Thank you for trying Sticky AMP!!

ব্যালটে সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে: জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন জাসদের সভাপতি আ স ম আবদুর রব। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনকে (ইভিএম) ‘নিঃশব্দে ভোট চুরির জঘন্য পদ্ধতি’ মন্তব্য করে ব্যালটে সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তারা বলছে, ‘ইভিএমে যে প্রযুক্তি, তথ্য ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে, মধ্যরাতে ভোট চুরির ধারাবাহিকতায় এটা হবে নিঃশব্দে ভোট চুরির আরও একটি জঘন্য ও জাতিদ্রোহী দৃষ্টান্ত।’

আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার এবং সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন জাসদের সভাপতি আ স ম আবদুর রব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্ট নেতা আবু সাইয়িদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছে। ভোট ছাড়াই নির্বাচন ও সরকার গঠিত হচ্ছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নেই মন্তব্য করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য নানা কুটকৌশলের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। জনগণকে নানাভাবে হয়রানি, ভয়ভীতি, সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনবিমুখ করা হয়েছে। ইভিএমকে ভোট চুরির নতুন পদ্ধতি উল্লেখ করা বলা হয়, নির্বাচনে ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন।

ইভিএম প্রসঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, যেকোনো যন্ত্র পরিচালনা করে মানুষ। যাঁরা ইভিএম চালাবেন, তাঁরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করবেন। ইভিএম চালুর ‘বৈধতা ও শুদ্ধতা’ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন উঠেছিল উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্ট বলছে, সেখানে পেপার ট্রেইল যুক্ত করা হয়েছিল। পেপার ট্রেইল এমন প্রযুক্তি, যেখানে ভোটার ভোট দেওয়ার পর ট্রেইল পেপার স্লিপ পান। ভোটার জানতে পারেন, তাঁর ভোট ঠিকমতো পড়েছে কি না। বাংলাদেশে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্ট।

ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ইভিএমে ব্যবহার হওয়া অডিট কার্ড, এসডি কার্ড, কন্ট্রোল ইউনিট সবই কর্তৃপক্ষের হাতে থাকবে এবং তারাই নিয়ন্ত্রণ করবে। ভোটাররা কোন প্রতীকে ভোট দিচ্ছেন, তার কোনো প্রমাণ না থাকায় এর বিরুদ্ধে মামলাও করা যাবে না। এর মাধ্যমে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। ইভিএম পদ্ধতিকে সাংবিধানিকভাবে অগ্রহণযোগ্য হিসেবেও উল্লেখ করেছে ঐক্যফ্রন্ট।

বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে ইভিএম চালু করার পরও এখন সেটা স্থগিত রাখা হয়েছে উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে জোর করে এটা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর পেছনের কারণ দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া এবং ক্ষমতাকে স্থায়ী করা।