Thank you for trying Sticky AMP!!

বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে রাজনীতির দোকান খুলবেন না, নেতা-কর্মীদের কাদের

জাতীয় শোক দিবস স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করে তাঁতী লীগ। আওয়ামী লীগ কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর। ছবি: বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি ক্রমেই আরও সংকুচিত হচ্ছে। দলটি এখন অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে এবং ভবিষ্যৎকে বিপন্ন মনে করে দলের নেতারা আবোলতাবোল বলছেন।

আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তাঁতী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস স্মরণে আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে রাজনীতির দোকান না খুলতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ভোটের রাজনীতিতে সংকুচিত হওয়ার কারণ উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দল জাতির পিতার খুনের সঙ্গে জড়িত। জাতির পিতার কন্যা বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামের কান্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যার চক্রান্ত করেছিল। এই সত্য জনগণের বিবেকের আদালতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। সেই কারণেই বিএনপি অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে এবং ভবিষ্যৎকে বিপন্ন মনে করে দলটির নেতারা আবোলতাবোল কথা বলছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খুন আর হত্যার রাজনীতিতে বিএনপির হাত রক্তে রঞ্জিত। তারা বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতাকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা কম করেনি। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে তারা যতই মুছে ফেলতে চেয়েছে, ততই তারাই নিজেরা মুছে গেছে, সংকুচিত হয়েছে। আজকের তারেক রহমানের দম্ভোক্তির কারণ, ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তিনি আর জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড।

নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে রাজনীতির দোকান না খোলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙিয়ে, তাঁর নাম ভাঙিয়ে রাজনীতির দোকান খুলে বসেছে। এমনকি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দিয়ে দোকান খুলেছে। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নাম-ছবি ব্যবহার করে কোনো রাজনৈতিক দোকান খোলা যাবে না।’

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু পরিবার সততার উৎকৃষ্ট উদাহরণ, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে সৎ পরিবার হচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিবার। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তাঁরা কাজ করে জীবনধারণ করেন। রাজনীতিতে এসে টাকা-পয়সা অবৈধভাবে আয় করার কোনো ইচ্ছা তাঁদের নেই।

তারেক রহমান লন্ডনে বসে মিথ্যাচার করছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড, তারেক রহমান ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড। আগস্ট মাসে সত্যের মুখোমুখি হলে তাঁদের গাত্রদাহ শুরু হয়। এখন আবার কাকে নাকি জাতীয়তাবাদী জাতির পিতা বানাচ্ছেন। টেমস নদীর পারে বসে বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে, তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

তাঁতী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য দেন।