Thank you for trying Sticky AMP!!

বামপন্থীদের অবস্থানের বিরোধিতা ক্ষমতাসীন ছাত্রজোটের

ডাকসু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র নিয়ে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর অবস্থানের বিরোধিতা করেছে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্রসংগঠনের জোট ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। তারা বলছে, হলের বাইরে ভোটকেন্দ্রের দাবির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সহিষ্ণুতার সংস্কৃতি ও স্বপ্নের ক্যাম্পাসের জন্য সম্মিলিত প্রয়াসকে অপমান করা হচ্ছে।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলগুলোতেই হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো। তাদের এ অবস্থানকে ‘বিভ্রান্তির চেষ্টা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সভা শেষে আজ বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের বিষয়টি নিয়ে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া জানান জোটের নেতারা।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জোটের সমন্বয়ক রেজওয়ানুল হক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তির চেষ্টা করছে। ভোটকেন্দ্র হলের ভেতরে হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতবর্ষী ঐতিহ্য ও প্রথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৬৫ শতাংশ হলে অবস্থান করে। একাডেমিক, প্রশাসনিক, সহপাঠ্য ও হল সংসদের কার্যক্রম হলের আবাসিক বৈশিষ্ট্যকে উপজীব্য করেই। হলের আবাসিকতা-অনাবাসিকতা প্রশাসনিকভাবেই নির্ধারিত হয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘হলের সামষ্টিক কার্যক্রম সিসিটিভির আওতাভুক্ত এবং ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবির আলোকে ইতিমধ্যেই নির্বাচনী আচরণবিধি হয়েছে। এর ফলে শুভ কাজের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই সাধারণ শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব বেছে নিতে পারবে। ভোটকেন্দ্র নিয়ে ন্যূনতম বিভ্রান্তির অবকাশ আছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করে না।’

সভায় উপস্থিত জোটের অন্য সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র আন্দোলন, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ (বিসিএল) ও ছাত্র সমিতি।