিশেষে সবাই নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন বলে আশা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।

এ সম্পর্কে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে এবং ভোটারদের ভোট দিতে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, দর্শনা পৌর এলাকায় মেয়র পদে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা সবই নৌকা প্রতীককেই ঘিরে। নৌকা প্রতীকের পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর এলাকা। সেই তুলনায় ধানের শীষ ও মোবাইল ফোনের পোস্টার কম।

প্রতিটি ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় রয়েছে। তবে ধানের শীষের কার্যালয় রয়েছে মাত্র দুটি ক্যাম্প। এর একটি শহরের পুরোনো বাজার এলাকায় প্রার্থী হাবিবুর রহমানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। অন্যটি ৫ নম্বর ওয়ার্ডে পরাণপুরে তাঁর বাড়ির পাশে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পরাণপুরেরর ক্যাম্পে গিয়ে কাউকেই পাওয়া যায়নি। বেলা সাড়ে ১১টায় হাবিবুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে পরিচিত তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পাওয়া যায় একজন কর্মচারীকে। মুঠোফোনে কথা বলার পর আসেন হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, পরিবেশ ততই প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের ভোটের পর দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

হাবিবুর বলেন, ‘উন্নয়নবঞ্চিত দর্শনাবাসী ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। তাঁরা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলে ধানের শীষের জয় হবেই। তবে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে যেভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে, তাতে পোলিং এজেন্ট ধরে রাখায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী আশকার আলীর মোবাইল প্রতীকের কোনো নির্বাচনী ক্যাম্প নেই। তিনি দাবি করেন, প্রকাশ্যে প্রচারণার পরিবেশ নেই। তাই আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের দিয়ে কৌশলে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হচ্ছে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর মন্তব্য হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ভোটাররা এখন অনেক সচেতন। সবাই দর্শনার উন্নয়ন চান। সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও আওয়ামী লীগে। উন্নয়নের জন্য ক্ষমতার চেইন দরকার। ভোটাররা সেই বিবেচনায় দলমত-নির্বিশেষে উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দেবেন।