Thank you for trying Sticky AMP!!

নৌকার সুনিশ্চিত বিজয় দেখছেন আতিকুল

আতিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

নৌকার সুনিশ্চিত বিজয় দেখছেন আতিকুল ইসলাম। গত ২০ দিন যেসব এলাকায় পথসভা করেছেন, সেগুলো জনসভায় পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়েই নৌকার জনপ্রিয়তা বোঝা যায় বলে মনে করেন তিনি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বিজয়ী হবে বলে তিনি আশা করেন।

আজ বৃহস্পতিবার ভাষানটেক এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় এসব কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

আজকের গণসংযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল ইসলাম খান, সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রী তারানা হালিম, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সালেক মোল্লা, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২ (সাধারণ ওয়ার্ড ১৪, ১৫, ১৬)–এর কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সাহিদা আক্তার, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, আজমেরী হক বাঁধনসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সভায় আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২০ দিন ঢাকা উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরেছি। বেশির ভাগ জায়গায় গিয়েছি। অনেক জায়গায় যেতে পারিনি। কয়েক দিন ধরে ঘুরে দেখেছি এক এলাকার সমস্যার সঙ্গে আরেক এলাকার সমস্যার মিল নেই। ঘুরে ঘুরে প্রতিটি এলাকার সমস্যা আলাদা করে লিপিবদ্ধ করেছি।’ নির্বাচনে জয়ী হলে প্রতিটি এলাকার সমস্যা ধরে ধরে সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আর এক দিন বাকি আছে। ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চাইতে হবে। একটি গোষ্ঠী বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে ভোট বানচাল করার অপচেষ্টা করছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে চাই।’

সকালে ভাষানটেক বাজারে সভায় আতিকুল ইসলাম বলেন, ভাষানটেককে আধুনিক করা হবে এবং অধিবাসীদের পুনর্বাসন করা হবে। যত দিন না পুনর্বাসন করা হয় তত দিন ভাষানটেক এলাকায় কোনো উচ্ছেদ হবে না। এ এলাকার বাসিন্দাদের স্থায়ী আবাস করার জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ভাষানটেক এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করা হবে। ভাষানটেক বাজারের মূল রাস্তাটির অবস্থা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর এর উত্তর দিকের সড়কটিও উন্নত ও প্রশস্ত করা হবে।

ভাষানটেক বস্তির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের মূল চাওয়া পুনর্বাসন করা। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা ও মশার উপদ্রবের সমস্যা দূর করার দাবি জানান তাঁরা।

সাবিনা ইয়াসমিন নামের এক নারী বলেন, ‘৩০ বছর ধরে এই জায়গায় থাকছি। এর আগেও জাতীয় নির্বাচনের সময় এবং সিটি নির্বাচনে ভাষানটেকের বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের কথা বলা হয়। কিন্তু তা করা হয়নি।’

এ এলাকার হজরত শাহ সুলতান আহমদ উল্লাহ লেংটা মাস্তান কদেরী চিশতির মাজারের সামনের বটতলায় আতিকুল ইসলামের পথসভায় আসে কয়েকজন কিশোর। তারা আতিকুল ইসলামকে বলে, এখানে তাদের খেলার কোনো মাঠ নেই। কোনো খালি জায়গা নেই। খোলা জায়গা দখল হয়ে গেছে। জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে এই এলাকায় তাদের জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করবেন। ভাষানটেক বস্তিতে গণসংযোগ শেষে আতিকুল ইসলাম বিকেল থেকে নতুন বাজার, ভাটারা এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেন।