Thank you for trying Sticky AMP!!

পুলিশ-গুন্ডা পার্টনারশিপ হতে পারে না: ড. কামাল

ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই, আছে গুন্ডাতন্ত্র। গুন্ডারা পুলিশের সঙ্গে লাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ছাত্রদের ওপর হামলা করছে। পুলিশ-গুন্ডা পার্টনারশিপ হতে পারে না। আমরা গুন্ডামুক্ত বাংলাদেশ চাই।’ গুন্ডা লেলিয়ে দিয়ে ঐক্যবদ্ধ মানুষকে দমানো যাবে না বলেও সরকারকে সতর্ক করে দেন তিনি।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ’ আয়োজিত শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদ ও সংহতি সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ছাত্ররা চোখে আঙুল দিয়ে সড়ক পরিবহনে অনিয়মের বাস্তবতা তুলে ধরেছে। ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ ও সরকারদলীয় সমর্থকদের হামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হামলার বিচার দাবি করেন তাঁরা।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্ররা ন্যায়বিচার চেয়েছে। কিন্তু সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ ন্যায়ের বদলে অন্যায় হয়ে যাচ্ছে। সরকারি দলের গুন্ডারা ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে। একজন মা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি এতে উদ্বিগ্ন হবেন না?’ ভারসাম্যের রাজনীতি ছাড়া দেশের সংকটের সমাধান হবে না বলেও মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শক্তি সব তছনছ করে দিচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা করে তাঁদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে। রাষ্ট্রের মেরামত প্রয়োজন, ছাত্ররা এটাই আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্ররা ঐক্যের পথ দেখিয়েছে, এখন আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। জাতীয় ঐক্য ছাড়া দেশের ভয়ংকর অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘তৃতীয় পক্ষ বলতে অন্য কিছু নেই। শেখ হাসিনা ভূত দেখছেন। ছাত্রদের ওপর হামলা করলে তাদের অভিভাবক ও সচেতন মানুষ রাস্তায় নামবেই, এতে তৃতীয় পক্ষ খোঁজার কিছু নেই।’ বিনা ভোটে আবার ক্ষমতায় যেতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মেরামত চলছে, মেরামতটা দ্রুত হওয়া প্রয়োজন।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। ছাত্রদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম।