Thank you for trying Sticky AMP!!

ভোটে জিতে ছাত্রদলের সভাপতি-সা. সম্পাদক হতে হবে

ছাত্রদলের একাংশের নেতাদের বিক্ষোভের মধ্যে আগামী ১৫ জুলাই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছে বিএনপি। ভোট গ্রহণের স্থান এখনো ঠিক করা হয়নি। ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণ হবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আজ রোববার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।

খায়রুল কবির খোকন বলেন, ছাত্রদলের সম্মেলন উপলক্ষে কাল ২৪ জুন ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৫ জুন ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি গ্রহণ, ২৬ জুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৭ ও ২৮ জুন প্রার্থীদের জন্য মনোনয়নপত্র বিতরণ, ২৯ ও ৩০ জুন প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ, ১, ২ ও ৩ জুলাই প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই, ৪ জুলাই প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, ৫ জুলাই প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণ, ৬ জুলাই প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তি নিষ্পত্তি, ৭ জুলাই প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ১৫ জুলাই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। ১৫ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বলে জানান তিনি।

ভোট গ্রহণের স্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ভোট গ্রহণের স্থান এখনো ঠিক হয়নি। আর যে জায়গায় আমাদের সুবিধা হবে, সে জায়গায় আমরা করব। দু-এক দিনের মধ্যে এটি জানানো হবে।’

ছাত্রদলের সম্মেলন নিয়ে সাবেক নেতাদের আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কমিটি বিলুপ্তির পর বিক্ষুব্ধ ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কার্যালয়ে থাকেন। তাঁকে টার্গেট করা সমীচীন নয়, এটি শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে না। তাই এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দল যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেটি যথাযথ সিদ্ধান্ত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আগামী ১৫ জুলাই ভোট গ্রহণের পরই নির্বাচনের ফল পাওয়া যাবে। কোন কোন পদে নির্বাচন হবে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। সাতজন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হবেন বলেও জানান তিনি।

৩ জুন রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় বিএনপি। এতে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। নতুন কমিটিতে নেতা হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী যেকোনো বছরে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে বলে জানানো হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ১১ জুন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির একাংশ। এরপর থেকে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের নেতা রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।