Thank you for trying Sticky AMP!!

ভোটের বিষয়ে ভোটারদের আস্থা-বিশ্বাস ভেঙে গেছে

দেড় শ বছরের পুরোনো প্রথম শ্রেণির কুষ্টিয়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ১৬ জানুয়ারি। মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। বিএনপির প্রার্থী জেলা বিএনপির সহসভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ। প্রথম আলোর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
কুষ্টিয়ায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী বশিরুল আলম চাঁদ
প্রশ্ন

পৌর নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কেমন?

বশিরুল আলম: পৌরসভা নির্বাচনে এর আগে কখনো মেয়র বা কাউন্সিলর পদে অংশ নেওয়া হয়নি। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচন করে চারবার চেয়ারম্যান ছিলাম। এ ছাড়া দুটি সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দীনের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলাম। সেসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছি।

প্রশ্ন

আপনার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী তো অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও হেভিওয়েট। কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে?

বশিরুল আলম: এটা মানতেই হবে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনেক পুরোনো রাজনীতিবিদ। তিনি দীর্ঘদিন মেয়র হিসেবে আছেন। তারপরও জনগণ যদি চায়, তাহলে আমিও মেয়র হতে পারি। আমার রাজনীতির বয়সও প্রায় ৪০ বছর।

প্রশ্ন

ভোট চাইতে গিয়ে সাধারণ ভোটারদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

বশিরুল আলম: মানুষের মনে এখনো বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনের ক্ষত লেগে আছে। ভোট দেওয়ার প্রতি তাদের আস্থা-বিশ্বাস একেবারেই ভেঙে গেছে। অতীত অভিজ্ঞতায় মানুষের মনে সংশয় আছে। তাঁরা (ভোটাররা) ভোটকেন্দ্রবিমুখ হয়ে পড়েছেন। তবুও তাঁদের বোঝানো হচ্ছে যেন কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন।

প্রশ্ন

কোনো বাধা বা ভয়ভীতি দেওয়া হচ্ছে কি না?

বশিরুল আলম: এ রকম কোনো ঘটনা কুষ্টিয়া পৌরসভা নির্বাচনে এখনো ঘটেনি। পরিবেশ খুবই ভালো আছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী খুবই শ্রদ্ধাভাজন। তিনি যখন তাঁদের দলীয় মনোনয়ন পান, তখন তাঁকে আমি নিজে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম। আমি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনিও আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে।

প্রশ্ন

পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডে আপনার পোস্টার বা মাইকে প্রচার খুব কম চোখে পড়ছে। কারণ কী?

বশিরুল আলম: এটা একটা কৌশল আছে (হেসে)। পর্যায়ক্রমে প্রচার করা হবে। পোস্টারও টাঙানো হবে। প্রতিদিনই মানুষের দুয়ারে যাওয়া হচ্ছে। দেখা যাক কী হয়।

প্রশ্ন

আপনার দল থেকে কেমন সহযোগিতা বা প্রচারণায় তাদের কাছে পাচ্ছেন?

বশিরুল আলম: প্রচারণা চালাতে জেলা ও শহরের শীর্ষ নেতারা সঙ্গে থাকছেন। তবে সেই তুলনায় কিছুটা কম পাচ্ছি। এটা ঠিক হয়ে যাবে।

প্রশ্ন

নির্বাচন কেমন হবে বলে আশা করছেন?

বশিরুল আলম: এখন পর্যন্ত বিরোধী পক্ষ এবং প্রশাসন ঠিক আছে। জানি না ভোটের দিন কী হবে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারলে আশা করছি একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে।

প্রশ্ন

নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের কী ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন?

বশিরুল আলম: তেমন কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না। চেয়ারে যদি বসতে পারি, তখন দেখা যাবে।

প্রশ্ন

সাক্ষাৎকারের জন্য সময় দেওয়ায় ধন্যবাদ।

বশিরুল আলম: প্রথম আলোকেও ধন্যবাদ।